২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আফগান রাজস্ব সংগ্রহ ও রফতানি শক্তিশালী হয়ে উঠছে : বিশ্বব্যাংক

আফগান রাজস্ব সংগ্রহ ও রফতানি শক্তিশালী হয়ে উঠছে : বিশ্বব্যাংক - ছবি : সংগৃহীত

তালেবান শাসনের অধীনে রফতানি বৃদ্ধি, স্থিতিশীল বিনিময় হার এবং শক্তিশালী রাজস্ব সংগ্রহের বিষয়টি উল্লেখ করে, বিশ্বব্যাংক ২০২২ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে আফগান অর্থনীতির পরিস্থিতি আশ্চর্যজনকভাবে উচ্চমুখি হয়েছে বলে মূল্যায়ন করেছে।

২০২২ সালের আগস্টে তালেবানের দখলে যাওয়ার পর থেকে দেশটির বেশিরভাগ আন্তর্জাতিক সাহায্য বন্ধ করে দেয়ার পর থেকে এই প্রতিবেদনটি জাতিসঙ্ঘের সংস্থা এবং এনজিওগুলোর দ্বারা দারিদ্র্য এবং ব্যাপক ক্ষুধা নিয়ে নিয়মিত প্রতিবেদনের সম্পূর্ণ বিপরীত অবস্থানে দাঁড়িয়েছে।

চলতি সপ্তাহে প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের এক মূল্যায়নে দেখা গেছে, গত বছরের জুলাই থেকে মুদ্রাস্ফীতির চাপ কিছুটা হ্রাস পেয়েছে, নভেম্বরের প্রথম দুই সপ্তাহেই হ্রাস পেয়েছে নয় দশমিক এক শতাংশ। প্রতিবেদনে, স্থিতিশীল বিনিময় হারসহ বিশ্বব্যাপী তেল ও খাদ্যের দাম কমার কারণে মূল্যস্ফীতি কমে গেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, আফগানিস্তান ২০২২ সালে ১৭০ কোটি ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি করেছে, যা ২০২১ সালের তুলনায় প্রায় ৯০ শতাংশ বেশি।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সর্বশেষ হালনাগাদ আমদানির উপাত্ত পাওয়া যায়নি, তবে ২০২২ সালের জানুয়ারি-জুন উপাত্ত থেকে দেখা যায়, দেশটি ২৯০ কোটি ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করেছে। প্রতিবেশী পাকিস্তান, চীন ও ইরানকে আমদানির প্রধান উৎস হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

বিশ্বব্যাংকের মূল্যায়ন বলছে, দেশটির রাজস্ব সংগ্রহও শক্তিশালী রয়েছে। ২০২০ সালের ফলাফলের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ২০২২ সালের মার্চ থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে তা ১৫৪ কোটি ডলারে পৌঁছেছে।

অন্যান্য অনুসন্ধানে, বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডিসেম্বরে নামমাত্র ও প্রকৃত মজুরি কিছুটা বেড়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বেশিরভাগ আফগান বেসামরিক কর্মচারী নিয়মিত বেতন পেয়েছেন। নারী কর্মচারীরা জানিয়েছেন, তারা গত দুই মাসে পুরুষদের তুলনায় অধিকতর নিয়মিতভাবে বেতন পাচ্ছেন। বেসামরিক কর্মচারীরা এক সমীক্ষায় বলেছেন, তাদের বেতন উত্তোলনের সময় প্রধান চ্যালেঞ্জগুলো হলো ব্যাঙ্কগুলোতে ভিড় এবং নগদ অর্থের অভাব, যা তাদের পক্ষে নিয়মিতভাবে মোকাবেলা করা কঠিন করে উঠেছে।

২০২২ সালে আফগানিস্তানের জনসংখ্যা ৪ কোটি ৩০ লাখ অতিক্রম করবে বলে অনুমান করা হয়েছিল। জাতিসঙ্ঘের সর্ব সাম্প্রতিক মূল্যায়ন অনুসারে, দীর্ঘস্থায়ী খরার মতো অবস্থা থেকে বাঁচতে, এই বছর প্রায় ২ কোটি ৮৩ লাখ মানুষের জরুরি মানবিক সহায়তার প্রয়োজন হবে।


আরো সংবাদ



premium cement