২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

বুখারেস্টে ন্যাটোর বৈঠক, ইউক্রেনকে আরো অস্ত্র

বুখারেস্টে ন্যাটোর বৈঠক, ইউক্রেনকে আরো অস্ত্র - ছবি : ডয়চে ভেলে

ন্যাটোর বৈঠকের প্রথম দিন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘আমাদের আরো এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম প্রয়োজন। আইআরআইএস, হকস, প্যাট্রিয়টের মতো সিস্টেম প্রয়োজন। একই সাথে প্রয়োজন ট্রান্সফরমার এবং জেনারেটর।’ বস্তুত, গত কয়েক সপ্তাহে রাশিয়া ইউক্রেনের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র এবং গ্যাসের মজুত লক্ষ্য করে আক্রমণ চালিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ইউক্রেনের অভিযোগ, শীতকালে ইউক্রেনের মানুষকে ঠান্ডায় মেরে ফেলতে চাইছে রাশিয়া। সে জন্যই নির্দিষ্টভাবে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে আক্রমণ চালানো হচ্ছে। মঙ্গলবার ন্যাটোর বৈঠকেও সেই একই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

ন্যাটোর প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ বলেন, রাশিয়া বুঝে গেছে সামরিক শক্তি প্রয়োগ করে তারা এই যুদ্ধ জিততে পারবে না। একের পর এক অঞ্চল তাদের হাতছাড়া হয়েছে। তা-ই এখন ইউক্রেনের বেসামরিক মানুষের ওপর আক্রমণ শুরু হয়েছে। নষ্ট করা হচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র।

কুলেবা জানিয়েছেন, ট্রান্সফরমার এবং জেনারেটরের সাহায্যে সমস্ত নাগরিকের ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া হবে। বিদ্যুৎ কেন্দ্র নষ্ট করা হলেও মানুষ যাতে আলো পান, হিটার চালাতে পারেন, তার ব্যবস্থা করা হবে। এই কারণেই ন্যাটোর কাছে ট্রান্সফরমার এবং জেনারেটর দেয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।

কুলেবারের কথায়, ‘ট্রান্সফরমারের সাহায্যে আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদন করবো, আর এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের সাহায্যে রাশিয়ার রকেট ধ্বংস করবো, যাতে তারা আর আমাদের বিদ্যুৎকেন্দ্র ধ্বংস করতে না পারে।’

স্টলটেনবার্গ জানান, প্রথম দিনের বৈঠকে ন্যাটোর দেশগুলো ইউক্রেনকে আরো বেশি এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম দিতে সম্মত হয়েছে। বস্তুত, এর আগে জার্মানির কাছে প্যাট্রিয়ট এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম চেয়েছিল ইউক্রেন। অত্যাধুনিক এই সিস্টেম ন্যাটোর অনুমোদন না নিয়ে জার্মানি ইউক্রেনকে দিতে পারবে না বলে জানিয়েছিল। এদিনের বৈঠকে সে বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। বৈঠকে ন্যাটোর সমস্ত দেশই একটি বিষয়ে সহমত হয়েছে। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ জয় করার মতো জায়গায় আর নেই। সে কারণেই তারা আবহাওয়াকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা করছে।

এদিকে আরো একটি বিষয় এদিনের বৈঠকে গুরুত্ব পেয়েছে। ২০০৮ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশ প্রথম বলেছিলেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোর অন্তর্ভুক্ত করা হোক। রাশিয়ার তীব্র আপত্তি থাকলেও ন্যাটোর প্রায় সব দেশই তাতে সম্মতি জানিয়েছিল। বলা হয়েছিল, ভবিষ্যতে ইউক্রেনকে ন্যাটোর অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তবে নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা দেয়া হয়নি।

এদিন স্টলটেনবার্গ জানান, ইউক্রেনকে ন্যাটোয় অন্তর্ভুক্ত করা নিয়ে ফের আলোচনা হয়েছে। সকলেই সহমত হয়েছেন এবিষয়ে। তবে এদিনও কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা স্থির করা হয়নি।

বস্তুত, সম্প্রতি সুইডেন এবং ফিনল্যান্ডকে ন্যাটোয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ম্যাসিডোনিয়া এবং মন্টিনেগ্রোকেও অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। একইভাবে ইউক্রেনকেও ন্যাটোয় ঢোকানো উচিত বলে মনে করছে অন্য দেশগুলো। কিন্তু নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা স্থির করা যায়নি।

সূত্র : ডয়চে ভেলে


আরো সংবাদ



premium cement
আমতলীতে কিশোরীকে অপহরণ শেষে গণধর্ষণ, গ্রেফতার ৩ মহানবীকে কটূক্তির প্রতিবাদে লালমোহনে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ক্রিমিয়া সাগরে বিধ্বস্ত হলো রুশ সামরিক বিমান জর্ডান আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশী বিচারক এবারের আইপিএলে কমলা ও বেগুনি টুপির লড়াইয়ে কারা সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে সন্ত্রাসনির্ভর হয়ে গেছে : রিজভী রাশিয়ার ৯৯টি ক্ষেপণাস্ত্রের ৮৪টি ভূপাতিত করেছে ইউক্রেন আওয়ামী লীগকে ‘ভারতীয় পণ্য’ বললেন গয়েশ্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে দাগনভুঞার যুবক নিহত কাশ্মিরে ট্যাক্সি খাদে পড়ে নিহত ১০ অবশেষে অধিনায়কের ব্যাপারে সিদ্ধান্তে পৌঁছল পাকিস্তান

সকল