২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

রাশিয়া-চীনের অস্ত্র ব্রিকস, চিন্তিত ভারত

রাশিয়া-চীনের অস্ত্র ব্রিকস, চিন্তিত ভারত - ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হওয়ার সাথে সাথে ব্রিকস-এর মধ্যে চিড় ধরার সম্ভাবনা বাড়ছে। পাশাপাশি ভূ-কৌশলগত পরিস্থিতির পরিবর্তনের সাথে ২০০৯ সালে তৈরি হওয়া এই জোটের নির্ভরকেন্দ্র বদলাচ্ছে বলে গত সপ্তাহে ব্রিকস জোটভুক্ত রাষ্ট্রগুলোর শীর্ষ বৈঠকের পরে মনে করছে কূটনীতিবিদরা।

২০০৯ সালে ব্রাজিল, রাশিয়া, চীন ও ভারতকে নিয়ে তৈরি হয়েছিল ব্রিক। এরপর দু’বছর পর দক্ষিণ আফ্রিকা যোগ দিলে হয় ব্রিকস। এবার আর্জেন্টিনা ও ইরান জোটভুক্ত হওয়ার জন্য আবেদন করেছে, পাশাপাশি চীনও তৎপর ব্রিকস সম্প্রসারণে।

কিন্তু ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, যে অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক, নিরাপত্তা ও সাংস্কৃতিক যোগাযোগের মঞ্চ হিসেবে তৈরি হয়েছিল এ জোট, তা ক্রমশ নড়ে যাচ্ছে।

শেষ ব্রিকস সম্মেলনের পর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ঘরোয়াভাবে জানান, যুক্তরাষ্ট্র তথা পশ্চিম-বিরোধী একটি মঞ্চ হিসেবে ব্রিকসকে কাজে লাগাতে উদ্যোগী চীন। ভারসাম্যের কূটনীতি নিয়ে চলা ভারতের কাছে আরো সমস্যার বিষয়, চীনের এই উদ্যোগে শামিল রাশিয়াও।

কূটনীতিবিদরা বলেন, ২০০৯-এর পর থেকে ব্রিকস বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে হাতে কলমে কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে ঠিকই, কিন্তু নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক বিষয়ে সেভাবে কিছুই করা হয়নি। প্রতি বছর ব্রিকসভুক্ত রাষ্ট্রগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বৈঠকে বসেন। কিন্তু তাতে এমন কোনো ঐকমত্য গড়ে উঠেনি।

স্বাভাবিকভাবেই চীন ও রাশিয়ার এই প্রয়াস যদি বাড়তে থাকে তাহলে ভারতের পক্ষে ব্রিকস-এ নিজেদের ধরে রাখা সমস্যার। ভারত একদিকে যেমন নিজে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে সকল উন্নয়নশীল দেশগুলোর আশা আকাঙ্ক্ষার বিষয়ে সতর্ক, তেমনই বহুপাক্ষিক কূটনীতির মাধ্যমে রাশিয়া ও ও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তার একইভাবে কৌশলগত সম্পর্ক রয়েছে।

ইউরোপের সাথেও বাণিজ্য ও কৌশলগত সম্পর্ক বাড়ছে। ফলে ব্রিকস-এর মধ্যে চীনের সাথে ভারতের ক্ষমতার ও অস্তিত্বের লড়াই শুরু হওয়ার সম্ভাবনা ক্রমশ বাড়ছে।

বিশেষজ্ঞদের একাংশের তরফে মনে করা হচ্ছে, এই লড়াইয়ের জেরেই চিড় ধরতে পারে ১৩ বছরের আগের এই জোটে।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা


আরো সংবাদ



premium cement