২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ফিনল্যান্ড ও সুইডেনকে ন্যাটোয় স্বাগত জানালেন বাইডেন, তীব্র আপত্তি তুরস্কের

ফিনল্যান্ড ও সুইডেনকে ন্যাটোয় স্বাগত জানালেন বাইডেন, তীব্র আপত্তি তুরস্কের - ছবি : সংগৃহীত

ফিনল্যান্ড ও সুইডেনকে ন্যাটো সামরিক জোটে স্বাগত জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বুধবার দুই দেশের ন্যাটো সদস্যপদের দাবিকে জোরাল সমর্থন করেন তিনি। কিন্তু আমেরিকা সমর্থন জানালেও এই প্রক্রিয়ায় ঘোর আপত্তি জানিয়েছে তুরস্ক।

সংবাদ সংস্থা এএফপি জানায়, রাশিয়ার সাথে সংঘাতের আশঙ্কা থাকলেও, ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে ফিনল্যান্ড ও সুইডেনকে ন্যাটো জোটে শামিল করতে মরিয়া আমেরিকা।

এ বিষয়ে এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, ‘যে কোনো আগ্রাসনের মোকাবিলায় ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের পাশে থাকবে আমেরিকা। আমি দুই দেশের ন্যাটো সদস্যপদের আবেদন সমর্থন জানিয়ে তাদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাচ্ছি।’

শুধু তাই নয়, ইঙ্গিতে রুশ আগ্রাসনের মুখে স্টকহোম ও হেলসিঙ্কিকে সামরিক সহায়তা দেয়ার কথাও ঘোষণা করেন বাইডেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট স্পষ্ট করে দেন যে, ন্যাটোয় অন্তর্ভুক্তির প্রক্রিয়া চলাকালীন দুটি দেশের ওপর হামলা হলে তা প্রতিহত করবে আমেরিকা। প্রসঙ্গত, ন্যাটোয় যোগদান করতে চাওয়ার পরই ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া।

এদিকে, বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে ন্যাটোর সদস্যপদ চেয়ে আবেদনপত্র জমা দেয় সুইডেন ও ফিনল্যান্ড। সেই দাবিকে আমেরিকা সমর্থন জানালেও বেঁকে বসেছে তুরস্ক। ওই দুই দেশের বিরুদ্ধে কুর্দি বিদ্রোহীদের সমর্থন দেয়ার অভিযোগ এনেছে আঙ্কারা।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান স্পষ্ট করেই বলে দিয়েছেন যে, স্টকহোম ও হেলসিঙ্কি যেন আঙ্কারায় কোনো দূত না পাঠায়। কারণ, কোনোভাবেই তিনি তাদের আবেদনের পক্ষে মত দেবেন না। বলে রাখা ভাল, বাকিদের মতো ন্যাটো সদস্য হিসেবে তুরস্কের কাছে ভেটো প্রয়োগের অধিকার আছে। ফলে তুরস্কের আপত্তি এক্ষেত্রে বড় সমস্যা হয়ে উঠতে পারে।

উল্লেখ্য, প্রতিবেশী দেশগুলি ন্যাটোয় যোগ দিক, সেটা একেবারেই চায় না রাশিয়া। ন্যাটোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ার ফলেই ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছিল রাশিয়া। এবার আরেক প্রতিবেশী দেশ ফিনল্যান্ডও ইউক্রেনের পথ অনুসরণ করলে ফল ভাল হবে না, সেই হুঁশিয়ারিও রাশিয়ার পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছে। ফিনল্যান্ডের সোথে সাথে সুইডেনও ন্যাটোয় যোগ দিতে চলেছে।

এই দুটি দেশকে নিশানা করে রাশিয়া বার্তা দিয়েছিল, ন্যাটোয় যোগ দিলে এই দেশগুলির সীমান্তে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করা হবে। এছাড়া বাল্টিক সাগর অঞ্চলে নিজেদের সেনার শক্তি বৃদ্ধি করবে বলেও জানিয়ে দেয় রাশিয়া।

সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন


আরো সংবাদ



premium cement