১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দ্রুত প্রতিষেধক বণ্টনে চাই ড্রোন, পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের

- ছবি : সংগৃহীত

করোনার প্রতিষেধক তৈরির কাজ প্রায় শেষ। ছাড়পত্র মিললেই শুরু হবে টিকাদান। তার জন্য উদগ্রীব হয়ে রয়েছে একাধিক সংস্থা। কিন্তু প্রতিষেধক যদিও বা মেলে, সর্বত্র তা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে তো? এই প্রশ্নই এখন তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে গবেষকদের।

এই মুহূর্তে যে সমস্ত সম্ভাব্য কোভিড প্রতিষেধকগুলোর দিকে তাকিয়ে গোটা বিশ্ব, সেগুলোর প্রত্যেকটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করে রাখা প্রয়োজন। কিন্তু পৃথিবীর এমন অনেক দেশই রয়েছে, যেখানে দূর-দূরান্তে সঠিক প্রক্রিয়া মেনে প্রতিষেধক পাঠানোর ব্যবস্থা নেই। সেটাই এখন দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে গবেষকদের।

সংক্রমণ ঠেকাতে গেলে প্রতিষেধক আসামাত্রই যত দ্রুত সম্ভব তা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া প্রয়োজন বলে একমত বিশ্বের তাবড় বিশেষজ্ঞেরা। সে ক্ষেত্রে প্রতিষেধক সরবরাহকারী কার্গো ড্রোন, চলমান কোল্ড স্টোরেজ এবং মাইক্রো চিলার্স (ছোট আকারের হিমাগার) ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন তারা। কিন্তু অর্থনৈতিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া দেশগুলো সমস্ত নাগরিকের কাছে প্রতিষেধক পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় এই উন্নত প্রযুক্তির ব্যবস্থা করে উঠতে পারবে কি না, তা নিয়ে নিশ্চিত নয় অধিকাংশই।

কোন দেশের প্রতিষেধক বণ্টনের কী ক্ষমতা তা নিয়ে বুধবার একটি যৌথ রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন ইউনিভার্সিটি অব বার্মিহাম, হেরিয়ট-ওয়াট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের বিআরএসি ইউনিভার্সিটি এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির (বুয়েট) গবেষকরা। বাংলাদেশের মতো একাধিক দেশকে সামনে রেখে একটি ব্লুপ্রিন্টও তৈরি করেছেন তারা।

তাতে বলা হয়েছে, বৃহদাকারের অর্থনীতির দেশগুলো সবার আগে প্রতিষেধক হাতে পেলে ৩৩ শতাংশ মৃত্যু রোখা সম্ভব হবে। কিন্তু বিশ্বের সর্বত্র যদি সমানভাবে প্রতিষেধক বণ্টন করা যায়, সে ক্ষেত্রে ৬৬ শতাংশ মানুষকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচানো যাবে।

তাই যে সমস্ত দেশে মানুষের মাথাপিছু আয় অত্যন্ত কম, সেখানে কী ভাবে নির্ধারিত তাপমাত্রায় প্রতিষেধক সংরক্ষণ করে সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়, আগে তা নিয়ে পরিকল্পপনা করা উচিত বলে মত বিশেষজ্ঞদের। এই মুহূর্তে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গ্রামাঞ্চলে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যাই প্রায় ৩০০ কোটি। ওই সমস্ত এলাকায় প্রতিষেধক পৌঁছে দেওয়ার মতো হিমগারের জোগান নেই। আবার কোভিডের প্রকোপ সামাল দিতে গিয়ে গত এক বছর ধরে প্রায় ৮ কোটি শিশুর অন্যান্য টিকাদান বন্ধ রয়েছে। তা চালু হলে সরঞ্জামে আরো টান পড়বে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রযুক্তিগত সহায়তার বিষয়টি খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

শুধু তাই নয়, কোভিডের টিকাদান চলাকালীন ব্যবহৃত সিরিঞ্জ, পিপিই কিট এবং অন্যান্য সামগ্রী যা থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে, সেগুলো কীভাবে নষ্ট করে দেওয়া যায়, তা নিয়েও ভাবনাচিন্তার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

সূত্র : আনন্দবাজার


আরো সংবাদ



premium cement