নির্মাণাধীন বাড়ি থেকে রড পড়ে মৃত্যু, একমাত্র উপার্জনক্ষমকে হারিয়ে পরিবারটি এখন অসহায়
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৭ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৯, আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:০১
মোহাম্মদ হাসান। শনিবার রাত পৌণে ৮টার দিকে মসজিদে যাচ্ছিলেন শবে কদরের নামাজ পড়ার জন্য। সাত মসজিদ হাউজিং এলাকায় নির্মাণাধীন একটি বাড়ি থেকে রড পড়ে তার মৃত্যু হয়েছে। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। ঠিকাদারের অবহেলা, বাড়ির মালিকের সচেতনার অভাবে ঘটা এই দুর্ঘটনার ফলে একটি পরিবার মুহূর্তেই অসহায় হয়ে পড়েছে।
নিহত হাসান ছিলেন বায়োফার্মা লিমিটেড কর্পোরেট হেড অফিসের সাপ্লাই চেইন বিভাগের এসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার। বয়স ৪৬ বছর।
বায়োফার্মা লিমিটেডের হেড অব এইচআর ড. গোলাম মাওলা শিমুল জানান, তাদের সহকর্মী হাসানের লাশ এখনো ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আছে। পোর্ট মর্টেমের পর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এরপর ঢাকায় জানাজা হওয়ার পর লাশ চট্টগ্রামের আনোয়ারায় গ্রামের বাড়ি নিয়ে যাওয়া হবে।
ড. শিমুল জানান, নিহত হাসানের মা, স্ত্রী, দুই ছেলে, এক মেয়ে রয়েছে। বড় ছেলে চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। ছোট ছেলে ক্লাস টেনে পড়ে। আর মেয়ে পড়ে চতুর্থ শ্রেণীতে।
তিনি বলেন, নিহত হাসানের বাবা বা অন্য কোনো ভাই নেই। তার স্ত্রী গৃহিনী। ফলে পরিবারে তিনিই ছিলেন একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তাকে হারিয়ে পরিবারটি একেবারে অসহায় হয়ে পড়েছে। যথাযথ আর্থিক ক্ষতিপূরণই অসহায় পরিবারটিকে সাময়িকভাবে হলেও স্বস্তি দিতে পারেন।
ড. শিমুল বলেন, এ ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
স্থানীয়রা জানান, ঠিকাদারের অবহেলা এবং বাড়ির মালিকের সচেতনার অভাবে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। তাদের ভুলের কারণে একটি পরিবার হঠাৎ করেই অসহায় হয়ে পড়েছে। আর কাউকে যেন এ ধরনের দুর্ভাগ্যের শিকার হতে না হয়, সেজন্য এ ব্যাপারে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।