রোগের প্রতিকার ও প্রতিরোধে আমড়া
- মুন্সি আব্দুল কাদির
- ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০৫
পুষ্টিগুণে ভরপুর আমড়া একটি মৌসুমি ফল। তবে বর্তমানে সারা বছরই আমড়া পাওয়া যায়। দামি ফল আপেলের চেয়ে আমড়া পুষ্টিমান অনেক বেশি। এ সময়ে বাজারে গেলেই চোখে পড়বে এই সবুজ ফলটি নিয়ে দোকানি বসে আছে। অথবা কেউ বাকল ফেলে ছোট কাঠিতে দোকানে সাজিয়ে রেখেছে। আমড়া টক-মিষ্টি জাতের একটি ফল। আমড়া একটু লবণ আর মরিচ দিয়ে কাঁচা খেতে কমবেশি সবাই পছন্দ করে।
১০০ গ্রাম আমড়ার মধ্যে শর্করা ১৫ গ্রাম, আমিষ ১.১০ গ্রাম, চর্বি ০.১০ গ্রাম, ক্যালশিয়াম ৫৫ মিলিগ্রাম, আয়রন ৩.৯০ মিলিগ্রাম, ক্যারোটিন ৮০০ মাইক্রোগ্রাম, ভিটামিন-বি ১০.২৮ মিলিগ্রাম, ভিটামিন-সি ৯২ মিলিগ্রাম, অন্যান্য খনিজ পদার্থ ০.৬০ মিলিগ্রাম, খাদ্যশক্তি ৬৬ কিলোক্যালরি বিদ্যমান। আমড়ায় যথেষ্ট পরিমাণ পেকটিন জাতীয় ফাইবার ও এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে।
আমরা এক নজরে রোগ সারাতে ও রোগ প্রতিরোধে আমড়ার ব্যবহার জেনে নেই :
স্কার্ভি রোগে : আমড়ায় প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন-সি রয়েছে। স্কার্ভি রোগ হলে আমড়া খেলে রোগ দ্রুত ভালো হয়। আমড়া খেলে স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধও করে।
চোখের রোগ : আমড়ায় থাকা ক্যারোটিন আমাদের চোখের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে।
রক্তস্বল্পতায় : আমড়ায় প্রচুর পরিমাণ আয়রন থাকায় আমড়া খেলে শরীরের রক্তস্বল্পতা রোগ দ্রুত আরোগ্য হয়। আমড়া রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রাও ঠিক রাখে।
ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ : শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব দেখা দিলে হাড়ের রোগ, মাংসপেশির খিঁচুনিসহ বিভিন্ন রোগ দেখা দেয়। তাই প্রতিদিনের ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণে আমড়া খাওয়া যেতে পারে।
সর্দি কাশি : আমড়া বিভিন্ন ভাইরাসের আক্রমণ থেকে আমাদের রক্ষা করে এবং সর্দি কাশি ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগের জীবাণুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলে। তাই প্রতিদিন অন্তত একটি করে আমড়া খেলে খুব সহজেই বিভিন্ন রোগ থেকে বাঁচা যায়।
মুখের রুচি : অনেক রোগ আছে যে মুখের রুচি থাকে না। এক্কেবারেই চলে যায়। ডাক্তার উপদেশ দেন খাওয়ার জন্য। পরিবারের সবাই খাওয়ার জন্য তাগাদা দেয় কিন্তু মুখে রুচি নেই খাবে কি করে। এরূপ অসুস্থ ব্যক্তিদের রুচি ফিরিয়ে আনতে আমড়ার জুড়ি নেই। আমড়া রুচি তো ফিরিয়ে আনে, পাশাপাশি ক্ষুধাও বৃদ্ধি করে।
ত্বক ভালো রাখতে : কারো মুখে ব্রণ হলে আমড়া খেলে ভালো হয়ে যাবে। এ ছাড়াও ত্বক সুস্থ ও লাবণ্যময় করতে আমড়া দারুণ উপকারী। আমড়া খেলে খুব সহজে ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ পড়ে না।
বদহজমে : আমড়াতে পেকটিন জাতীয় ফাইবার রয়েছে। যা বদহজম, পেট ফাঁপা ও কুষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। তাই এই রোগগুলো সারাতে নিয়মিত আমড়া খাওয়া যায়।
হৃদরোগ সারাতে : আমড়া কোলস্টেরলের মাত্রা কমায়। তাই উচ্চ রক্তচাপে আমড়া উপকারী। আমড়া খেলে হৃৎপিণ্ড সুস্থ থাকে। স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে যায়।
ক্যান্সার প্রতিরোধ : আমড়ায় থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার কোষ উৎপাদনে বাধা দান করে ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
দাঁত ও মাড়ির রোগে : আমড়ায় প্রচুুর পরিমাণ ভিটামিন-সি রয়েছে যা দাঁত ও মাড়ির বিভিন্ন রোগ সারায় ও প্রতিরোধ করে।
এই সময়ে সব খানেই আমড়া পাওয়া যায় দামেও সস্তা তাই শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে ও রোগ সারাতে আমড়া খাওয়া প্রয়োজন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা