১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ডসটারলিম্যাব : ক্যানসার প্রতিষেধক এই ওষুধের দাম কত?

ডসটারলিম্যাব : ক্যানসার প্রতিষেধক এই ওষুধের দাম কত? - ছবি : সংগৃহীত

ক্যানসার নামক মরণব্যাধি কিন্তু মহামারীর চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে মৃত্যুর দ্বিতীয় বৃহত্তম কারণ এই রোগ। তবে এই মরণরোগের উপসর্গ সম্পর্কে এখনো সম্যক ধারণা সাধারণ মানুষের মধ্যে কম। বিশেষত, ক্যানসারের ধরন যদি বিরল প্রকৃতির হয়, তখন বহু দিন পর্যন্ত বোঝাই যায় না উপসর্গগুলোর গুরুত্ব। পেরিয়ে যায় চিকিৎসার সময়।

এবার ক্যানসার থেকে সুস্থ হওয়া কিছুটা হলেও সহজ হতে চলেছে। ‘ডসটারলিম্যাব’ নামক নতুন এই ওষুধের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের পর তেমনই আশা দেখছেন গবেষকদের একাংশ। আমেরিকায় এক পরীক্ষাগারে প্রস্তুত ‘ডসটারলিম্যাব’ নামক ওষুধটি মানবদেহে উৎপন্ন হওয়া অ্যান্টিবডির বিকল্প হিসেবে কাজ করতে পারে। পরীক্ষামূলকভাবে মাস ছয়েক ধরে ১৮ জন মলদ্বারের ক্যানসারে আক্রান্ত ব্যক্তির দেহে এই ওষুধটি প্রয়োগ করেন গবেষকরা। পরীক্ষার শেষে দেখা যায়, প্রত্যেক রোগীর দেহ থেকেই পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে ক্যানসার! এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই চিকিৎসক মহলে হইচই পড়ে গিয়েছে।

‘ডসটারলিম্যাব’-এর খুঁটিনাটি
১) ক্লিনিকাল ট্রায়ালে যে ১৮ জন রোগী অংশগ্রণ করেন, তারা সকলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানহাটনের মেমোরিয়াল স্লোন কেটারিং ক্যানসার সেন্টারে মলদ্বারের ক্যানসারে ভুগছিলেন।

২) যে রোগীদের ওপর গবেষণা চালানো হয়েছে, তাদের সকলের শরীরে কেবল মলদ্বার ও তার চারপাশে লসিকাগ্রন্থির মধ্যেই ক্যানসার ছড়িয়ে পড়ে। শরীরের আর কোনো অংশে এই রোগের বিস্তার তখনো ঘটেনি।

৩) ওষুধটি ছয় মাস ধরে প্রতি তিন সপ্তাহ অন্তর নির্ধারিত মাত্রায় রোগীদের দেয়া হয়েছিল।

৪) গবেষকরা প্রথমে ভেবেছিলেন, এই ওষুধ প্রয়োগের পরেও রোগীদের হয়তো অস্ত্রোপচার, কেমোথেরাপি ও রেডিয়েশনের মতো প্রথাগত চিকিৎসা পদ্ধতির প্রয়োজন হবে। কিন্তু এখন তাদের আর এই সব চিকিৎসার কোনোটিরই প্রয়োজন নেই। এন্ডোস্কোপি, পিইটি স্ক্যান এবং এমআরআই স্ক্যানের মাধ্যমে তারা দেখেন সেই ১৮ জন রোগীর শরীরে ক্যানসার সম্পূর্ণরূপে নিরাময় হয়ে গিয়েছে।

৫) বিদেশী সংবাদপত্র ‘নিউইয়র্ক টাইমস’-এর তথ্য অনুসারে, ‘ডসটারলিম্যাব’ ওষুধের প্রতি ডোজের দাম প্রায় ১১,০০০ ডলার (বাংলাদেশী মূল্যে প্রায় ১০,২৩,৩৬০ টাকা)।

৬) ক্লিনিকাল ট্রায়াল শেষ হওয়ার ২৫ মাস পরে রোগীদের ফের পরীক্ষা করা হয়। তখনো তাদের শরীরে কোনো রকম অস্বস্তিবোধ কিংবা ক্যানসার কোষের হদিস মেলেনি।

এমন ঘটনা ক্যানসারের ইতিহাসে এই প্রথম। একই মতামত পোষণ করেছেন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরাও। ভবিষ্যতে আরো বৃহত্তর ট্রায়ালে ওষুধটি কেমন ফলাফল দেখায়, তার দিকেই চোখ বিশেষজ্ঞদের।

সূত্র : আনন্দবাজার


আরো সংবাদ



premium cement