১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সন্তান নেয়ার ক্ষেত্রে এইডস আক্রান্ত নারীর ঝুঁকি বেশি

সন্তান ধারণে এইডস আক্রান্ত নারীর ঝুঁকি অনেক বেশি - প্রতীকী ছবি

তেত্রিশ বছর বয়সী আয়েশা (ছদ্মনাম) দু’ সন্তান নিয়ে সুখেই ছিলেন। স্বামী থাকেন মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশে। প্রায় প্রতি বছরই ১৫ দিন থেকে এক মাসের জন্য বাড়ি আসেন। শেষ এসেছিলেন পাঁচ মাস আগে। বিশ দিন পরিবারের সাথে থেকে আবার চলে যান নিজের কর্মস্থলে। স্বামী যাওয়ার কিছুদিন পরই আয়েশা বুঝতে পারেন তৃতীয়বারের মত মা হতে যাচ্ছেন তিনি। খবরটা শুনে ভালোই ছিলেন। কিন্তু তার কয়েকদিন পর থেকে তার শরীরটা খারাপ করতে থাকে। প্রায়ই রাতে হালকা জ্বর আসে।

শুরুতে খুব বেশি পাত্তা না দিলেও শরীর বেশি খারাপ হয়ে গেলে দেখা করেন তাদের পারিবারিক গাইনোলজিস্টের সাথে। তিনি বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে দেন। সেসব পরীক্ষার রিপোর্ট দেখে ডাক্তার জানান যে, আয়েশা এইচআইভি এইডসে আক্রান্ত। ডাক্তারের কথা শুনে মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে তার।

ডাক্তার তাকে আশ্বাস দেন এইচআইভি পজিটিভ নারী সন্তান নিতে পারবেন না, এমন কোন কথা নেই। তবে এক্ষেত্রে বেশ ঝুঁকি রয়েছে।

গাইনোকলজিস্ট ডা: মনোয়ারা হক বলেন, একজন এইচআইভি পজিটিভ নারীও সন্তান নিতে পারবেন। তবে ঝুঁকি রয়েছে।

তিনি বলেন, এক্ষেত্রে বেশ কিছু উপায়ে মা থেকে শিশু আক্রান্ত হতে পারে। যেমন গর্ভাবস্থায় শিশু আক্রান্ত পারে। এছাড়া প্রসব ও বুকের দুধ খাওয়ানোর সময়ও শিশু আক্রান্ত হতে পারে। গর্ভাবস্থায় এইচআইভি প্লাসেন্টার মাধ্যমে ভ্রুণে যেতে পারে এবং ভ্রুণকে সংক্রমিত করতে পারে।

তিনি বলেন, প্রসবের সময় শিশু মায়ের রক্ত ও অন্যান্য তরলের মাধ্যমেও ভাইরাসের সংস্পর্শে আসতে পারে। এছাড়া শিশু বুকের দুধ পান করার সময়ও আক্রান্ত হতে পারে। এজন্য বর্তমানে প্রত্যেক নারীকে সন্তান ধারণের সময় অবশ্যই এইচআইভি টেষ্ট করানোর পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারেরা।

তিনি বলেন, এইচআইভি আক্রান্ত নারীদের সন্তান ধারণের সময় এবং এরপর থেকে অবশ্যই বেশি রকমের সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। আগে থেকে সতর্ক থাকলে ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়।

ডা: হক বলেন, এ সময় শিশুর সুরক্ষার জন্য অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল চিকিৎসা গ্রহণ করা প্রয়োজন। এ চিকিৎসা নিলে শিশুর সংক্রমণের ঝুঁকি এক শতাংশের নিচে নেমে আসে। আর যেসব নারী আগে থেকে এ ভাইরাসে আক্রান্ত এবং সন্তান ধারণের পরিকল্পনা করছেন তাদের অবশ্যই আগেভাগে ডাক্তারের সাথে অলোচনা করার পরামর্শ দেন তিনি।

তিনি বলেন, বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শে চললে এবং সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করলে এইচআইভি আক্রান্ত নারীও সুস্থ থাকেন। সেক্ষেত্রে শরীরে ভাইরাসের পরিমাণ কমে আসে।

এছাড়া এইচআইভিতে আক্রান্ত নারী যদি তার সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ান তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

সূত্র: বাসস


আরো সংবাদ



premium cement
ফরিদপুরের গণপিটুনিতে নিহত ২ নির্মাণশ্রমিক জাতিসঙ্ঘে ফিলিস্তিনি সদস্যপদ লাভের প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো তীব্র তাপপ্রবাহে বাড়ছে ডায়রিয়া হিটস্ট্রোক মাছ-ডাল-ভাতের অভাব নেই, মানুষের চাহিদা এখন মাংস : প্রধানমন্ত্রী মৌসুমের শুরুতেই আলু নিয়ে হুলস্থূল মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে মূল্যস্ফীতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না এত শক্তি প্রয়োগের বিষয়টি বুঝতে পারেনি ইসরাইল রাখাইনে তুমুল যুদ্ধ : মর্টার শেলে প্রকম্পিত সীমান্ত বিএনপির কৌশল বুঝতে চায় ব্রিটেন ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট আজ নিষেধাজ্ঞার কারণে মিয়ানমারের সাথে সম্পৃক্ততায় ঝুঁকি রয়েছে : সেনাপ্রধান

সকল