২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

কে সেই ‘অন্তর্যামী’?

-

কবিগুরু ও বিশ্বকবি খ্যাতিপ্রাপ্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘রথযাত্রা’ কবিতার দু’টি পঙ্ক্তি ‘রথ বলে আমি দেব, পথ বলে আমি/মূর্তি বলে আমি দেব, হাসেন অন্তর্যামী’। এখানে দেখা যাচ্ছে, রথ তার সাজসজ্জা, তোয়াজ-তাজিম, তাকে গড়িয়ে গন্তব্যে নিয়ে যাওয়ার গর্বে আটখানা হয়ে নিজেকেই দেবতা ভাবলেও পথ তা স্বীকার করছে না; কারণ তার দাবি, ‘রথ তুমি যত মর্যাদার দাবিদারই হও, আমি পথ তোমাকে গন্তব্যে যেতে না দিলে তোমার দাবি অসার। কাজেই আমিই দেবতা।’ অপর পক্ষে মূর্তির দাবি হলোÑ ‘হে রথ! তোমাতে চড়ে এবং হে পথ! তোমাকে মাড়িয়ে ভক্তরা আসছে আমার কাছে পূজার সব নৈবেদ্য নিয়ে। কাজেই তোমাদের দু’জনের দাবি মিছে। প্রকৃত দেবতা আমি।’
কিন্তু বিশ্বকপি যে পঙ্ক্তি দিয়ে বাক্য বা বক্তব্যের পূর্ণতা প্রকাশ করেছেন, তা হলো ‘হাসেন অন্তর্যামী’। কিন্তু কে সেই অন্তর্যামী?
সেই অন্তর্যামী যিনি, রথ-পথ-মূর্তির দাবিতে হাসি দিয়েছেন। তাকি তাচ্ছিল্যের হাসি নয়? যারা ওসব রথ-পথ-মূর্তি-দেবতা ইত্যাদিতে বিশ্বাসী, তারা কবিগুরুর এ বক্তব্যের কী ব্যাখ্যা দেবেন? এখন যদি বলা হয়, এক দেবতার দেবত্ব আর কি দেবতাই মানছে না? আর সেসব দেখে যে অন্তর্যামী অদৃশ্যে থেকে তাচ্ছিল্যের হাসি হাসছেন, সেই নিরাকার অন্তর্যামীই কি সর্বস্রষ্টা, সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা? সর্বশক্তিমান পালনকর্তাই এবং সব প্রশংসা ও ইবাদতের হকদার মহান আল্লাহপাক নন কি? না হলে পঙ্ক্তি দু’টির ব্যাখ্যা কী? আর শুধু মৌলিক স্বীকারোক্তিতেই কি পূজার প্রতি পূজকদের দায়দেনা সব শোধ হবে?
কাজী মো: গোলজার হোসেন
ইসলামপুর, মিঠাপুকুর, রংপুর।


আরো সংবাদ



premium cement