২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ইন্টারনেট আসক্তিতে বিপদ

-

এখন যুগ ডিজিটালের। প্রেমিক মন আর তাই লেখে না আকাশের ঠিকানায় চিঠি। ছেলের হাতের লেখা চিঠি যতেœ আঁচলে বেধে রাখেন না কোনো মা। দরকারইবা কী? যেখানে স্কাইপে ছেলের বা প্রেমিকার ভিডিও কলে কথা বলে সামনাসামনি কথা বলার শিহরণ পাওয়া যায় সেখানে কষ্ট করে চিঠি লেখার প্রয়োজনইবা কী? ফেসবুকে নতুন বন্ধুত্বের হাতছানি। দূরত্বকে জয় করেছে ফেসবুক। মনের মানুষের সাথে চ্যাট করে আনন্দে কাটছে ক্ষণ। কিন্তু তারপরও কী সব সমস্যার সমাধান হয়েছে। ফিঁকে হয়েছে ভালোবাসার রঙ। ঠুনকো কারণে দুটো পথ বেঁকে যাচ্ছে দু’দিকে। সংসার ভাঙছে অবিশ্বাসের বিষক্ত বাতাসে। শুধু তাই নয়, দেখা দিচ্ছে মানসিক ও শারীরিক সমস্যা।
ইন্টারনেট আজ মানুষের সব কাজ সহজ করে দিয়েছে। কিন্তু সব সহজ ভালো নয়। এটি বিরূপ প্রভাব ফেলছে স্বাস্থ্যে। এ নিয়ে বেশ গবেষণা হয়েছে, হচ্ছে।
সব গবেষণার শেষে বলা হচ্ছেÑ ইন্টারনেট আসক্তি যেটা মাদকের মতো। মাদকাসক্তিতে ছেয়ে গেছে দেশ। এটি শরীরের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে, মানসিক দিকও অন্তর্ভুক্ত। তেমনি নেশা ইন্টারনেট। মাদক হঠাৎ বন্ধ করে দিলে শরীরে যেমন বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় তেমনি প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় ইন্টারনেট ব্যবহারেও। দিন দিন বাড়ছে ইন্টারনেট আসক্তদের সংখ্যা।
ইন্টারনেট ব্যবহাকারীদের মধ্যে বিষণœতায় আক্রান্তের হার বেশি। গবেষণায় তা প্রমাণিত হয়েছে। দেখা যায় যারা ইন্টারনেট বেশিক্ষণ ধরে ব্যবহার করেন কম্পিউটার লগ অফ করার পর তারা বিষাদে আক্রান্ত হন। সম্প্রতি পিএলওএস ওয়ান জার্নালে একটি গবেষণা তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। এতে ৬০ জন ব্যক্তি অংশগ্রহণ করেন। এদের মধ্যে দেখা যায় ৩২ জন দীর্ঘ সময় ধরে কম্পিউটার বা ইন্টারনেট ব্যবহার করেন বাকি ২৮ জন কম ব্যবহারকারী। এদেরকে নেট ব্যবহারের আগে প্রশ্নোত্তর করা হয়।
১৫ মিনিট নেট ব্যবহার করার পর আবার বিভিন্ন প্রশ্ন দেয়া হয়। দেখা যায় তাদের মানসিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে।
বিশ্বব্যাপী আত্মহত্যার হার বেড়েছে। বিষণœতা এর মূল কারণ। ইন্টারনেট আসক্তি থেকে আত্মহত্যার ঘটনা যে ঘটছে না তার প্রমাণ কী? বরং গবেষকরা বলছেন এটিও অন্যতম কারণ।
অতিরিক্ত নেট আসক্তি সম্পর্কে খারাপ প্রভাব ফেলে। গবেষণায় দেখা গেছে যারা বেশিক্ষণ নেট ব্যবহার করেন তারা সঙ্গীর সাথে সময় কাটানোর চেয়ে নেটে বসে থাকাকেই বেশি আনন্দের বলে মনে করেন। ফলে দূরত্ব বাড়ে। এক সময় বিচ্ছেদ। বিচ্ছেদ হলেই যে সমস্যার শেষ তা কিন্তু নয়। এতে করে তারা আরোও বিষণœতায় ভোগেন। এটিই নিয়ে যায় আত্মহত্যার পথে।
যারা দীর্ঘ দিন ধরে বেশিক্ষণ নেট ব্যবহার করেন তাদের হঠাৎ করে নেট ব্যবহার বন্ধ করে দিলে উল্টো ফল হতে পারে। এতে করে বাড়তে পারে বিষণœতা, হতাশা, দুশ্চিন্তা। এটি আরো খারাপ। হঠাৎ মাদক সেবন বন্ধ করার মতো।
বেশিক্ষণ ধরে বসে থাকার জন্য দেখা দিচ্ছে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা। মুটিয়ে যাচ্ছেন অনেকেই, এ থেকে বাড়ছে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি।
মানসিক স্বাস্থ্যের বাইবেল নামে পরিচিত ডায়াগনোস্টিক অ্যান্ড স্ট্যাটিসটিক্যাল ম্যানুয়াল অব মেন্টাল ডিজিজ (ডিএসএম)। আসছে পঞ্চম অ্যাডিশন। এতে ইন্টারনেট ইউজ গেমিং ডিজঅর্ডার সংযুক্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার পাশাপাশি আরো গবেষণার প্রয়োজন বলে তারা মনে করেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement
নবায়নযোগ্য জ্বালানি ৪০ শতাংশে উন্নীত করতে কাজ করছে সরকার : পরিবেশ সচিব সৌরশক্তি খাতে আবার মাথা তুলে দাঁড়াতে চায় জার্মানি ‘সরকারের সদিচ্ছার অভাবেই বিচার প্রক্রিয়ার ধীর গতি’ মোদি কি হিন্দু-মুসলমান মেরুকরণের চেনা রাজনীতিতে ফিরছেন? টাঙ্গাইলে বৃষ্টির জন্য ইসতেসকার নামাজ ফুলগাজীতে ছাদ থেকে পড়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু দোয়ারাবাজারে শিশু হত্যা মামলার আসামিসহ গ্রেফতার ২ কাউখালীতে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু চুয়েট শিক্ষার্থীদের সড়কে অবস্থান অব্যাহত, ঘাতক বাসচালক গ্রেফতার তামাক পণ্যে সুনির্দিষ্ট করারোপের দাবিতে এনবিআর চেয়ারম্যানের কাছে ২৫ সংসদ সদস্যের চিঠি প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীতে মহিষের আক্রমণে বাবা-ছেলেসহ আহত ৪

সকল