২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মাসিককালীন ব্যথায় করণীয়

-


মাসিকের সময় তলপেটে ব্যথায় নীল হয়নি এমন মেয়েদের সংখ্যা খুব কম। সাধাণরত মাসিক শুরু হওয়ার পর থেকেই কোনো কারণ ছাড়াই মাসিককালীন ব্যথা হতে পারে। এছাড়াও কিছু রোগের কারণে মাসিক হতে পারে ব্যথাযুক্ত। একে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় ডিসমেনোরিয়া। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যের ৫০ শতাংশ মেয়ের এ সমস্যায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়। শুধু এ সমস্যার জন্য প্রায় ৭০ শতাংশ মেয়েকে ব্যথার ওষুধ সেবন করতে হয়। আমাদের দেশের মেয়েদের মধ্যে ডিসমেনোরিয়ার হার অনেক বেশি।
ডিম্বাণু নিষিক্ত না হলে অনিষিক্ত ডিম্বাণু ও জরায়ুর ভেতরের স্তর মাসিকের সময় জরায়ুর সঙ্কোচনের মাধ্যমে দেহের বাইরে চলে আসে। এ সঙ্কোচনের ফলে জরায়ুর রক্তনালীগুলোও সঙ্কুচিত হয়। জরায়ুর কোষগুলো অক্সিজেনের অভাবে মারা যায়। এ সময় জরায়ু থেকে কিছু কিছু কেমিক্যাল নিঃসৃত হয়। এগুলো ব্যথার জন্য দায়ী। আবার সঙ্কোচন বাড়ানোর জন্য দেহ প্রোস্টাগ্লান্ডিন নিঃসরণ করে। এটিও ব্যথা বাড়ায়। এটি কিন্তু স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তাই মাসিকের সময় ব্যথা হওয়া অস্বাভাবিক নয়। তবে কারো কারো ক্ষেত্রে ব্যথা চরম আকার ধারণ করে।
ডিসমেনোরিয়া বা মাসিককালীন ব্যথা দুই প্রকার। প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি। প্রাইমারি ডিসমেনোরিয়াতে জরায়ুতে কোনো রোগ থাকে না। মাসিক শুরু হওয়ার সাথে সাথে ব্যথা শুরু হয়। ২-৩ দিন ব্যথা থাকে। বেশির ভাগ মেয়েই এ ধরনের ব্যথায় ভোগেন। জীবনের প্রথম মাসিকের সময় থেকেই এ ব্যথা শুরু হয়। সেকেন্ডারি ডিসমেনোরিয়া সাধারণত সন্তান জন্মদানের পর মেয়েদের প্রজননতন্ত্রে ইনফেকশনের কারণে দেখা যায়। এ ছাড়াও ফাইব্রয়েড, এন্ডোমেট্রিওসিস, এডেনোমায়োসিসও হতে পারে সেকেন্ডারি মাসিককালীন ব্যথা। এক্ষেত্রে মাসিকের আগে ও পুরো মাসিকের সময় ব্যথা থাকে। মাসিকের পর ধীরে ধীরে ব্যথা কমতে থাকে।
সাধারণত প্রাইমারি ডিসমেনোরিয়ায় আক্রান্তদের তেমন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার প্রয়োজন পড়ে না। সেকেন্ডারিতে আক্রান্তদের ক্ষেত্রে রোগ নির্ণয় করার জন্য হাই ভ্যাজাইনাল সোয়াব সিএস, সারভাইক্যাল সোয়াব, ইউরিন কালচার, আলট্রাসনোগ্রামের প্রয়োজন পড়ে।

চিকিৎসা

প্রাইমারি ডিসমেনোরিয়া নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। এতে সন্তান ধারণে কোনো সমস্যা হয় না। সন্তান ধারণ করলে এ ব্যথা আপনা আপনি ভালো হয়ে যায়। যারা এখনো ক্যারিয়ার নিয়ে ব্যস্ত তারা প্রতি সাইকেলে ব্যথা হলে ব্যথানাশক এনএসআইডি যেমন আইবুপ্রোফেন সেবন করলে ভালো ফল পাবেন। এ ছাড়াও ৩-৪ সাইকেল ওরাল কন্ট্রাসেপটিভ বা জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল সেবন করে এ সমস্যা মুক্ত হওয়া সম্ভব। ওজন বেশি থাকলে তা কমাতে হবে।
প্রতিদিন ব্যয়াম করতে হবে। ধূমপান বা মদপানের অভ্যাস থাকলে পরিত্যাগ করতে হবে। সেকেন্ডারি ক্ষেত্রে কোন কারণে মাসিকের সময় ব্যথা হচ্ছে তা সঠিকভাবে নির্ণয় করতে হবে। কারণ অনুযায়ী চিকিৎসা করতে হবে।

লেখক : গাইনি ও প্রসূতিবিদ্যা বিশেষজ্ঞv


আরো সংবাদ



premium cement
বৃষ্টির জন্য রাজশাহীতে ইসতিসকার নামাজ আদায় গাজীপুরে মহাসড়কের পাশ থেকে মৃত হাতি উদ্ধার প্রচণ্ড গরমের মধ্যে লোডশেডিং ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যা : প্রতিবাদ সমাবেশে পুলিশের গুলির নিন্দা জামায়াতের রাজধানীতে তৃষ্ণার্তদের মাঝে শিবিরের বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ রাজশাহীতে সাড়ে ৬ কোটি টাকার হেরোইনসহ যুবক গ্রেফতার এফডিসিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলা গাজার বালিতে আটকে পড়েছে ইসরাইলি বাহিনী : হামাস মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদন : যা বলছে আওয়ামী লীগ মান্দায় বিদ্যুতের আগুনে পুড়ল ৮ বসতবাড়ি রিজওয়ানকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ব্র্যাডম্যান বললেন আফ্রিদি

সকল