২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ব্রেন টিউমারে খাবার

-

ব্রেন টিউমারের সুনির্দিষ্ট কারণ সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি। অনেক ক্ষেত্রে বংশগতির প্রভাবে এর ঝুঁকি দেখা যায়। অতিরিক্ত রেডিয়েশনের মধ্যে যারা থাকে তাদের ঝুঁকি বেশি। এ ছাড়া মোবাইল ফোন বেশি ব্যবহারকারীর মধ্যে একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে এই রোগের ঝুঁকি থাকে। কিছু কিছু রাসায়নিকের প্রভাবে এই রোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
সুস্থ্য-স্বাভাবিক জীবনযাপন। স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া ও নিয়মিত শরীরচর্চা করে ব্রেন টিউমারসহ যেকোনো ক্যান্সার কোষ বা টিউমারের বৃদ্ধিসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা প্রতিরোধ করা সম্ভব। অতিরিক্ত কিটনাশক ব্যবহার করা খাদ্য, মাইক্রোওয়েভ ব্যবহারে তৈরি খাদ্য ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে।
কৃত্রিম রঙ, কৃত্রিম চিনি, রাসায়নিক প্রিজারভেটিভ ব্যবহারে তৈরি খাবার পরিহার করে চলতে হবে। পরিশোধিত খাবারের ব্যবহার কমাতে হবে। বলা হয় সাদা চাল, সাদা আটা, সাদা চিনির ব্যবহার কমাতে হবে। পরিশোধিত খাদ্যশস্য বিশেষ করে ময়দা সাদা করার জন্য যেসব কেমিক্যাল ব্যবহার করা তা মানবদেহের জন্য সম্পূর্ণ অনুপযোগী। লবণে জারিত গোশত, কলা, হটডগ, সালামি, সসেজ বহু মানুষের দৈনন্দিন খাবার। প্রক্রিয়াজাত গোশতে সোডিয়াম নাইট্রেটের মতো ক্ষতিকারক প্রিজারভেটিভ থাকে। ধূমায়িত বা উচ্চ তাতে পোড়ানো গোশত নাইট্রেট বিক্রিয়ার মাধ্যমে নাইট্রাইটে রূপান্তরিত হয়। সুতরাং প্রক্রিয়াজাত গোশত ব্যবহার বর্জন করতে হবে। টিনজাত খাবারের (ক্যানফুড) ব্যবহার কমাতে হবে। প্লাস্টিক বোতল, প্লাস্টিক প্যাকেট, প্লাস্টিকের বক্সে রাখা খাবার ব্যবহার কমাতে হবে।
যতটা সম্ভব তাজা শাকসবজি, ফলমূল, দুধ-ডিম, মাছ-গোশত ও আঁশযুক্ত শস্যজাতীয় খাবারের মাধ্যমে সুষম খাবার গ্রহণ, ওজন নিয়ন্ত্রণ, নিয়মিত ব্যায়াম ও পর্যাপ্ত পানি পানের মাধ্যমে সুস্থ ও ভালো থাকা সম্ভব। এর সাথে নিয়মিত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম এবং মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
Ñ পুষ্টিবিদ


আরো সংবাদ



premium cement