২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শিশুর নীরব ঘাতক রোটাভাইরাস

-


শিশু মৃত্যুর অন্যতম কারণ কিন্তু ডায়রিয়া। সারা বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় ৬ লাখ শিশু এই ঘাতকের কারণে মারা যায়। সব শিশু তাদের পঞ্চম জন্মদিন উদযাপনের আগেই এ ভাইরাস দিয়ে আক্রান্ত হয়। বাংলাদেশেও প্রতি বছর মৃত্যুবরণ করে প্রায় ২ থেকে ৩ হাজার শিশু, যা প্রতি ঘণ্টায় একটি শিশুর মৃত্যুর সমান। রোটাভাইরাস আক্রমণ করার দু’দিনের মধ্যেই বিভিন্ন উপসর্গ দেখা যায়। এর মধ্যে জ্বর হতে পারে, সাথে পেট ব্যথা, বমি বমি ভাব এবং ঘন ঘন পাতলা পায়খানা হয়। শিশুরা খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দেয় এবং পানিশূন্যতায় ভোগে। শিশুকে প্রচুর পরিমাণে খাওয়ার স্যালাইন খাওয়ানো না হলে সাধারণত ৩ থেকে ৮ দিনের মধ্যে ডায়রিয়া মারাত্মক হতে পারে। এমনকি এতে শিশুর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। যেহেতু ভাইরাসটি কয়েক দিন পর্যন্ত ঘরের মেঝেতে, টেবিলে, খেলনার মধ্যে এবং বিভিন্ন আসবাবপত্রে বেঁচে থাকতে পারে, তাই ভাইরাসটি খুব সহজে একজন থেকে আরেকজনে সংক্রমিত হতে পারে। কমপক্ষে ৩১ রকমের রোটাভাইরাসের মধ্যে মানুষকে আক্রান্ত করতে পারে এমন প্রধানত ৫ রকমের ভাইরাস আছে।
রোটাভাইরাস প্রতিরোধের উপায়
ভ্যাক্সিন : বাজারে রোটা টেক এবং রোটেক্স নামে ২টি রোটাভাইরাস ভ্যাক্সিন পাওয়া যায়। ৬-১২ সপ্তাহ বয়সের শিশুকেরোটা টেকের প্রথম ডোজ ভ্যাক্সিন দিলে রোটাভাইরাস ডায়রিয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। দ্বিতীয় ডোজ দিতে হয় ৪ থেকে ১০ সপ্তাহ পরে। শিশুর বয়স যখন ৩২ সপ্তাহ হয় তখন শেষ ডোজটি দিতে হয়। রোটেক্স ভ্যাক্সিন দুই ডোজ দিতে হয়। প্রথম ডোজটি শিশুর ৬-১২ সপ্তাহ বয়সে এবং শেষটি ২৪ সপ্তাহ বয়সে দিতে হয়। শিশুকে সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা। শিশুকে মায়ের দুধ দেয়া।

রোটাভাইরাস ডায়রিয়া প্রতিকারের উপায়
আক্রান্ত শিশুকে খাবার স্যালাইন দেয়া। মায়ের দুধ বন্ধ করা যাবে না। সেই সাথে বয়স অনুযায়ী অন্যান্য খাবারও দিতে হবে। ফলের রস বা কোমল পানীয় না খাওয়ানোই ভালো। জিংক ট্যাবলেট খাওয়ানো যেতে পারে। অবস্থা বেশি খারাপ হলে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত।


আরো সংবাদ



premium cement