২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগীরা ফেসবুক থেকে সাবধান!

-


সারা বিশ্বে ৫০ কোটির অধিক লোক ফেসবুক ব্যবহার করে। দিন দিন ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। ফেসবুকে নিজের ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো বন্ধুদের সাথে ভাগাভাগি না করলে স্বস্তি পান না অনেকেই। অতিরিক্ত ফেসবুক ব্যবহার হতে পারে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। ‘দ্য ল্যানসেট’-এর নভেম্বর সংখ্যায় প্রকাশিত একটি কেস স্টাডিতে জানানো হয়েছে ফেসবুক ব্যবহার অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগীদের শ্বাসকষ্ট বাড়াতে পারে। ইতালির গবেষক ডা: জেনারো ডি’এমারতো এ গবেষণা পরিচালনা করেন।
কেস স্টাডিতে জানা যায়, ১৮ বছরের ফেসবুক ব্যবহারকারী অ্যাজমায় আক্রান্ত তরুণের বান্ধবীর সাথে ফেসবুকে সম্পর্কচ্ছেদ ঘটে। শত চেষ্টা করেও ঠিক করতে পারেনি সম্পর্ক। ব্যর্থ হয়ে অন্য নামে ফেসবুকে নতুন আইডি খুলে ওই তরুণীর সাথে বন্ধুত্ব স্থাপনের চেষ্টা করে সে। কিন্তু প্রতিবার ফেসবুক ব্যবহার করার পর তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। তরুণের অভিভাবক ডি’এমারতোর সাথে যোগাযোগ করেন। তিনি ওই তরুণের নিয়মিত পিক এক্সপেরিটরি ফ্লো (পিইএফ) নির্ণয় করেন যার মাত্রা অ্যাজমা রোগীদের ক্ষেত্রে কমে যায়। এতে দেখা যায় ফেসবুক ব্যবহারের পর পিইএফ-র মাত্রা কমে যায়, কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা ২০ শতাংশ। ফেসবুক ব্যবহার বন্ধ করে দেয়ায় ওই তরুণের শ্বাসকষ্ট কমে যায় তথা পিইএফ-র মাত্রা বেড়ে যায়। গবেষকরা মনে করছেন ফেসবুক ব্যবহারে মানসিক চাপই অ্যাজমা রোগীদের শ্বাসকষ্টের কারণ। বিশ্বব্যাপী অ্যাজমা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে এবং বেশির ভাগই তরুণ সমাজের। তরুণ অ্যাজমা রোগীদের ফেসবুক ব্যবহারে সর্তক হতে সুপারিশ করেছেন গবেষকরা।


আরো সংবাদ



premium cement