হাতে ব্যথার কারণ হতে পারে কম্পিউটার মাউস

কম্পিউটারে কাজ করার সময় ভুলভাবে মাউস ব্যবহারের ফলে হতে পারে হাতে ব্যথা। চিকিৎসাশাস্ত্রে যার নাম রিপেটিটিভ স্ট্রেইন ইনজুরি (আরএসআই)। এটি মাউস আর্ম নামেও পরিচিত। জার্মান অ্যাসোসিয়েশন অব নার্ভ ডক্টরস-এর প্রধান ফ্র্যাঙ্ক বার্জম্যান বলেন, ‘হাত বা বাহুর নিচে টনটন করা, অসাড়তা বা দুর্বল বোধ করা হচ্ছে এই রোগের প্রাথমিক লক্ষণ। বেকায়দায় মাউস ধরে অনেকক্ষণ ব্যবহার করলে হাতের কোষগুলো আঘাতপ্রাপ্ত হতে থাকে। যা থেকে স্নায়ুতন্ত্রে দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা সৃষ্টি হয়।’ তিনি আরো জানান, এই ব্যথা প্রাথমিকভাবে মস্তিষ্কেও প্রভাব ফেলতে পারে। ব্যথা থেকে মুক্তির উপায় জানাতে গিয়ে এই স্নায়ুবিজ্ঞানী বলেন, ‘মাউসের ব্যবহার কমিয়ে এই ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। মাউসের অনেক কাজই কিবোর্ড দিয়ে করা যায়। কিবোর্ডের সেসব কমান্ড জেনে নিয়ে কম্পিউটার ব্যবহারে অভ্যস্থ হতে হবে।’ মাউসের আকৃতিও হতে হবে হাতের সাথে মানানসই। এ ছাড়া মাউস প্যাডও হাতের ব্যথা উপশমে সাহায্য করে। তাই প্যাডবিহীন মাউস ব্যবহার করা উচিত নয়। মাউস বাদে অন্যান্য অপশন যেমন ভয়েস রিকগনিশন পদ্ধতি ব্যবহার করেও মাউসের ওপর চাপ কমানো যায়। এতে হাতের ওপর থেকেও চাপ কমবে। বার্জম্যান পরামর্শ দিতে গিয়ে বলেন, ‘অঙ্গপ্রত্যঙ্গ টানটান করা ধরনের ব্যায়াম, স্বাভাবিকভাবে হাত নাড়াচাড়া করা সেই সাথে কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিশ্রাম নিলে হাতের পেশির ওপর থেকে চাপ কমে।’ তিনি আরো বলেন, ‘এ জাতীয় কোনো ব্যথার লক্ষণ দেখা দিলে বা কোনো কিছু তুলতে গিয়ে হাতে ব্যথা অনুভূত হলে, দেরি না করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্নায়ুবিদের কাছে যাওয়া উচিত। ডাক্তারের কাছে যেতে যত দেরি করবেন ততই এই ব্যথা চিরস্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা বাড়তে থাকবে। হ