২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`
ৎজরুরি চিকিৎসা

চোখ ওঠা

-

চোখ ওঠেনি এমন কাউকে কি পাওয়া যাবে? চোখ উঠলে চোখ লাল হয়ে যায়, কিছুটা ব্যথা ও খচখচ ভাব থাকে। এর সাথে থাকে চোখ দিয়ে পানি পড়ার সমস্যা। চোখ ওঠা হতে পারে ব্যাকটেরিয়া দিয়ে, এ ছাড়া ভাইরাস আক্রমণের কারণেও চোখ ওঠার সমস্যা হতে পারে। বেশির ভাগ সময়ই ভাইরাসে চোখ ওঠে। মাঝে মধ্যে দেশব্যাপী চোখ ওঠা দেখা দেয়। পরিবারের কেউ বাদ যান না হয়তো সে সময়।
সাধারণত এ ধরনের চোখ ওঠায় অ্যান্টিভাইরাল কাজ করে না। ভাইরাসের আক্রমণ সাত-আট দিন পর আপনাআপনি ভালো হয়ে যায়। আক্রান্ত চোখে নোংরা পানি লাগানো যাবে না। ধুলাবালু, দূষিত বাতাস যেন চোখে প্রবেশ না করে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
বাইরে বের হলে সানগ্লাস পরতে হবে। এটি রোদে চোখ জ্বলা কমাবে। অনেকে চোখে বারবার পানি দিয়ে পরিষ্কার করেন বা চোখে পানির ঝাপটা দেন, এটাও ঠিক নয়।
কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভাইরাসের আক্রমণের পর ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটে। এ জন্য দিনে তিন থেকে চারবার চোখের অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ ক্লোরামফেনিকল ব্যবহার করতে হবে। ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ না হলেও সেকেন্ডারি ইনফেকশন প্রতিরোধ করার জন্য এটি ব্যবহার করা যায়। চোখে চুলকানি থাকলে অ্যান্টিহিস্টামিন সেবন করতে হবে। কিন্তু অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের প্রয়োজন নেই। তবে যেকোনো ওষুধ সেবন করবেন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী।
চোখ ওঠায় আক্রান্ত হলে যে পাশের চোখ উঠবে, সে পাশেই কাত হয়ে শুতে হবে। না হলে আক্রান্ত চোখ থেকে অন্য চোখে সংক্রমণ হতে পারে। এতে যদি ভালো না হয় বা যদি চোখে জটিলতা, যেমনÑ দৃষ্টি ঝাপসা হলে, চোখ খুব বেশি লাল হলে, খুব বেশি চুলকালে বা অতিরিক্ত ফুলে গেলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
চোখ ওঠা সংক্রামক। এ জন্য যাদের চোখ ওঠেনি, তাদের সচেতন থাকতে হবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। যাদের চোখ উঠেছে, তাদের সংস্পর্শ পরিহার করতে হবে। তাদের ব্যবহার করা রুমাল, কাপড়চোপড়, তোয়ালে ব্যবহার করা যাবে না। এমনকি হ্যান্ডশেকের মাধ্যমেও অন্যরা আক্রান্ত হতে পারেন। এ জন্য হাত তাড়াতাড়ি ধুয়ে ফেলতে হবে। নোংরা হাত চোখে লাগানো যাবে না। হ


আরো সংবাদ



premium cement