২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

এবার ওজন কমান চকোলেটে

এবার ওজন কমান চকোলেটে - সংগৃহীত

চকোলেট খেতে ভালোবাসেন না এমন মানুষের সংখ্যা পৃথিবীতে খুবই কম। বয়স পাঁচ হোক কিংবা ৮০ একটুকরো চকোলেট হাতে পেলে নো ভাগাভাগি। চকোলেটের মতো ভালো উপহার আর কিছুই হয় না। ডিপ্রেশন থেকে ঝগড়া- মন ভালে রাখার একটাই দাওয়াই হল চকোলেট। নতুন সম্পর্ক তৈরি করতেও ভরসা সেই চকোলেটেই। এছাড়াও চকোলেটের কিন্তু আরও অনেক উপকারিতা রয়েছে। কিন্তু এই চকোলেট নিয়েই নানা নিষেধাজ্ঞা জারি হয় ছোট থেকেই।

ছোটবেলায় বলা হয় চকোলেট খেলে দাঁতে পোকা হবে, অন্যদিকে বয়স একটু বাড়লে বলা হয় মেদ জমবে। ডায়েট চার্টে প্রথমেই বাদের তালিকায় ফেলা হয় চকোলেটকে। সম্প্রতি মা হয়েছেন অভিনেত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। সবার মতোই আইসক্রিম, চকোলেট খেতে খুবই ভালোবাসেন শুভশ্রী। আর তাই প্রেগন্যান্সির জার্নিতে মন ভরে চকোলেট খেয়েছেন তিনি। সেই ছবি তিনি নিজেও শেয়ার করেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সঙ্গে অবশ্য লিখেছিলেন 'এই ৯ মাস কোনও ডায়েট নয়'।

তবে নতুন সমীক্ষা আশা জুগিয়েছে ডায়েটপ্রেমীদের মনে। সেই সমীক্ষায় বলা হয়েছে মন ভরে চকোলেট খান, কিন্তু বাড়বে না ওজন। বরং কমবে। শুনেই অবিশ্বাস্য লাগছে? মনে হচ্ছে কীভাবে ঝরবে ফ্যাট? তবে অবশ্য এই টোটকা সব চকোলেটের ক্ষেত্রে প্রযোজন্য নয়। যেসব চকোলেটে চিনির পরিমাণ কম এবং ৭০ শতাংশের বেশি কোকো থাকলেই সেই চকোলেটে কমবে ওজন। তবে ডার্ক চকোলেটই ভালো এক্ষেত্রে। এড়িয়ে যান হোয়াইট চকোলেট। আর যদি প্রতিদিন সাঁতার, সাইক্লিং এর মতো ব্যায়াম করেন তাহলে ৪০ থেকে ৫০ গ্রাম চকোলেট খাওয়াই ভালো। এবার দেখে নিন ঠিক কী কী কারণে চকোলেটে খেলে কমবে ওজন

সুইট ক্রেভিং কমায়
একটু মিষ্টি কিংবা এক টুকরো চকোলেটের জন্য কার না ক্রেভিং হয়। আর এই ক্রেভিং এর পরও যদি না খান তাহলে যেদিন খাওয়া হয় সেদিন পরিমাণে বেশি হয়ে যায়। ফলে ফ্যাট বেশি জমে যায়। তাই যখন মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করবে তখন যদি একটুকরো চকোলেট মুখে ফেলতে পারেন তাহলে ওজনও কমবে। ক্রেভিং কমবে। শরীর থাকবে সুস্থ।

শরীরের ফ্যাট কমায়
সম্প্রতি আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটির ফুড কেমিস্ট্রি জার্নালে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। সেখানেই বলা হয়েছে ডার্ক চকোলেট কোলেস্টেরল কমায়, ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং সেই সঙ্গে ওজনও কিন্তু নিয়ন্ত্রণেই থাকে।

খিদে নিয়ন্ত্রণে রাখে
আমরা যখন শর্করাযুক্ত কোনও খাবার খাই তখন আমাদের দেহ ইনসুলিন প্রতিরোধী। ফলে বেশি করে ঘ্রেলিন হরমোন উৎপন্ন হয়। এই হরমোন খিদে বাড়িয়ে দেয়। আর আমরা তখন বেশি খেয়ে ফেলি। যে কারণে অনেকেই একসঙ্গে ৫টা রসগোল্লা খেয়ে ফেলতে পারেন। ডার্ক চকোলেট খেলে ইনসুলিন ক্ষরণ ঠিক থাকে। শরীরে ইনসুলিন ঠিকমতো তৈরি না হলেই তখন সুগার হয়। ডার্ক চকোলেট কিন্তু ঘ্রেলিনের ৭রণও নিয়ন্ত্রণে রাখে। ২০১০ সালে নেদারল্যান্ডসের একটি স্টাডিতে এই কথাই বলা হয়েছে। এর ফলে ওজনও থাকে নিয়ন্ত্রণে।

স্ট্রেস কমায়
স্ট্রেসের মধ্যে দিয়ে গেলে ওজনও বাড়ে। কারণ স্ট্রেস থাকলেই কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। ফলে খিদেও বেশি পায়। নিজেদের জান্তেই বেশি খেয়ে ফেলি। একটুকরো চকোলেট কিন্তু এই মানসিক চাপ কমিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। কারণ ডার্ক চকোলেট মস্তিষ্কের এন্ড্রোফিনের ক্ষরণও নিয়ন্ত্রণে রাখে। যা স্ট্রেস, ক্লান্সি, অ্যাংসাইটির সঙ্গে শরীরকে লড়াই করতে সাহায্য করে। সূত্র: এই সময়


আরো সংবাদ



premium cement