২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

৬ ফুটের দূরত্ব নিরাপদ নয়, বাতাসে কয়েক ঘণ্টা ভেসে থাকতে পারে করোনাভাইরাস!‌

- সংগৃহীত

করোনাভাইরাস বাতাসে ভেসে থাকতে পারে কিনা তা নিয়ে অনেক তর্ক–আলোচনা হয়েছে বিগত কয়েক মাসে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও দাবি করেছে, কিছুটা সময় বাতাসে ভেসে থাকতে পারে কোভিড–১৯ ভাইরাস। এবার শীর্ষস্থানীয় মার্কিন স্বাস্থ্য সংস্থা সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন তথা সিডিসি দাবি করল, করোনাভাইরাস বাতাসে ভেসে থাকতে পারে কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত। ছড়াতে পারে সংক্রমণ।

সিডিসির গাইডলাইনে দাবি করা হয়েছে, বদ্ধ জায়গায় ৬ ফুট দূরত্বে থেকেও করোনা আক্রান্ত হওয়ার প্রমাণ মিলেছে। বিজ্ঞানীদের মতে, এক্ষেত্রে হাওয়ায় ভেসে কোভিড আক্রান্তের ড্রপলেট অন্যের শরীরে পৌঁছে গিয়েছে।

করোনার গাইডলাইনে বারবার অন্তত ৬ ফুটের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সোমবার প্রকাশিত সিডিসির গাইডলাইনে দাবি করা হয়েছে, কখনও কখনও সেই দূরত্ব রাখা সত্ত্বেও কোভিড পজিটিভ রোগীর শরীর থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর ঘটনা ঘটেছে। এক্ষেত্রে বায়ুবাহিত হয়েই সংক্রমণ ছড়িয়েছে।

গবেষকরা জানাচ্ছেন, কয়েক মুহূর্ত থেকে কয়েক ঘণ্টা সময় পর্যন্ত বাতাসে ভেসে থাকতে পারে করোনাভাইরাস। পেরতে পারে দু’মিটারেরও বেশি দূরত্ব। ফলে বদ্ধ স্থানে তা থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তি জোরে জোরে শ্বাস নিলেও বাতাসে ড্রপলেট ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে দাবি করেছে সিডিসি। বিশেষ করে গান গাইবার সময় কিংবা ব্যায়াম করার মুহূর্তে শ্বাসের গতি বেড়ে যায়। সেই সময় সংক্রমণের সম্ভাবনাও বাড়তে পারে বাতাসে ড্রপলেট ছড়িয়ে পড়ে। 

মানুষের নাক–মুখ থেকে নির্গত হওয়া ড্রপলেট বাতাসের সংস্পর্শে এসে আরও বড় জলকণা তৈরি করতে পারে। তবে বেশি ভারী হয়ে গেলে এরা মাটিতে পড়ে যায়। সিডিসি জানাচ্ছে, আকার ও হাওয়ার গতি, এই দুই বিষয়ের উপর নির্ভর করে বাতাসে কতটা দূরত্ব ভেসে যেতে পারে জলকণা।


আরো সংবাদ



premium cement