২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ডায়াবেটিস এবং উচ্চরক্তচাপে খাবার স্যালাইন

-

ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে শরীর পানি ও লবণ হারায়। খাওয়ার স্যালাইন সেই পানি-লবণের ঘাটতি পূরণ করে। খাবার স্যালাইনে (ওআরএস) নিম্নলিখিত উপাদান নির্দিষ্ট পরিমাণে থাকে : ১. পানি, ২. সোডিয়াম, ৩. পটাশিয়াম ও ৪. গ্লুকোজ বা শর্করা।
এই সোডিয়াম (লবণ) এবং গ্লুকোজ থাকায় অনেক সময় উচ্চরক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের রোগীরা ডায়রিয়ায় এই খাওয়ার স্যালাইন খাবেন কি না, তা নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়েন।
কেননা উচ্চচাপের বা প্রেশারের রোগীদের লবণ কম খেতে বলা হয়। পাশাপাশি ডায়াবেটিসের রোগীদের গ্লুকোজ বা চিনি খেতেও নিষেধ করেন। কিন্তু খাওয়ার স্যালাইনের প্যাকেটে তো লবণ ও গ্লুকোজের মিশ্রণ থাকে।
এখানে গ্লুকোজের প্রধান কাজ অন্ত্রে এ লবণ শোষণে সাহায্য করা। প্রতি লিটার খাওয়ার স্যালাইনে গ্লুকোজের পরিমাণ ২০ গ্রামের বেশি নয় এবং এর প্রায় পুরোটাই অন্ত্রে লবণ শোষণে ব্যবহৃত হয়। তাই ডায়রিয়ায় স্যালাইন খেলে ডায়াবেটিসের রোগীর রক্তে শর্করা বাড়বে এমন ধারণা ঠিক নয়। এ ক্ষেত্রে স্যালাইন মূলত লবণের ঘাটতি পূরণ করার কাজে ভূমিকা রাখে। শরীরের স্বাভাবিক কাজকর্ম বজায় রাখতে লবণের ভারসাম্য রক্ষা করাটা খুবই জরুরি। আর ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে আমরা প্রচুর লবণ হারাই। তাই উচ্চরক্তচাপের রোগীরও ডায়রিয়া হলে স্যালাইন খেতে হবে, এতে লবণের আধিক্য হবে না বা রক্তচাপও বাড়বে না।
ডায়রিয়া হলে স্যালাইন খাওয়ার মাধ্যমে পানি ও লবণের ঘাটতি দ্রুত পূরণ না করলে শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়বে, লবণের অভাবে নিস্তেজ হয়ে পড়বে। পানিশূন্যতা থেকে কিডনি অকার্যকারও হতে পারে। যেসব ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপের রোগীর আগে থেকেই কিডনিতে সামান্য সমস্যা আছে, ডায়রিয়ায় তাদের আরো বেশি জটিলতা হতে পারে। তাই ডায়রিয়া হলে সবাইকেই স্যালাইন খেতে হবে। এ নিয়ে কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্বের অবকাশ নেই। ডায়াবেটিসের রোগীরা সেই সাথে বারবার রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করে দেখবেন ও উচ্চরক্তচাপের রোগীরা রক্তচাপ মাপবেন।


আরো সংবাদ



premium cement