২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মোবাইল ফোনে ক্যান্সার?

-

অনেকের ধারণা মোবাইল ফোন ব্যবহারে মস্তিষ্কের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। ভয়ে অনেকে মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন না। এ নিয়ে গবেষকদেরও আগ্রহের কমতি নেই। থেমে নেই তাদের গবেষণা। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কোনো কিছু বলতে পারছেন না তারা। গবেষণা থেকে জানা যায় ১৯৭০ সালের পর থেকে মস্তিষ্কের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার হার বেড়ে যায়। এর কারণ হিসেবে মোবাইল ফোন যে খুব বেশি দায়ী তা কিন্তু নয়। কারণ সে সময় মোবাইল ফোনের প্রচলন এতটা ছিল না। চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির কারণে নতুন নতুন যন্ত্রপাতি আবিষ্কৃত হয়। ফলে রোগ নির্ণয় সহজ হয়।
একটি গবেষণায় প্রায় ৪২ হাজার ব্যক্তিকে ২০ বছর ধরে ফলোআপে রাখা হয়। প্রাপ্ত ফলাফল থেকে জানা গেছে মোবাইল ফোন ব্যবহারের সাথে মস্তিষ্কের ক্যান্সারের কোনো সম্পর্ক নেই। আবার আর একটি গবেষণা জানাচ্ছে যারা অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন তাদের গ্লায়োমা নামে এক ধরনের মস্তিষ্কের বিনাইন টিউমার হয় কিন্তু ক্যান্সারের সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই। অন্য একটি গবেষণায় দেখা গেছে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের স্যালিভারি গ্ল্যান্ড বা লালাগ্রন্থির টিউমার বেশি হয়। এ গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের খুব অল্পসংখ্যকেরই লালাগ্রন্থির ক্যান্সার হয়েছে। তবে এরা বেশি ধূমপান করেন বলে গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে। ধূমপান এ ক্যান্সারের জন্য দায়ী তা আগে থেকেই জানা। গবেষকরা দীর্ঘমেয়াদি গবেষণার কাজ হাতে নিয়েছেন। সুখবর যে, এখন পর্যন্ত খারাপ কিছু জানা যায়নি।
তবে মোবাইল ফোন ব্যবহার যে ক্যান্সার সৃষ্টির জন্য দায়ী নয় তা নিশ্চিত করে বলার সময় এখনো আসেনি। ক্যান্সার সৃষ্টির কারণ খুঁজে বের করার জন্য প্রয়োজন সময়। ধূমপান যে অনেক ক্যান্সারের জন্য দায়ী তাও বের করতে অনেক দিন লেগেছে। তাই সচেতনতার বিকল্প নেই। চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা কম মোবাইল ফোন ব্যবহারের পক্ষপাতী। কানে মোবাইল না লাগিয়ে হেডফোন, লাউড স্পিকারে কথা বললে মোবাইল মস্তিষ্কের সংস্পর্শে কম সময় থাকবে।


আরো সংবাদ



premium cement