২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

করোনা সংক্রমণ ঠেকানো নিয়ে নতুন গবেষণায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

- ছবি : সংগৃহীত

করোনাভাইরাসের গতি প্রকৃতি নিয়ে নিরলস গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের বিজ্ঞানীরা। সামনে এসেছে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। সম্প্রতি তেমনই এক দাবি করেছেন ক্যালিফর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা...

এতদিন জানা ছিল হাঁচি, কাশি, নিঃশ্বাসের মাধ্যমে বেরোনো ড্রপলেটের মাধ্যমে ক্ষতিকারক করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে ছয় ফুট দূরত্ব পর্যন্ত। সম্প্রতি নতুন একটি গবেষণায় বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, বিভিন্ন আবহাওয়ায়, ঠান্ডা গরমের তারতম্যে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে প্রায় ২০ ফুট পর্যন্ত। এই তথ্য উঠে এসেছে ক্যালিফর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায়।
ফলে বর্তমানে সামাজিক দূরত্ব বিধির ক্ষেত্রে দু’জন মানুষের মধ্যে যে ৬ ফুটের দূরত্বের কথা বলা হয়েছে, এক্ষেত্রে তা কোনও কাজে দেবে না বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।

আগের গবেষণার ভিত্তিতে তারা বলেছেন, হাঁচি-কাশি বা সাধারণ কথাবার্তার সময়েও প্রায় ৪০ হাজার রেসপিরেটরি ড্রপলেট বেরোয়। প্রাথমিক পর্যায়ে এই ড্রপলেটের গতি প্রতি সেকেন্ডে কয়েক মিটার থেকে শুরু করে প্রতি সেকেন্ডে কয়েক শ মিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে।


এই গবেষণার রিপোর্ট প্রি-প্রিন্ট হিসেবে প্রকাশিত হয়েছে medrXiv-এ। বিজ্ঞানীরা একটি কমপ্রিহেনসিভ গাণিতিক মডেলের সাহায্য নিয়েছেন। এরই মাধ্যমে রেসপিরেটরি ড্রপলেটের ইভাপোরেশন, হিট ট্রান্সফার এবং প্রোজেক্টাইল মোশন খতিয়ে দেখা হয়েছে বিভিন্ন তাপমাত্রা, আর্দ্রতা এবং ভেন্টিলেশন পরিস্থিতিতে। এর থেকেই দেখা গেছে করোনাভাইরাসের রেসপিরেটরি ড্রপলেটের মাধ্যমে ট্রান্সমিশন পাথওয়ে শর্ট-রেঞ্জ ড্রপলেট কনট্যাক্ট এবং লং-রেঞ্জ এরোসল এক্সপোজারে বিভক্ত।

গবেষণা পত্রে জানানো হয়েছে, ‘বড় ড্রপলেট মাধ্যাকর্ষণ শক্তির জন্যে বেশি দূর পর্যন্ত যেতে পারে না, এবং বাতাসের উপরিস্তরেই থেকে যায়। অন্যদিকে ছোট ড্রপলেট দ্রুত বাষ্প হয়ে এরোসল পদার্থের রূপ নেয় এবং ভাইরাসকে বাতাসে ভাসমান রাখতে পারে কয়েক ঘন্টা পর্যন্ত। আমাদের মডেলের থেকে এই তথ্যই উঠে আসছে সেন্টার ফর ডিজিজ কনট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের নির্দিষ্ট ৬ ফুটের সামাজি দূরত্ব নিরাপদ নাও হতে পারে কিছু আবহাওয়ায়। ঠান্ডা এবং আর্দ্র আবহাওয়ায় ১৯.৭ ফুট পর্যন্ত ড্রপলেটের সাহায্যে ছড়াতে পারে নভেল করোনাভাইরাস।’

অন্যদিকে, সিঙ্গাপুরের ডিউক-এনএসএস মেডিক্যাল স্কুলের তরফে নিশ্চিত করে বলা হয়, বিটাডিন অ্যান্টিসেপটিক কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ রুখতে কার্যকর।

৮ জুলাই এ বিষয়ে একটি গবেষণা রিপোর্ট প্রথম প্রকাশিত হয় 'ইনফেকশাস ডিজিজ অ্যান্ড থেরাপি' জার্নালে। আবার বিজ্ঞান পত্রিকা 'সেল' এবং 'নেচার কমিউিনিকেশনে' সদ্য প্রকাশিত দু'টি গবেষণাপত্র।

দু'টিতেই বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, করোনার প্রতিষেধক নাকে দিলেও সার্স-কোভ ২-র বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা মিলছে। এক ধাপ এগিয়ে একদল গবেষক দেখিয়েছেন, বহুল প্রচলিত পদ্ধতি ইন্ট্রামাসকিউলার অর্থাৎ পেশিতে ভ্যাকসিন দেওয়ার চেয়েও কার্যকর হচ্ছে ইন্ট্রান্যাজাল পদ্ধতি। বেশি কাত হচ্ছে করোনা। সবচেয়ে বড় কথা, এই টিকা দেওয়ার পর দেখা যাচ্ছে, নাসারন্ধ্রে বা শ্বাসতন্ত্রে ঢোকা মাত্রই ভাইরাস-নিধন সম্ভব। এই সময়


আরো সংবাদ



premium cement

সকল