২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগ

-

রক্ত ধমনীর ভেতর দিয়ে প্রবাহের সময় ধমনীর দেয়ালে দেয়া চাপকে রক্তচাপ বলা হয়। মনে রাখবেন, রক্তচাপ সবারই থাকে, যদি স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে বেশি থাকে, তখন তাকে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন বলা হয়। সাধারণত রক্তচাপ সকাল বেলা বেশি থাকে। বিকেলের দিকে কম থাকে। দুশ্চিন্তা, দুঃখ, উত্তেজনা ও শারীরিক পরিশ্রম রক্তচাপ বৃদ্ধি করে।
উচ্চ রক্তচাপে সাধারণত সিস্টোলিক ও ডায়াস্টলিক দুটোই বাড়ে। কারো কারো আবার যেকোনো একটিই বাড়তে পারে। যখন রক্তচাপ মাপার সময় স্টেথোস্কপের মাধ্যমে কানে আসে না, তখন তাকে বলা হয় ডায়াস্টলিক রক্তচাপ। সিস্টোলিক রক্তচাপ যখন ১৪০-১৫০ এর বেশি থাকে, তখন তাকে বলা হয় সিস্টোলিক হাইপারটেনশন। ডিস্টোলিক ব্লাড প্রেসার যখন 90-95 mm Hg চাপের বেশি হয় তখন তাকে বলা হয় ডিস্টোলিক হাইপারটেনশন। উচ্চ রক্তচাপে যেমন ঝুঁকি আছে, তেমনি নিম্ন রক্তচাপেও ঝুঁকি আছে। তাই সিস্টোলিক ব্লাড প্রেসার 90 mm.Hg-এর নিচেও ডিস্টোলিক 60 mmHg-এর নিচে এলে নিম্ন রক্তচাপ বলা হয়। রক্তচাপ মাপার আধা ঘণ্টা আগে থেকে চাপ-কফি খাওয়া বন্ধ না করলে রক্তচাপ বাড়তে পারে।
উচ্চ রক্তচাপের কারণ
১। বংশগত : বাবা-মায়ের উচ্চ রক্তচাপ থাকলে ছেলেমেয়েদের উচ্চ রক্তচাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
২। যারা উচ্চাকাক্সক্ষী, মানসিক উত্তেজনা ও দুশ্চিন্তায় ভোগেন তাদের উচ্চ রক্তচাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৩। যারা অতিরিক্ত ওজন ও কম পরিশ্রম করেন তাদের উচ্চ রক্তচাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৪। এ ছাড়া যারা কিডনি ও এন্ড্রোক্রাইন রোগে ভোগেন এবং পাঁচ বছরের বেশি জন্মনিয়ন্ত্রণ বডি সেবন করেন তাদের উচ্চ রক্তচাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
উচ্চ রক্তচাপের উপসর্গ
অনেকের উচ্চ রক্তচাপে কোনো উপসর্গ থাকে না, রুটিন চেকআপে বা অন্য কোনো কারণে ডাক্তারের শরণাপন্ন হলে পরীক্ষা করে দেখা যায়, সে উচ্চ রক্তচাপে ভুগছে। কিন্তু কারো কারো ক্ষেত্রে কিছু কিছু উপসর্গ দেখা দিতে পারে। যেমনÑ
১। মাথাব্যথাÑ মাথার পেছন দিকে ব্যথা হতে পারে, সকাল বেলা ও হাঁটার সময় ব্যথার তীব্রতা বাড়ে, কারো কারো ক্ষেত্রে মাথা গরম অনুভূত হতে পারে।
২। ঘুমের ব্যাঘাত হওয়া।
৩। বুকে চাপ লাগা।
৪। বুক ধড়ফড় করা
৫। চোখের দৃষ্টিতে অসুবিধা বা ঝাপসা লাগা।
যারা উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন তাদের নিম্নোক্ত জটিলতা দেখা দিতে পারেÑ
১। করোনারি হৃদরোগে, হৃদপিণ্ড বড় হয়ে যাওয়া, হার্ট ফেইলিউর হতে পারে।
২। মস্তিষ্কে স্ট্রোক ও প্যারালাইসিস হতে পারে।
৩। কিডনির জটিলতা দেখা দিতে পারে।
৪। চোখের জটিলতা দেখা দিতে পারে।
উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধ
২। ধূমপান থেকে বিরত থাকুন।
২। কম লবণ, কম চর্বি, কম ক্যালরিযুক্ত খাবার খাবেন
৩। দুশ্চিন্তামুক্ত জীবনযাপন করুন
৪। নিয়মিত ও পরিমিত ব্যায়াম করুন
৫। পর্যাপ্ত পরিমাণ শাকসবজি, ফলমূল, আঁশযুক্ত খাবার, রসুন ও পরিমিত মাছ খান।
উচ্চ রক্তচাপহলে কী করবেন
১। দুই সপ্তাহ পরপর ব্লাড প্রেসার চেক করবেন।
২। রক্তচাপ স্বাভাবিক হয়ে গেলেও ডাক্তারকে না বলে কখনো ওষুধ বন্ধ করবেন না।
৩। নিজের ইচ্ছামতো কখনো ওষুধ বদল করবেন না।
৪। অনিয়মিত ওষুধ খাওয়া, একদম ওষুধ না খাওয়ার চেয়েও মারাত্মক। যারা অনিয়মিত ওষুধ খায় তাদের মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ বেশি হয়।
লেখক : কার্ডিওলজিস্ট, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট।


আরো সংবাদ



premium cement
সকল কাজের জন্য আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতার অনুভূতি থাকতে হবে : মাওলানা হালিম বিএনপি জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য রাজনীতি করে : ড. মঈন খান সাজেকে পাহাড়ি খাদে পড়ে মাহিন্দ্রচালক নিহত জমি রেজিস্ট্রি করে না দেয়ায় বাবার কবরে শুয়ে ছেলের প্রতিবাদ ইসরাইলি হামলায় গাজায় আরো ৭১ জন নিহত পানছড়ি উপজেলায় চলমান বাজার বয়কট স্থগিত ঘোষণা আওয়ামী লীগ দেশের স্বাধীনতাকে বিপন্ন করেছে : দুদু যুক্তরাষ্ট্র টি-টোয়েন্টি দলে নিউজিল্যান্ডের এন্ডারসন লড়াই ছাড়া পথ নেই : নোমান জার্মানির অর্থ যেভাবে সিরিয়ায় যুদ্ধাপরাধে ব্যবহার হচ্ছে জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোশাররফ হোসেনের মেয়াদ বাড়ল

সকল