২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

সাধারণ পানিতেই ধ্বংস হতে পারে করোনা!

সাধারণ পানিতেই ধ্বংস হতে পারে করোনা! - প্রতীকী

করোনাভাইরাসের কারণে নাজেহাল গোটা বিশ্ব। এই পরিস্থিতিতে করোনার টিকা আবিষ্কারের লক্ষ্যে চেষ্টা চালাচ্ছে সবাই। তবে করোনার ভ্যাকসিন আগে বাজারে আনার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে আছে রাশিয়া। এমনটাই দাবি সে দেশের বিজ্ঞানীদের। দু-সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে রাশিয়া করোনার টিকা বাজারে নিয়ে আসবে বলে দাবি করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রুশ বিজ্ঞানীদের আরও এক দাবি রীতিমতো চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। তাদের দাবি, সাধারণ পানিতে কাবু হতে পারে করোনা। আর গরম পানি হলে তো আরও ভালো।

কীভাবে করোনাকে বাগে আনা সম্ভব, তা এখনও সেই অর্থে প্রকাশ্যে আসেনি। তবে, এবার করোনাভাইরাসের বিশেষ দুর্বলতার খোঁজ মিলেছে বলে দাবি রাশিয়ার সাইবেরিয়ার নভোসিবির্স্কে ভেক্টর স্টেট রিসার্চ সেন্টার অফ ভিরোলজি অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি-র গবেষকদের। বিজ্ঞানীদের দাবি অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সাধারণ তাপমাত্রায় রাখা পানির সংস্পর্শে এলে করোনাভাইরাসের ৯০ শতাংশ কণা ধ্বংস হয়ে যায়। আর ৭২-ঘণ্টার মধ্যে নষ্ট হয়ে যায় প্রায় ৯৯.৯ শতাংশ ভাইরাস কণা। শুধু তাই নয়, অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ দাবি করা হয়েছে, উষ্ণ গরম পানির সংস্পর্শে এলে করোনাভাইরাস প্রায় সাথে সাথে পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। সেই সাথে নোনা পানিতেও করোনাভাইরাসের আয়ু খুবই কম। এবং তাতে করতে পারে না বংশবৃদ্ধিও। রুশ বিজ্ঞানীদের মতে, নোনা পানির সাহায্যেও দ্রুত করোনা মারা যায়।

এরই মধ্যে, রুশ সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, সে দেশের মিলিটারি ও সরকারি গবেষকদের করোনাভাইরাসের যে ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেছেন, তা রয়েছে দ্বিতীয় দফার ট্রায়ালে। ১০ অগাস্ট বা তার আগেই রাশিয়ার গ্যামেলিয়া ইনস্টিটিউটের তৈরি করোনা ভ্যাকসিন বাজারে ব্যবহার করার অনুমোদন পাওয়া যাবে বলেই সূত্রের খবর। এই ভ্যাকসিন চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়ে গেলে সবার আগে করোনার ফ্রন্টলাইন স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

বিশ্বে প্রথম করোনার ভ্যাকসিনকে আবিষ্কার করবে, তা নিয়ে জোর চর্চা চলছে। এরই মধ্যে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছে রাশিয়া। এই ভাইরাস আবিষ্কারকে ১৯৫৭ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের দ্বারা বিশ্বের প্রথম স্যাটেলাইট লঞ্চের সঙ্গে তুলনা করেছেন রাশিয়ার অর্থ দফতরের প্রধান কিরিল দিমিত্রিভ। তবে বিষয় হল, রাশিয়ার করোনা ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক ব্যবহারের কোনও বিজ্ঞানভিত্তিক ডেটা প্রকাশ করেনি রাশিয়া। যদিও পুতিনের দেশ জানিয়েছে, ৩ অগাস্টের পরে যে কোনও সময় ভ্যাকসিনটি বাজারে আসার ঘোষণা করা হতে পারে।


আরো সংবাদ



premium cement