২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

করোনা ভাইরাসের প্রতিরোধে ফেমোটিডিন

-

গবেষণায় দেখা যায় হার্ট বার্ন বা বুক জ্বলা, গলা জ্বলা, মুখ টক হয়ে আসা অর্থাৎ গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ ফেমোটিডিন করোনা ভাইরাসের লক্ষণগুলো কমাতে সাহায্য করে থাকে। ফেমোটিডিন গ্রুপের ওষুধ দু’দিন সেবনের পর কোভিড রোগী ভালো বোধ করেছেন। গবেষকরা বলেছেন, চীনের উহান থেকে বেঁচে যাওয়া করোনা রোগীরা এই ফেমোটিডিন গ্রুপের ওষুধ সেবন করেছিলেন। ফেমোটিডিন-জাতীয় ওষুধ সেবনের পর সব রোগীই দুর্বলতা, মাথা ব্যথা, নাকে গন্ধ না পাওয়া, খাবারের স্বাদ না পাওয়ার লক্ষণগুলোর উন্নতির কথা বলেছেন। কিছু রোগী শারীরিক ব্যথা পর্যন্ত চলে যাওয়ার কথা বলেছেন। কিভাবে এটি সম্ভব সে বিষয়ে গবেষকরা বিস্তারিত কিছু বলেননি। হয়তো ফেমোটিডিন-জাতীয় গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ করোনা ভাইরাস রেপ্লিকেটিং বা প্রতিলিপি সৃষ্টিতে বাধা দিয়ে থাকে। ফলে ভাইরাস বংশ বিস্তার করতে পারে না। ফেমোটিডিন গ্রুপের ওষুধ একটি এনজাইমের সাথে সংযুক্ত হয়ে থাকে অর্থাৎ এনজাইমের সাথে বাইন্ডিং হয় যা ভাইরাসের জন্য প্রয়োজন নিজেকে রেপ্লিকেট বা নিজের প্রতিলিপি সৃষ্টি করে বংশ বৃদ্ধির জন্য। ভাইরাস যদি এনজাইম না পায় সে ক্ষেত্রে বংশবিস্তার করতে না পারলে করোনা ভাইরাসের লক্ষণ শরীর থেকে ধীরে ধীরে চলে যাবে এবং রোগী ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠবে। ফেমোটিডিন জাতীয় গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ ২০ মিলিগ্রাম করে দিনে দুই বার সেবন করা যায়। তবে এটি সর্বোচ্চ ৪০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত সেবন করা যাবে। বাংলাদেশের বাজারে ফেমোটিডিন গ্রুপের ওষুধ সারভিপেপ এবং ইয়ামাডিন নামে পাওয়া যায়। আমার নিজের ব্যক্তিগত অভিমত, করোনা রোগীদের দিনে দুই বার ফেমোটিডিন জাতীয় ওষুধ সেবন করার জন্য। আপনি যদি উচ্চ রক্তচাপের রোগী হয়ে থাকেন তাহলে উচ্চ রক্তচাপ অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না রাখলে আপনার জীবনের ঝুঁকি থেকে যায়।
লেখক : মুখ ও দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ,
ফোন : ০১৮১৭৫২১৮৯৭

 


আরো সংবাদ



premium cement