২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

করোনায় সুখী ঘাতক 'হ্যাপি হাইপোক্সিয়া'

করোনায় সুখী ঘাতক 'হ্যাপি হাইপোক্সিয়া' - প্রতীকী ছবি

করোনভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তির সবচেয়ে আশ্চর্য ও সুপ্ত এ লক্ষণ এখন মৌলিক জীববিজ্ঞানকেও হার মানিয়েছে। তা হলো অভাবনীয়ভাবে রোগীর রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কমে যাওয়া। রোগী হয়তো নিশ্চিন্তে ফোন স্ক্রল করছেন, ডাক্তারের সাথে ফোনে কথা বলে জানাচ্ছেন, তিনি ভালো আছেন। কিন্তু শরীরের ভিতরে অভাবনীয় হারে কমে যাচ্ছে অক্সিজেনের মাত্রা। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এই অবস্থাটিকে বলা হয় 'হ্যাপি হাইপোক্সিয়া'। যা করোনায় 'সুখী ঘাতক' নামে পরিচিত।

নিউইয়র্ক সিটির মাইমোনাইডস মেডিকেল সেন্টারের জরুরি বিভাগের চিকিত্সক রুবেন স্ট্রেয়ার বলেছেন, 'আমরা মনিটরে দেখা রোগীর অবস্থার সাথে চোখের সামনে দেখা হাসিখুশি রোগীর মধ্যে কোনো মিল মেই। স্ট্রেয়ার বলেন, তিনি মার্চ মাসে প্রথম ইমার্জেন্সি রুমে থাকা রোগীদের মধ্যে এই ঘটনাটি দেখতে পান। তখন থেকেই তিনি ও অন্যান্য ডাক্তার হাইপোক্সিয়াটি অবস্থাটি বুঝতে শুরু করেন। একই সাথে এর চিকিত্সা পদ্ধতি নিয়েও আগ্রহী হয়ে উঠেন।

সাধারণভাবে আমাদের শরীরে রক্তে অক্সিজেনের স্যাচুরেশন বা মাত্রা থাকে কমপক্ষে ৯৫ শতাংশ। নিউমোনিয়ার মতো বেশিরভাগ ফুসফুসের রোগে এই অক্সিজেনের মাত্রা পরিবর্তিত হয়। ফুসফুসে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া ফুসফুসের কার্যকারিতা কমে অক্সিজেন স্যাচুরেশন কমতে থাকে। ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্বাসকষ্টের বিশেষজ্ঞ পল ডেভেনপোর্ট বলেছেন, এই পরিস্থিতিতে আমাদের শ্বাসকষ্ট অনুভূত হয়। মস্তিষ্কে বিভিন্ন সেন্সর কার্বন ডাই অক্সাইড প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করে যার ফলে আমরা শরীরে অক্সিজেনের স্তর বুঝতে পারি না।

কোভিড-১৯ আক্রান্ত গুরুতর রোগীর ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত ফুসফুস দিয়ে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়ে থাকে। কিন্তু হ্যাপি হাইপ্লোক্সিয়াতে রোগের প্রথম দিকে কম স্যাচুরেশন অক্সিজেনের পরও শ্বাসকষ্ট স্পষ্ট হয় না। এ অবস্থায় শরীরে কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা স্বাভাবিক হতে পারে, রোগী স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিতে পারছেন কিন্তু সেই অক্সিজেন রক্তে পৌছাচ্ছে না। তাই কোষও অক্সিজেন পাচ্ছে না। আর লক্ষণ না থাকায় রোগী বুঝতেও পারছেন না। সাও পাওলোতে হাসপাতালের সরিয়ো-লিবানিয়াসের একজন পালমোনোলজিস্ট এলনারা মার্সিয়া নেগ্রি বলেছেন, এ সময় অক্সিজেনের স্যাচুরেশন পরিমাপক পালস অক্সিমিটার ডিভাইস রোগীর আঙুলের মাথায় লাগিয়ে পরীক্ষা করলে দেখা যায়, রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা ৭০, ৬০ বা ৫০ শতাংশের নিচে নেমে যাচ্ছে।

এর কারণ কী তা নিয়ে হাইপোথেসিস প্রকাশিত হয়েছে। অনেক ডাক্তার এখন কোভিড-১৯'এ রক্ত জমাট বেধে যাওয়ার বৈশিষ্ট্যকে গুরুতর হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। এর কারণ মনে করা হচ্ছে পালমোনারি মাইক্রো ভাস্কুলার থ্রম্বোসিস। অর্থাৎ ফুসফুসের রক্তনালীতে রক্ত জমাট বেধে অক্সিজেন প্রবেশে বাধা দেয়। এ সময় ভ্যান্টিলেশনেও রোগীর অবস্থার উন্নতি হয় না।

তাই কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী সুস্থ অনুভব করলেও পালস অক্সিমিটার দিয়ে অক্সিজেনের স্যাচুরেশন পরিমাপ করা উচিত।

সূত্র : সাইন্সমাগ


আরো সংবাদ



premium cement
ড. ইউনূসের ইউনেস্কো পুরস্কার নিয়ে যা বললেন তার আইনজীবী একনেকে ৮৪২৫ কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন সান্তাহারে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে যুবক নিহত জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে পদক্ষেপ নেয়া হবে : আব্দুর রহমান যুক্তরাষ্ট্রের সেতু ভাঙ্গার প্রভাব পড়বে বিশ্বজুড়ে! নাশকতার মামলায় চুয়াডাঙ্গা বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতাকর্মী কারাগারে হারল্যানের পণ্য কিনে লাখপতি হলেন ফাহিম-উর্বানা দম্পতি যাদের ফিতরা দেয়া যায় না ১৭ দিনের ছুটি পাচ্ছে জবি শিক্ষার্থীরা বেলাবতে অটোরিকশা উল্টে কাঠমিস্ত্রি নিহত রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে জাতিসঙ্ঘের প্রতিবেদন

সকল