২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

৬ ফুট সামাজিক দূরত্বে মোটেই করোনা আটকায় না!

৬ ফুট সামাজিক দূরত্বে মোটেই করোনা আটকায় না! - সংগৃহীত

বিশ্বজুড়‌েই করোনা সংক্রমণ আটকাতে সামাজিক দূরত্ব বিধি মানার কথা বলছেন স্বাস্থ্যবিদরা। শ্বাসবাহিত ড্রপটেলটস থেকে যাতে সংক্রমণ ছড়াতে না পারে, সেজন্য এই ব্যবস্থা। কিন্তু করোনা দাপটবৃদ্ধি পর্যবেক্ষণের পরে বিজ্ঞানীরা এখন বলছেন করোনা সংক্রমণ এড়াতে ছয় ফুট দূরত্ব যথেষ্ট নয়।

তাইওয়ানের সান ইয়াৎ সিয়াং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক চাই ওয়াং, ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক রবার্ট স্কোলে, কিম্বারলি প্রাথার তাদের সাম্প্রতিক গবেষণাপত্রে লিখেছেন, "প্রমাণ বলছে ক্রমেই নিঃশব্দ ঘাতক হয়ে উঠেছে করোনা। হু-এর ছয় ফুট দূরত্বের যে নির্দেশিকা তাও আর কার্যকর নয়। দেখা যাচ্ছে বহু ক্ষেত্রেই করোনা হাঁচি বা কাশির মাধ্যমে নির্গত ড্রপলেটস থেকে বাতাসে দীর্ঘক্ষণ ভেসে থাকতে পারে। এই ভাইরাস ৬ ফুটের বেশি দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে। এবং বাতাসের মাধ্যমে অনেক বেশি পরিমাণে ছড়াচ্ছে এই ভাইরাস। রোগীদের শরীরে কোনো উপসর্গও দেখা যাচ্ছে না।"

এই তিন রসায়নবিদ এবং সংক্রমণ বিশেষজ্ঞ মনে করেন কথা বলা, শ্বাস নেয়ার মধ্য দিয়ে করোনা ছড়িয়ে পড়া ক্রমেই বাড়ছে। একজন সংক্রমিত ব্যক্তির হাঁচি বা কাশি থেকে নির্গত ড্রপলেটস বেশিক্ষণ বাঁচে না। কিন্তু তা যদি অন্যের নাকে বা মুখে গিয়ে পড়ে, শ্বাসের মাধ্যমে এই ভাইরাস তখন সরাসরি ফুসফুসে পৌঁছতে পারে। ছড়িয়ে পড়তে পারে বাতাসবাহিত হয়েও। ফলে দুই ব্যক্তির মধ্য দূরত্ব যত কম হবে, বিপদের আশঙ্কা তত বাড়বে। তবে এই দূরত্ব ৬ ফুট হলেও বিপদ কাটছে না। এই পরিস্থিতিতে ঘরে বাইরে মাস্ক ব্যবহার বাড়ানোর নিদান দিচ্ছেন এই গবেষকরা। একই সঙ্গে নমুনা পরীক্ষা প্রতিদিন বাড়িয়ে উপসর্গবিহীন করোনা রোগীদের চিহ্নিত করে আইসোলেট গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন তারা।
সূত্র : নিউজ ১৬


আরো সংবাদ



premium cement