‘যেখানে সেখানে জীবাণুনাশক ছড়িয়ে করোনা মারা যায় না’
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৭ মে ২০২০, ১৬:১২, আপডেট: ১৭ মে ২০২০, ১৬:০৪
করোনাভাইরাস আটকাতে বিশ্বের অনেক দেশই জীবাণুনাশক ব্যবহার করছে। তথাকথিত স্যানিটাইজেশনও মূলত এই জীবাণুনাশক ব্যবহার করেই করা হয়। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অর্থাৎ হু বলছে, এভাবে যেখানে সেখানে জীবাণুনাশক ছড়ানো অর্থহীন। এতে করোনা তো মরেই না, উলটে মানুষ এবং পশুপাখির স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়। কোনো মানুষের উপর এই জীবাণুনাশক স্প্রে করার উপর কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে হু।
বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে,”কোনোভাবেই কোনো ব্যক্তির উপর কোনো জীবাণুনাশক ছড়ানো উচিৎ নয়। বিশেষ করে ক্লোরিন বা অন্য কোনো টক্সিক পদার্থ তো নয়ই। কারণ এই উপাদানগুলো মানুষের ত্বক ও চোখের উপর ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলতে পারে। মানুষের শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতি করে। তাছাড়া, জীবাণুনাশক ছড়ানোর ফলে কোনো ব্যক্তির থেকে কোভিড ১৯ ছড়ানোর আশঙ্কাও একটু কমে না।”
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সাফ জানিয়েছে, যেখানে সেখানে জীবাণুনাশক ছড়িয়ে এই মারক ভাইরাসের কোনো ক্ষতিসাধন সম্ভব নয়। হু বলেছে, “খোলা জায়গা, যেমন বাজার এলাকা কিংবা রাস্তায় জীবাণুনাশক ছড়ালে কোভিড-১৯ মরে না। কারণ ধুলো ও ইট-পাথরে এই জীবাণুনাশকের উপাদানগুলো নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। যদি ধুলো, ময়লা নাও থাকে, তারপরেও জীবাণুনাশকের উপাদানগুলোর পক্ষে কম সময়ের মধ্যে পুরো জায়গার উপর ছড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। ফলে তার কর্মক্ষমতা অনেক কমে যায়।”
এমনকী বাড়ির ভিতরে জীবাণুনাশক ছড়িয়েও খুব একটা লাভ হবে না বলে মনে করছে হু। তারা বলছে, জীবাণুনাশক ছড়িয়ে লাভ তো হবেই না উল্টা মানুষ ও পশুপাখির সাস্থ্যের ক্ষতিই হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই সতর্কবার্তা তথাকথিত স্যানিটাইজেশন পদ্ধতি নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলো। একটা বিষয় স্পষ্ট, কোনো জায়গায় জীবাণুনাশক ছড়িয়ে স্যানিটাইজ করা মানেই সেই জায়গাটি করোনা মুক্ত, তা কিন্তু নয়।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে ভারতের উত্তরপ্রদেশে পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর ছড়ানো হয়েছিল জীবাণুনাশক। তা যে শুধু শ্রমিকদের সাস্থ্যের ক্ষতিই করেছে, হু-এর বিবৃতির পর সেটাও স্পষ্ট হয়ে গেল।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা