২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

নিমগাছের উপকারিতা

-

প্রাচীনকাল থেকে, মানুষ রোগ আরোগ্যের জন্য ভেষজ উদ্ভিদ ব্যবহার করে আসছে। কোনো উদ্ভিদের রোগ নিরাময় ক্ষমতা থাকলে তাকে ভেষজ উদ্ভিদ বলে। এ ছাড়া উদ্ভিদ মানুষের জীবনে উপকারী হিসেবেই কাজ করে আসছে। যেমন নিম গাছ, নিম গাছের সাথে সবাই কমবেশি পরিচিত আছে। বাংলায় যেমন নিম বা নিম গাছ, হিন্দি ও উর্দুতে নিম ও সংস্কৃতে নিম নামে পরিচিত, বৈজ্ঞানিক নাম অ্যাজাডিরাকটা ইনডিকা (অুধফরৎধপযঃধ রহফরপধ অুঁংং) মেলিয়েসি গোত্রের।
নিম গাছের উপকারিতা : খ্রিষ্টপূর্ব আনুমানিক ৪০০ সালে বৈদিক যুগে নিম জীবাণু ধ্বংসকারী হিসেবে প্রয়োগ হতো। ক্ষয় রোগ, ক্রিমি প্রভৃতি রোগে নিমের উপকারিতার প্রমাণ পাওয়া যায়। দূষিত বায়ু বা অন্য কোনো কীটের উপদ্রব থেকে রক্ষা করতে এর ভূমিকা আছে।
নিম গাছের গুণাগুণ : নিমের ছাল অজীর্ণ রোগে চার-পাঁচ গ্রাম নিমের ছাল এককাপ গরম পানিতে রাতে ভিজিয়ে সকালে খালি পেটে খেলে উপকার পাওয়া যায়। যেকোনো বয়সে স্বপ্নদোষে নিমের ছালের রস ২৫-৩০ ফোটা কাঁচা দইসহ সেবন করলে উপকার পাওয়া যায়। গায়ে চুলকানি বা শরীর সর্বদা চুলকায় সে ক্ষেত্রে শুকনা নিমপাতা তেলে ভেজে ভাতের সাথে খেলে সপ্তাহ মধ্যে এ অসুবিধা থাকে না। গুঁড়ো কৃমিÑ পাঁচ-সাতটি নিমপাতা গুঁড়ো করে খেলে ফলদায়ক হয়। নিম ফুলÑ রাতকানা রোগে নিমের ফুল ভেজে খেলে এ অসুবিধা থাকে না। দীর্ঘ দিনের ক্ষতে নিমের ছাল জ্বাল দিয়ে কাথ করে খেলে ক্ষতের আরোগ্য হয়।
বেশি বমি হলে পাঁচ-সাত ফোঁটা নিমপাতার রস দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে বমিভাব থাকে না।
তিন-চারটি নিমপাতা ও এক গ্রাম কাঁচা হলুদ একসাথে বেটে খালি পেটে খেলে প্রস্রাব ও সেই সাথে চুলকানি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। যেসব বহুমূত্র রোগীর গায়ের ঘা সারতে চায় না সে ক্ষেত্রে নিমের বাটা এ থেকে দেড়গ্রাম মাত্রায় দুধের সাথে খেলে উপকার পাওয়া যায়। একগ্রাম নিমের ছাল, অর্ধগ্রাম কাঁচা হলুদ ও একগ্রাম আমলকির গুঁড়ো সকালে খালি পেটে সপ্তাহ খেলে যকৃতের ব্যথা উপশম হয়।
মোট কথা নিম গাছ যে বাড়ির আঙ্গিনায় থাকে রোগ বালাই কম থাকে বলে ধারণা করা হয়।

 


আরো সংবাদ



premium cement