২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

স্বা স্থ ্য ত থ্য

-

স্থূল শরীর পুরুষের
জন্য ক্ষতিকর

সফল যৌনজীবনের জন্য স্থূলতা এক মস্ত বাধা। অধিকাংশ ক্ষেত্রে স্থূল ব্যক্তিরা দাম্পত্য জীবনে সুখী হন না। মূলত স্থূলতার জন্য পুরুষত্বহীনতা ঘটে থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরে মেদ জমতে থাকলে পুরুষের যৌন হরমোন টেস্টোসটেরনের মাত্রাও কমতে থাকে। ফলে স্বাভাবিক যৌনক্রিয়া ব্যাহত হয়। এ ছাড়া অতিরিক্ত চর্বি রক্তনালীর দেয়ালে জমা হয়ে পুরুষাঙ্গে রক্ত সরবরাহে বিঘœ সৃষ্টি করে। ফলে সুখের মুহূর্তগুলোতে পর্যাপ্ত সঞ্চালনের অভাবে পুরুষাঙ্গ ঠিকমতো দৃঢ় হতে পারে না। তাই গবেষকরা সুস্থ যৌনজীবন কাটাতে শরীর থেকে মেদ ঝেড়ে ফেলার পরামর্শ দিচ্ছেন। নিয়মিত ব্যায়াম, সাইকেল চালনা কিংবা সাঁতার কাটা এ ক্ষেত্রে আপনাকে সহায়তা করতে পারে। আর হ্যাঁ, সেই সাথে বাদ দিতে হবে অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার।
যৌন মিলনে কষ্ট

অনেক নারীই যৌন মিলনের সময় কষ্ট অনুভব করেন। পুরুষাঙ্গ প্রবেশের সাথে সাথে সব কিছু অর্থহীন মনে হয়, যৌনাঙ্গে প্রচণ্ড ব্যথায় কাতরে ওঠেন। যৌন মিলনটাকে কিছুতেই উপভোগ করতে পারেন না। শারীরিক কিছু কারণ যেমনÑ যৌনাঙ্গে ক্ষত, মূত্রনালীতে সংক্রমণ, যৌনাঙ্গের পথে সঙ্কীর্ণতা, জরায়ুতে টিউমার প্রভৃতি ক্ষেত্রে এ রকম দুঃসহ অবস্থা সৃষ্টি হলেও গবেষকরা লক্ষ্য করেছেন, মানসিক কিছু কারণ এ ক্ষেত্রে আরো বেশি ভূমিকা রাখে। দীর্ঘস্থায়ী অবসাদগ্রস্ততা, গর্ভসঞ্চারের ভীতি, যৌনসঙ্গীর প্রতি বিতৃষ্ণা কিংবা যৌন অজ্ঞতার জন্য নারীর যৌন মিলনে ব্যথা ও কষ্ট হয়। শৈশবে যৌন সম্পর্কিত কোনো তিক্ত অভিজ্ঞতাও পরবর্তী জীবনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, যৌন অনীহার কারণে নারীর যৌনি পর্যাপ্ত পিচ্ছিল হয় না এবং সে কারণে প্রচণ্ড কষ্ট হয় তার। গবেষকরা বলছেন, সঠিক যৌনি শিক্ষা এবং প্রয়োজনবোধে চিকিৎসকের সাথে আলোচনা করে তারা তাদের এ সমস্যা দ্রুত কাটিয়ে উঠতে পারেন।
জিঙ্ক যৌনক্ষমতা অটুট রাখে
জিঙ্ক ত্বকের ক্ষত উপশম, ক্ষুধা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করলেও গবেষকরা লক্ষ্য করেছেন, জিঙ্ক সেবনে যৌনক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তবে অতিরিক্ত জিঙ্ক গ্রহণ করলে ঘটতে পারে স্বাস্থ্যবিপর্যয়। পুরুষদের জন্য দৈনিক ৯.৫ মিলিগ্রাম এবং নারীদের জন্য দৈনিক ৭ মিলিগ্রাম জিঙ্ক গ্রহণ করা যথেষ্ট। জিঙ্কের অভাবে মুখের নরম ত্বকে প্রদাহ এবং চুলও পড়ে যায়। সবচেয়ে বেশি জিঙ্ক পাওয়া যায় ঝিনুকে। গরু ও ভেড়ার গোশত, লিভার, যবের আটা, গম, সার্ডিন মাছ, বাদাম, শিম জিঙ্কের এক চমৎকার উৎস। সুতরাং আজ থেকেই আপনার খাদ্য তালিকায় নিয়মিত জিঙ্ক সংযোজন করে দুরন্ত যৌবনের সঙ্গী হোন।

সেলেনিয়াম হোক নিত্যসঙ্গী

একসময় বিজ্ঞানীরা সেলেনিয়ামকে ততটা গুরুত্ব না দিলেও এখন বলছেন, সেলেনিয়াম হলো এমন এক খনিজ উপাদান, যা যৌবনকে ধরে রাখে দীর্ঘ দিন এবং সমৃদ্ধ করে তোলে মাংসপেশির কার্যক্ষমতা। গবেষণায় দেখা গেছে, বয়স বৃদ্ধির স্বাভাবিক প্রক্রিয়াকে সেলেনিয়াম বিলম্বিত করে তোলে। নিষ্কাশন করে মানবদেহের দূষিত উপাদানগুলো। এসব ছাড়াও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায় এবং সর্বোপরি পুরুষের প্রজননক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে এই সেলেনিয়াম। সামুদ্রিক মাছ, আলু, গাজর, গমের ভ্রƒণ, ভুট্টা প্রভৃতি খাবারে প্রচুর সেলেনিয়াম থাকে। অনন্ত যৌবনের জন্য তাই আজ থেকেই সেলেনিয়াম খাওয়া শুরু করুন।

বিষণœতায় যৌনস্পৃহা কমে যায়
বিষণœতায় কমবেশি ভোগেন না এমন মানুষ কমই আছেন। পুরুষদের চেয়ে নারীরা বিষণœতায় তিন গুণ বেশি ভোগেন। কিন্তু বিষণœতা স্বাভাবিক যৌনজীবনকে বাধাগ্রস্ত করে তোলে। বিষণœতায় যৌনস্পৃহা কমে যায়। বিষণœতার সাধারণ উপসর্গের মধ্যে রয়েছে কোনো কাজে উৎসাহ না পাওয়া, সারাক্ষণ মনমরা অনুভূতি, খাবারের প্রতি অনীহা, ক্লান্তিবোধ, মনোযোগের অভাব, মাথাব্যথা, ঘুমের সমস্যা প্রভৃতি। বিষণœতা কাটিয়ে ওঠার জন্য সর্বদা মনে প্রফুল্লভাব আনা বাঞ্ছনীয়। এ ক্ষেত্রে কোথাও বেড়িয়ে আসা, নিয়মিত ব্যায়াম করা এবং কখনো কখনো চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া বাঞ্ছনীয়।


আরো সংবাদ



premium cement