২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আমিষ খাবেন কতটুকু

-


প্রাপ্তবয়স্কদের শরীরের প্রতি কেজি ওজনের জন্য এক গ্রাম করে, অর্থাৎ মোট ক্যালরির শতকরা ৩০ ভাগ। তবে ক্ষেত্র বিশেষে যেমনÑ গর্ভাবস্থায়, স্তন্যদানকালীন, বাড়ন্ত বয়সে, শরীর ক্ষয় হয় এমন অবস্থা যেমন- যক্ষ্মারোগে, ডায়াবেটিস, প্যারাসাইটজনিত সংক্রমণ, যেকোনো কারণে রক্তক্ষরণ হলে, শরীর পুড়ে গেলে আমিষের চাহিদা স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশি হয়। গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন অতিরিক্ত ১৪ গ্রাম এবং স্তন্যদানকালীন মায়েদের অতিরিক্ত ২৫ গ্রাম আমিষ দরকার। অতএবÑ
ক্স একজন পুরুষের ওজন ৫৫ কেজি হলে, দৈনিক আমিষ লাগবে : ৫৫ গ্রাম।
ক্স একজন মহিলার ওজন ৪৫ কেজি হলে, দৈনিক আমিষ লাগবে : ৪৫ গ্রাম।
ক্স গর্ভাবস্থায় ওই মহিলার দৈনিক আমিষ লাগবে : ৪৫+১৪ = ৫৯ গ্রাম।
ক্স স্তন্যদানকালীন তার দৈনিক আমিষ লাগবে : ৪৫+২৫ = ৭০ গ্রাম।

আমিষের অভাবে যা যা সমস্যা হয়
ক্স গর্ভবতী মায়েদের মৃত সন্তান কিংবা অপরিণত বয়স্ক সন্তান প্রসব।
ক্স শিশুদের শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধকতা, রক্তস্বল্পতা কিংবা প্রোটিন এনার্জি ম্যালনিউট্রিশন জাতীয় রোগ।
ক্স বয়স্কদের শরীরের ওজন কম থাকা কিংবা হ্রাস পাওয়া, মাংসপেশি দুর্বল হওয়া, রোগ সংক্রমণের প্রবণতা বেড়ে যাওয়া, রক্তস্বল্পতা, ক্ষতস্থান আরোগ্য লাভে বিলম্ব হওয়া, শরীরে বিভিন্ন স্থান যেমন- পা, মুখ ও পেটে পানি জমা ইত্যাদি।
উল্লেখযোগ্য আমিষসমৃদ্ধ খাদ্য হলো : বিভিন্ন ধরনের ডাল, সয়াবিন, সিরিয়্যাল, বাদাম, তিল, শিমের বিচি, দুধ, মাছ, গোশত ও ডিম। মনে রাখা দরকার, মাছ, গোশত ও ডিম অতিরিক্ত খেলে রক্তে ইউরিক অ্যাসিড, অ্যামোনিয়া জাতীয় টক্সিন এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গিয়ে সৃষ্টি হতে পারে বাত, আথ্রাইটিস, কিডনি ও লিভারের রোগ, হৃদরোগ, পিত্তপাথরিসহ নানা সমস্যা।
লেখক : ডায়াবেটোলোজিস্ট অ্যান্ড এন্ডোক্রাইনোলোজিস্ট, সালাউদ্দিন স্পেশালাইজড হাসপাতাল, ঢাকা। ফোন : ০১৭১১৬৮২৩৬৪।


আরো সংবাদ



premium cement