১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

কে এই 'স্প্যানিশ মেসি' লামিন ইয়ামাল

'স্প্যানিশ মেসি' লামিন ইয়ামাল - ছবি : সংগ্রহ

১৬ বছর ৩৩৮ দিন বয়সেই ইউরো কাপে মাঠে নেমেছিলেন স্পেনের লামিন ইয়ামাল। ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে ওই ম্যাচেই ছোট্ট ছেলেটি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তারকা হয়ে ওঠার সব মশলাই মজুত রয়েছে তার মধ্যে। ইউরো কাপের সেমিফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে চোখ ধাঁধানো গোল করে বুঝিয়ে দিলেন আগামী দিনে ইউরোপ শাসন করতে চলেছেন তিনি। একই সাথে যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন স্পেনের কোচ লুইস দে লা ফন্তে। নাচো, রদ্রি, ওলমোদের মতো তুলনায় সিনিয়র ফুটবলারদের পাশে ১৬ বছর বয়সী এই ছেলেকে খেলিয়ে যে তিনি কোনো ভুল করেননি সেটাই প্রমাণ হয়ে গেছে। কোচের ভরসার যোগ্য দাম দিয়েছেন লামিন ইয়ামাল। তারকাখচিত ফ্রান্স দল এগিয়ে যাওয়ার পরেও ইয়ামালের অনবদ্য গোলের সৌজন্যেই সমতায় ফেরে স্পেন, এরপর ম্যাচ জিতে ফাইনালে প্রবেশ করে ২০১০ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।

কোন রেকর্ড গড়লেন ইয়ামাল?
ইউরোর সেমিফাইনালে আদ্রিয়েন রাবিয়টের সামনে থেকে অবদ্য ভঙ্গিমায় বল জাতে জড়িয়ে দিয়ে পরলোকগত ফুটবল সম্রাট পেলের নজির ভেঙে দিয়েছেন স্পেনের এই তারকা ফুটবলার। ২০০৭ সালে জন্মানো ইয়ামাল এখন বিশ্বের কোনো মেজর প্রতিযোগিতার সর্বকনিষ্ঠ গোল স্কোরার।

কে এই লামিন ইয়ামাল?
কয়েক মাস আগেই বার্সেলোনা দলের সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে লা লিগায় খেলেছেন লামিন ইয়ামাল।

স্পেনের বাসিন্দা হলেও তার সম্পর্ক রয়েছে আফ্রিকার সাথেও, লামিন ইয়ামালের বাবা মরোক্কান এবং মা ইকুয়েটরিয়াল গিনির নাগরিক।

২০২২ সালে স্পেনের কিংবদন্তী জাভির চোখে পড়ে যান এই ক্ষুদে ফুটবলার, এরপর সিনিয়র দলের সাথে তাকে অনুশীলন শুরু করান জাভি

লামিন ইয়ামাল নিজের ফুটবল কেরিয়ারের শুরুতে ছিলেন পজিটিভ স্ট্রাইকার, কিন্তু বর্তমানে ডানপ্রান্তিক মিডিও বা উইঙ্গার হিসেবে খেলেন।

১৫ বছর ৯ মাস ১৬ দিন বয়সে বার্সলোনার জার্সিতে লা লিগায় রিয়াল বেতিসের বিপক্ষে মাঠে নেমে ক্লাবের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে সিনিয়র দলে খেলার নজির গড়েন তিনি


লিওনেল মেসির সঙ্গে লামিন ইয়ামালের তুলনা করেছিলেন এলএমটেনের এক সময়ের সতীর্থ জাভি হার্নান্দেজ।

বাবা মরোক্কান হওয়ায় এবং নিজে স্পেনের নাগরিক হওয়ায় লামিন ইয়ামাল চাইলে দুই দেশের হয়েই প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন, এছাড়াও ইকুয়েটরিয়াল গিনির হয়েও চাইলে খেলতে পারেন তিনি।

সেমিফাইনালে লামিন ইয়ামালের গোলে সমতায় ফেরার পর ২০১৮ বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিরুদ্ধে ম্যাচের ২৫ মিনিটে গোল করেন ডানি ওলমো। এই ম্যাচে ডিফেন্ডার ডানি কার্ভাহাল খেলতে পারেননি স্পেনের হয়ে, তাও ফ্রান্সকে হারিয়ে ইউরোর ফাইনালে পৌঁছে গেল স্পেন। বলাই বাহুল্য, ইউরো জয়ের বিষয়ে তারাই এখন ফেভারিট।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস

 


আরো সংবাদ



premium cement