২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

নাটকীয় ম্যাচে পর্তুগালকে হারিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে কোরিয়া

পর্তুগালকে হারিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে কোরিয়া - ছবি : সংগৃহীত

নাটকীয় এক ম্যাচে কাতার বিশ্বকাপে পর্তুগালকে হারিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে যায়গা করে নিল দক্ষিণ কোরিয়া। রোনালদোর পর্তুগালকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে বিশ্বকাপের নকআউট রাউন্ডে জায়গা করে নিল এশিয়ার এই দলটি।

গত ম্যাচে শেষ ষোল নিশ্চিত করে ফেলায় এই ম্যাচ পর্তুগালের জন্য নিয়ম রক্ষার ছিল। বড় ব্যবধানে না হারলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া নিয়েও কোনো শঙ্কা ছিল না রোনালদোদের। এজন্য গত ম্যাচের একাদশ থেকে ৬টি পরিবর্তন করেছিল পর্তুগাল। অপরদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার জন্য এই ম্যাচ ছিল টিকে থাকার লড়াই। পরের রাউন্ডে যাওয়ার জন্য এই ম্যাচে জয়ের বিকল্প ছিল না দক্ষিণ কোরিয়ার সামনে।

ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটেই এগিয়ে যায় পর্তুগাল। বিশ্বকাপে নিজের প্রথম ম্যাচে গোল করে পর্তুগালকে লিড এনে দেন রিকার্ডো হোরতা। তার গোলে এসিস্ট করেন বিশ্বকাপে আরেক ডেব্যুট্যান্ট ডিয়োগো ডালোট। গোল পাওয়ার পর বেশ রিল্যাক্সে খেলতে থাকে পর্তুগাল।
কোরিয়া সর্বপ্রথম বলার মতো আক্রমণ করে ১৭তম মিনিটে, সেই আক্রমণেই গোল পেয়ে যায় তবে তা অফসাইডের জন্য বাতিল হয়ে যায়। ম্যাচের ২৭তম মিনিটে কর্নার কিক পায় কোরিয়া, আর তাতেই বাজিমাত। কর্নার থেকে গোল করে কোরিয়াকে সমতায় ফেরান সেন্টারব্যাক ইয়ং কিম। কোরিয়া গোল করার পর ২ বার পর্তুগালকে এগিয়ে নেয়ার সুযোগ পান রোনালদো। তবে দুবারই ব্যর্থ হোন তিনি। প্রথমবার তার শট ঠেকিয়ে দেন গোলকিপার, এরপর তার শট বার ঘেষে চলে যায় বাইরে। ফলে ১-১ সমতায় থেকেই বিরতিতে যায় দুই দল।

দ্বিতীয় হাফে পর্তুগাল বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করলেও গোলের জন্য বেশি মরিয়া ছিল দক্ষিণ কোরিয়া। এজন্য ৬৬তম মিনিটে ৩টি পরিবর্তন আনে দক্ষিণ কোরিয়া। ৭০তম মিনিটে কিম জিন সু গোল করেই ফেলতেন, যদি না পর্তুগিজ ডিফেন্ডার ক্যান্সেলো তা ঠেকিয়ে না দিতেন।
ম্যাচের ৯০তম মিনিটে যখন রেফারি ম্যাচে অতিরিক্ত ৬ মিনিট যোগ করেন, তখনো সমীকরণ অনুযায়ী দক্ষিণ কোরিয়া পরের রাউন্ডে যায়নি। অসাধারণ এক আক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে কর্নার পায় পর্তুগাল, সেই কর্নারকে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যেতে ব্যর্থ হয় পর্তুগিজরা। আর পর্তুগালের সেই ব্যর্থ কর্নার কিক থেকেই অসাধারণ এক কাউন্টার এট্যাকের সূচনা করে দক্ষিণ কোরিয়া বাজিমাত। সন হিউন মিনের অসাধারণ এক থ্রু বল জালে জড়ান বদলি হিসেবে নামা হোয়ান হি চান। ফলে এগিয়ে যায় দক্ষিণ কোরিয়া। খুলে যায় শেষ ষোলতে যাওয়ার দরজা।

২-১ গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়লেও নিশ্চিত ছিল না দক্ষিণ কোরিয়ার পরের রাউন্ডে যাওয়া। তাকিয়ে থাকতে হয়েছিল উরুগুয়ের দিকে। কোরিয়া-পর্তুগাল ম্যাচের পরও উরুগুয়ে ঘানা ম্যাচের বাকি ছিল আরো ৪ মিনিট, ঘানার বিপক্ষে উরুগুয়ে এগিয়ে ছিল ২-০ গোলে। সমীকরণ ছিল এরকম- আর এক গোল করলেই এমন বীরসূচক জয়ের পরও বাদ পড়বে দক্ষিণ কোরিয়া, পরের রাউন্ডে চলে যাবে উরুগুয়ে।

এজন্য ম্যাচের পর দক্ষিণ কোরিয়ার সব ফুটবলারকে একসাথে উরুগুয়ের ম্যাচ দেখতে দেখা যায়। তবে শেষ হাসি হাসে দক্ষিণ কোরিয়াই। উরুগুয়ে আরেক গোল করতে ব্যর্থ হওয়ায় সমান পয়েন্ট থাকার পরও ফেয়ার প্লে নিয়মে এগিয়ে থেকে শেষ ষোল নিশ্চিত করলো দক্ষিণ কোরিয়া। পর্তুগালকে ২-১ গোলে হারিয়ে দ্বিতীয় এশিয়ান দল হিসেবে শেষ ষোলতে জায়গা পেলো দক্ষিণ কোরিয়া।


আরো সংবাদ



premium cement