২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ডার্বি জিতে শীর্ষস্থান ধরে রাখলো আর্সেনাল

ডার্বি জিতে শীর্ষস্থান ধরে রাখলো আর্সেনাল - ছবি : সংগৃহীত

বেশ লম্বা ইন্টারন্যাশনাল ব্রেক শেষে আবারো মাঠে ফিরেছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ। লিগের গেমউইক ৯-এর প্রথম ম্যাচে ঘরের মাঠ এমিরেটসে টটেনহামকে আতিথেয়তা দেয় আর্সেনাল। এই ম্যাচটি যেমন দুই দলের রাইভালরির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিলো, পয়েন্ট টেবিলে এগিয়ে যাওয়ার জন্যও ততটাই গুরুত্বপূর্ণ ছিলো প্লেয়ার-সমর্থকদের কাছে। বলে রাখা ভালো, লন্ডনের এই দুই ক্লাবের ম্যাচ নর্থ লন্ডন ডার্বি নামেই সমধিক পরিচিত। দুই দলের শেষ দেখায় টটেনহাম ৩-০ গোলের জয় পেলেও এবারের নর্থ লন্ডন ডার্বিতে টটেনহামকে ৩-১ হারিয়ে এই সিজনে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখলো আর্সেনাল।

বাংলাদেশ সময় শনিবার বিকেলে অনুষ্ঠিত ম্যাচের শুরু থেকেই বেশ গোছানো ফুটবল খেললেও কাঙ্খিত গোলের দেখা পাচ্ছিলো না আর্সেনাল। ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেলেও বারবার সুযোগ হারাতে থাকেন সাকা-মার্টিনেল্লিরা। ম্যাচের ১৬ মিনিটে গ্রানিত ঝাকার এগিয়ে দেয়া বল বারে লাগলে আক্ষেপ আরো বাড়তে থাকে আর্সেনাল সমর্থকদের। এর ৩ মিনিটের মধ্যেই ম্যাচে লিড পায় আর্সেনাল। বেন হোয়াইটের পাস থেকে গোল করে গানারদের আনন্দে ভাসান মিডফিল্ডার থমাস পার্টে।।

গোল হজম করার পর থেকেই ম্যাচে ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠে টটেনহাম। ম্যাচের ৩১ মিনিটে গ্যাব্রিয়েল মেগালহেস টটেনহামের রিচার্লিসনকে অনিচ্ছাকৃতভাবে ফাউল করলে বিতর্কিতভাবে টটেনহামকে পেনাল্টি দেন রেফারি এন্টনি টেইলর। পেনাল্টি থেকে গোল করে টটেনহামকে সমতায় ফেরান ইংলিশ স্ট্রাইকার হ্যারি কেইন। এই গোলের মাধ্যমে প্রথম ফুটবলার হিসেবে প্রিমিয়ার লিগে প্রতিপক্ষের মাঠে গোলের সেঞ্চুরি করেন এই ইংলিশ স্ট্রাইকার।

প্রথমার্ধে আবারো এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলো টটেনহাম। নিশ্চিতভাবে হয়ে যাওয়া গোল সেভ করেন আর্সেনালের ইংলিশ গোলকিপার এ্যারন রামসডেলে। গোল সেভ করেছেন টটেনহামের গোলকিপার হুগো লরিসও। দুই টিমই আর কোনো গোল না করলে প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-১ সমতায়।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আবারো এগিয়ে যায় আর্সেনাল। এবার আর্সেনালের হয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন নাম্বার নাইন গ্যাব্রিয়েল জেসুস। এরপর আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে আর্সেনাল। টটেনহামও ম্যাচে ফিরতে চেষ্টা করে। এরপরই ঘটে বিপত্তি। ম্যাচের বয়স যখন ৬২ মিনিট, তখনই আর্সেনালের গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেল্লির এ্যাঙ্কেলে বাজেভাবে ট্যাকল করেন টটেনহামের এমারসন রয়েল। এরপর রেফারি লাল কার্ড দেখালে মাঠ ছাড়েন রয়েল, টটেনহাম পরিণত হয় ১০ জনের দলে।

এরপরই যেন টটেনহামের ডিফেন্স এলোমেলো হয়ে পড়ে। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আবারো গানারদেরকে এগিয়ে দেন গ্রানিত ঝাকা। স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৩-১। মূলত এরপরই খেলা পুরোপুরি ডোমিনেট করা শুরু করে আর্সেনাল। টটেনহাম মাঝেমধ্যে চেষ্টা করলেও আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি। এরপর আর কোনো গোল না হলে টটেনহামের বিপক্ষে ৩-১ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মিকেল আর্টেটার শিষ্যরা।

৬৫% বল পজিশন নিয়ে পুরো খেলায় আর্সেনাল ২১ টা শট নিয়েছে, স্পার্স ৭টা। আর্সেনাল বিগ চান্স মিস করেছে ২টা। স্কোরলাইন হতে পারতো আরো ডেভাস্টেটিং। টটেনহামকে এভাবেই আউটপ্লেইড করেছে আর্সেনাল। এই জয়ে ৮ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে আর্সেনাল। সমান ম্যাচ খেলে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে টটেনহাম রয়েছে টেবিলের তিন নম্বরে অবস্থানে।

লিগে আর্সেনালের নেক্সট ম্যাচ লিভারপুলের বিপক্ষে। এই ম্যাচটা জিতে আর্সেনাল শীর্ষস্থান ধরে রাখতে পারবে কি না তা তো সময়ই বলে দিবে, তবে আপাতত সমর্থকদের মুখে শুধু একটাই কথা থাকুক, ‘লন্ডন ইজ রেড, লন্ডন ইজ রেড’!!!


আরো সংবাদ



premium cement