শ্রেষ্ঠ গোলরক্ষক রুপনা চাকমা ও ফুটবলার ঋতুর্পনা চাকমা
- রাঙ্গামাটি সংবাদদাতা
- ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২২:৫৯
রাঙ্গামাটির দুর্গম পাহাড়ে বেড়ে ওঠা নারী সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়ন দলের শ্রেষ্ঠ গোলরক্ষক রুপনা চাকমা ও ফুটবলার ঋতুর্পনা চাকমা। দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠ গোলরক্ষক হওয়ায় রুপনা চাকমা আর সেরা ফুটবলার ঋতুর্পনা চাকমা দুইজনই এখন বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছেন আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে।
দরিদ্র পরিবারের নারী হয়েও তাদের অদম্য ইচ্ছা শক্তিতে আর সাফল্যে তাদের পরিবারের লোকজনসহ গ্রামের লোকজন গর্বিত।
রাঙ্গামাটির নানিয়ারচর উপজেলার ঘিলাছড়ি ইউনিয়নের দুর্গম ভূয়ো আদামে জন্ম রুপনা চাকমার। আর ঋতুপর্ণার বাড়ি কাউখালীর ঘাগড়া ইউনিয়নের মগাছড়িতে। পৃথিবীতে ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগে রুপনা চাকমার বাবা মারা যান। তার মা অতি দারিদ্র্যের সাথে লড়াই করে কষ্টের মধ্য দিয়ে তাকে বড় করে তোলেন। তবে ছোট বেলা থেকেই ফুটবলের প্রতি ছিল তার প্রচণ্ড ঝোঁক। গ্রামের হাছাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির পর নানিয়ারচরে উপজেলা পর্যায়ে খেলা খেলতে গিয়ে তার ফুটবল শৈলির নজরে আসে সবার। পরে ঘাগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তির পর তার অদম্য শক্তি ও পরিশ্রমে আর্ন্তজাতিক অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দলে ডাক পান রুপনা। এরপরেই তার নামটি ইতিহাস হয়ে গেল।
আর ফুটবলার ঋতুপর্ণা চাকমার তারকা ফুটবল খেলোয়ার হয়ে ওঠার গল্প দীর্ঘ পরিক্রমা। ঘাঘড়ার মঘাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকেই খেলোয়ার হয়ে তার বেড়ে ওঠা। নেপালে অনুষ্ঠিত নারী সাফ ফুটবলে ঋতুর্পনা চাকমা ও রূপনা চাকমার কৃতিত্বে চ্যাম্পিয়ন ও টুর্নামেন্টের সেরা গোলরক্ষক হয়ে দেশের জন্য রূপনার গৌরব অর্জনে তার মা ও গ্রামের লোকজন এখন খুশিতে আত্মহারা হয়ে উঠেছেন। তাকে নিয়ে পুরো গ্রামের লোকজন গর্ববোধ করছেন। মঙ্গলবার রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, ঋতুর্পনা চাকমা ও রূপনা চাকমার গ্রামের বাড়ি যান। এ সময় দুই ফুটবলার ঋতুর্পনা চাকমা ও রূপনা চাকমার পরিবারকে দেড় লাখ টাকা করে ৩ লাখ টাকা উপহার তুলে দেন। এছাড়া রুপনা চাকমা গ্রামে এলাকাবাসীর সুবিধার জন্য একটি ব্রীজ নির্মাণ ও রূপনা চাকমাকে একটি বাড়ি নির্মাণের আশ্বাস দেয় জেলা প্রশাসক ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা