১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`
আফ্রিকান নেশন্স কাপ

ক্যামেরুনে স্টেডিয়ামের বাইরে পদদলিত হয়ে ৮ জন নিহত

ক্যামেরুনে ফুটবল খেলা দেখতে গিয়ে হুড়োহুড়িতে নিহত ৬ - ছবি : সংগৃহীত

আফ্রিকান নেশন্স কাপের মহাদেশীয় প্রতিযোগিতা চলাকালীন ভয়াবহ এক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন ক্যামেরুনের ফুটবল সমর্থকরা। সোমবার ক্যামেরুনের রাজধানী ইয়াউন্দের ওলেম্বে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করতে গিয়ে পদদলিত হয়ে আট সমর্থক নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় অনেকেই আহত বলে বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্র নিশ্চিত করেছে।

স্বাগতিক ক্যামেরুন ও প্রথমবারের মতো নেশন্স কাপে খেলতে আসা কোমোরসের মধ্যকার শেষ ১৬’র ম্যাচের আগে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

এ সম্পর্কে স্থানীয় প্রাথমিক স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ‘এ পর্যন্ত আটজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এর মধ্যে দুজন নারী, চারজন পুরুষ ও দুটি শিশু রয়েছে। আহতদের দ্রুতই অ্যাম্বুলেন্সে করে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে প্রচণ্ড যানজটের কারণে তাদের হাসপাতলে নিতে কিছুটা বিলম্ব হয়।

করোনা মহামারীতে ৬০ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতা থাকলেও তা কমিয়ে ৬০ শতাংশ করা হয়েছিল। তবে স্বাগতিক ক্যামেরুনের খেলা হওয়ায় সেটা কিছুটা বাড়িয়ে ৮০ শতাংশ করা হয়।

জাতীয় বার্তা সংস্থা অবশ্য ছয়জনের মৃত্যু ও ছয়জনের আহত হবার খবর নিশ্চিত করেছেন। কিন্তু পরে এ ব্যপারে বিস্তারিত আর কিছু জানায়নি।

বাইরে যখন এই অবস্থা তখন মাঠে দুই দলের ম্যাচটি স্বাভাবিকভাবেই শেষ হয়েছে। আফ্রিকান ফুটবল কনফেডারেশন জানিয়েছে, পুরো ঘটনাটি তদন্ত করা দেখা হচ্ছে যাতে করে আরো বিস্তারিতভাবে সবকিছু জানা যায়। ইতোমধ্যেই টুর্নামেন্ট আয়োজক কমিটির বেশকিছু কর্মকর্তা হাসপাতালে আহতদের দেখতে গিয়েছিলেন। আহত প্রত্যেকের সুচিকিৎসার জন্য তারা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন। তাদের পুরো চিকিৎসা ব্যয় টুর্নামেন্টের পক্ষ থেকে বহন করা হবে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।

অতিরিক্ত সমর্থকের চাপে এই ধরনের ঘটনা এর আগেও ফুটবলে ঘটেছে। ২০১৫ সালে মিসরের রাজধানী কায়রোতে অতিরিক্ত দর্শকের চাপ ঠেকাতে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে প্রায় ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ২০০১ সালের এপ্রিলে জোহানেসবার্গের এলিস পার্কে সংঘর্ষে ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ১৯৯৬ সালের অক্টোবরে গুয়াতেমালায় স্বাগতিক দল ও কোস্টারিকার মধ্যকার বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব ম্যাচ দেখতে এসে ৯০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

সূত্র : বাসস


আরো সংবাদ



premium cement