২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

অস্কার ব্রুজনে ভয় মালদ্বীপের

অস্কার ব্রুজন - ফাইল ছবি

১৯৯৩ সাল থেকে বাংলাদেশ ফুটবল দলের উপর চোখ রাঙ্গানো শুরু মালদ্বীপের। এই হাজার দ্বীপের দেশের বিপক্ষে ১৯৮৪ সালে দুই দফায় ৫-০-তে এবং ১৯৮৫ সালে ৮-০ গোলে জয় বাংলাদেশের। সেই মালদ্বীপই ১৯৯৩ সালে ঢাকা সাফ গেমসে গোলশূন্যতে ঠেকিয়ে দেয় লাল-সবুজদের।

আর বাংলদেশের বিপক্ষে তাদের প্রথম জয় ১৯৯৯ সালের কাঠমান্ডু সাফ গেমসে। ২০০৩ সাফের পর মালদ্বীপ আর পাত্তাই দেয়নি বাংলাদেশ জাতীয় দলকে। তিন ম্যাচের দুটিতে ২০১১ ও ২০১৫ এর সাফে ৩-১ এ জয়। এরপর ২০১৬ সালে নিজ মাঠে বাংলাদেশকে ৫-০ গোলে হারিয়ে ২১/২২ বছর আগের হারেরই বদলা নিয়েছে।

২০০৮ সহ পরের মোট ৬ সাফে বাংলাদেশ একটিবারও ফাইনালে খেলতে না পারলেও মালদ্বীপ এই সময়ে দুই বার সাফ চ্যাম্পিয়ন এবং এক বারের ফাইনালিস্ট। আজ লাল-সবুজদের বিপক্ষে তাদের হাওয়ায় ভাসারই কথা। তবে এবার তারা ভিন্ন চোখে এবং বেশ সমীহের চোখে দেখছে বাংলাদেশকে। আর তা নতুন কোচ অস্কার ব্রুজনের কারণেই।

মঙ্গলবার ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে মালদ্বীপ কোচ আলী সুজান জানান, ‘অস্কার ব্রুজনের অধীনে গড়া বাংলাদেশ দল এখন আগের চেয়ে অনেক শক্তিশালী। যথেষ্ট ব্যালেন্সড একটি দল।’

মালদ্বীপ অধিনায়ক আকরাম আবদুল গনির মতে, ‘মালদ্বীপ এবং বাংলাদেশের মধ্যে পার্থক্য তো কোচ অস্কার ব্রুজনই। মালদ্বীপের ফুটবল সম্পর্কে তিনি যেমন ভালোভাবে অবগত ঠিক তেমনি বাংলদেশের ফুটবলও তার নখদর্পনে।’

এই ডিফেন্ডার আরো যোগ করেন, ২০১৮ সাফের চেয়ে বর্তমান বাংলাদেশ দল অনেক শক্তিশালী।

‘২০১৭ সালে মালদ্বীপের ক্লাব নিউ রেডিয়েন্টের দায়িত্ব নেন স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজন। দেড় বছরের ক্যারিয়ারে ক্লাবটিকে তিনটি ট্রফি- দিহোভী লিগ, এফএ কাপ এবং প্রেসিডেন্টস কাপ এনে দেন। এই সময়ে মালদ্বীপ তারকা আলী আশফাকসহ বাকিদের ভালোভাবেই দেখেছেন। জানেন এই দেশটির ফুটবলারদের দুর্বলতা এবং দক্ষতা।’

এভাবেই বাংলাদেশ কোচের প্রশংসা মালদ্বীপ কোচের। আলী সুজানের মতে, ‘অস্কার ক্লাব ফুটবলে বসুন্ধরা কিংসের কোচ ছিলেন। সেই দলের ৯ ফুটবলার বাংলাদেশ দলে। এদের সাথে কোচের বোঝাপড়াও চমৎকার। দুই মাস আগে এই বসুন্ধরা কিংসকে নিয়েই মালেতে এসে এএফসি কাপে অপরাজিত ছিল অস্কারের দল। তার গড়া বাংলাদেশ দল বেশ শক্তিশালী। দলটি বেশ গতিসম্পন্ন। তাছাড়া ব্যক্তি কোচ অস্কারকে আমাদের সমীহ করতেই হচ্ছে।’


আরো সংবাদ



premium cement