২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

বায়ার্নে ধরাশায়ী বার্সেলোনা

বায়ার্নে ধরাশায়ী বার্সেলোনা - ছবি : সংগৃহীত

মেসি-পরবর্তী যুগের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে একরাশ উপহার দিলো বার্সেলোনা। ঘরের মাঠ ন্যু ক্যাম্পে বায়ার্ন মিউনিখের সঙ্গে ধরাশায়ী কাতালান শিবির। ই গ্রুপের ম্যাচে ০-৩ গোলে হেরেছে স্বাগতিকরা।

অথচ ম্যাচটি ছিল বার্সার কাছে প্রতিশোধের। কারণ গত মৌসুমে এই বায়ার্নের কাছে ৮ গোল হজম করেছিল দলটি। এবার ঘরের মাঠে তার শোধ তোলার হুঙ্কার ছিল কোমান শিবিরে। অথচ মাঠের খেলায় চিত্র ভিন্ন। পাত্তাই পায়নি মেসির সাবেক ক্লাবটি।

বল দখলে দুই দলের মাঝে খুব একটা পার্থক্য নেই। তবে আক্রমণে কিছুই করতে পারেনি বার্সেলোনা। গোলের উদ্দেশে তারা পাঁচটি শট নিলেও তার কোনোটিই ছিল না লক্ষ্যে। বিপরীতে একচেটিয়া আধিপত্য করা বায়ার্নের ১৭ শটের সাতটি ছিল লক্ষ্যে।

বায়ার্নের বিপক্ষে তাদের হতাশার রেকর্ড আরও বাজে হলো। এই নিয়ে জার্মান ক্লাবটির বিপক্ষে অষ্টমবার হারল তারা; ১২ ম্যাচে বায়ার্ন জিতেছে ৮বার, বার্সেলোনা ২বার, বাকি দুটি ড্র।

৩৪ মিনিটে মুলারের সৌভাগ্যসূচক গোলে এগিয়ে যায় বায়ার্ন। ৫৬ মিনিটে স্কোরলাইন ২-০ করে বায়ার্ন। ১৮ বছর বয়সী মুসিয়ালার বুলেট গতির শট পোস্টে লেগে ফেরার পর লেভানডোভস্কির প্লেসিং। ৮৫ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল পান এই পোলিশ স্ট্রাইকার। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তার মোট গোল হলো ৭৫টি, ৯৭ ম্যাচে।

শেষ অবধি দারুণ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বায়ার্ন। শেষ দিকে বার্সার খেলোয়াড়দের শরীরী ভাষায় ছিল যেন প্রচণ্ড ক্লান্তির ছাপ। ডাগআউটে কোচের চোখে-মুখে ছিল একইসঙ্গে হতাশা ও বিরক্তি। মেসিবিহীন বার্সার এমন হালে ভক্ত-সমর্থকরাও ছিল প্রচন্ড হতাশ। ১৯৯৭-৯৮ মৌসুমের পর এই প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে হারল বার্সেলোনা।

গ্রুপের অন্য ম্যাচে বেনফিকা ও দিনামো কিয়েভের মধ্যে গোলশূন্য ড্র হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement