২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

১৫ বছর পর আন্তর্জাতিক মাঠে ফাইনালে বাংলাদেশ

১৫ বছর পর আন্তর্জাতিক মাঠে ফাইনালে বাংলাদেশ - ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ ফুটবল দল কবে কোন আন্তর্জাতিক ম্যাচের ফাইনালে খেলেছে তা হয়তো ভুলে গেছে অনেকেই। ২০১৫ সালে তাদের সর্বশেষ উপস্থিতি ছিল বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের ফাইনালে। আর বিদেশের মাঠে লাল-সবুজের দল ২০০৫ সালে করাচি সাফে ফাইনালে খেলার সুযোগ পেয়েছিল। এরপর শুধুই হতাশা।

অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হলো। ২০০৩-এর সাফ চ্যাম্পিয়ন, ১৯৯৯-এর সাফ গেমস, ২০১০-এর এসএ গেমস ফুটবলে স্বর্ণ জয়ীদের। বৃহস্পতিবার এক ম্যাচ হাতে রেখেই নেপালের তিন জাতি ফুটবলের ফাইনালে উঠেছে জেমি ডে বাহিনী। এর মাধ্যমে ১৫ বছর পর দেশের বাইরে ফাইনালে উঠার স্বাদ পেল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

বাংলাদেশের জন্য ২৯ মার্চের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচের রাস্তাটা মসৃণ করেছে নেপাল-কিরগিজস্তান ম্যাচ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দশরথ স্টেডিয়ামে এ দু’দল গোলশূন্য ড্র করায় ১৫ বছরের খরা কেটে যায় বাংলাদেশের। এর ফলে ২৭ মার্চ নেপালের বিপক্ষে নিয়ম রক্ষার জন্য মাঠে নামবে জামাল-সোহেলরা।

তবে ওই ম্যাচের দিকে তাকিয়ে থাকবে নেপাল ও কিরগিজস্তান অনূর্ধ্ব-২৩ দল। বাংলাদেশ-নেপাল ম্যাচ ড্র হলে সাফের এই দু’দলই ফাইনালে খেলবে। নেপাল জিতলেও তাই। তবে নেপাল ০-২ গোলে হারলে আসরের স্বাগতিকদের টপকে ফাইনালে চলে যাবে কিরগিজ অলিম্পিক দল। বাংলাদেশ ১-০তে জিতলে হলুদ কার্ড, লালকার্ড আসবে বিবেচনায়।

বৃহস্পতিবার এই ম্যাচে ১০ জনের মধ্য এশিয়ান দলকে হারাতে পারেনি নেপাল। গোল মিসের উৎসবই তাদের হতাশায় ডোবায়। ৬৫ মিনিটে ১০ জনে পরিণত হয় কিরগিজস্তান। উল্টা ৭২ মিনিটে তারকা ডিফেন্ডার রোহিত চাঁদ ও গোলরক্ষক কিরনের ভুলে আত্মঘাতী গোল হজমের উপক্রম হয় নেপালের। শেষে রোহিতের ব্যাকপাসের বলটি কিরনই গোল লাইনের ইঞ্চি কয়েক দূর থেকে ক্লিয়ার করেন।

এ দিকে বৃহস্পতিবার গোলের অনুশীলনে প্রাণবন্ত ছিলেন জামালরা। হাতে আরো দু’দিন বিশ্রামের সময়। এরপর নেপালের সাথে ম্যাচ তিন জাতি ফুটবলে। প্রথম ম্যাচে কিরগিজস্তান অনূর্ধ্ব-২৩ দলকে ১-০ গোলে হারিয়ে আসরের ফাইনালে চলে গেছে বাংলাদেশ। প্রথম খেলায় জয়ে শুরু মানে পরের ম্যাচে আরো ভালো করার আত্মবিশ্বাস।

লাল-সবুজদের তাই বৃহস্পতিবার বিকেলে আনফা অ্যাকাডেমি মাঠে অনুশীলেন দেখা গেল বেশ প্রাণবন্ত ও উৎফুল্ল। সাদ উদ্দিন, হাবিবুর রহমান সোহাগ, মতিন মিয়া ও রিমন হোসেনদের মনে এখন পরের ম্যাচে নেপালের বিপক্ষেও পূর্ণ পয়েন্ট পাওয়ার আত্মবিশ্বাস।

ইনজুরির জন্য এ দিন বাফুফের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পল স্মলির সাথে দেশে ফিরে গেছেন রাইট ব্যাক বিশ্বনাথ ঘোষ। নেপালের বিপক্ষে পরশু তার পজিশনে কে খেলবেন তা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন কোচ জেমি ডে। কিরগিজদের বিপক্ষে শেষ ২০ মিনিট রাইট ব্যাক পজিশনে খেলেছেন লেফট ব্যাক রিমন হোসেন। তারই খেলার সম্ভাবনা। বিকল্প হিসেবে মুক্তিযোদ্ধার রাইট ব্যাক মোহাম্মদ ইমনকেও দেখা যেতে পারে।

কিরগিজস্তানের ‘বাচ্চা ‘বাচ্চা’ ছেলেদের বিপক্ষে একটি বারের জন্যও তাদের গোলরক্ষককে পরীক্ষায় ফেলতে পারেননি সাদউদ্দিন, মতিন মিয়া ও মেহেদী হাসান রয়েলরা। জয় সূচকগোলটি ফাক তালে আত্মঘাতীতে। সাদ উদ্দিনের ক্রস কিরগিজ ডিফেন্ডার ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজ জালে ঢুকিয়ে দেন। তাই বৃহস্পতিবার অনুশীলনে সাদ, মতিন ও সুফিলদের গোলের কৌশলই শেখানো হলো।

সাদ উদ্দিন জানান, আমাদের গোলের অনুশীলন করানো হয়েছে। আশা করি নেপালের সাথে পরের ম্যাচে আমরা গোল পাবো। এই আত্মবিশ্বাস রয়েছে দলের সবার মাঝে।

প্রথম ম্যাচে পুরো ৯০ মিনিট ভালো খেলা মতিন মিয়ার দৃঢ় কণ্ঠ, আগের ম্যাচের জয় আমাদের নেপালের বিপক্ষে জয় পরের ম্যাচে গোল পাওয়ার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে। নেপালকে আমরা তাদের মাঠে হারাতে চাই।

সাদ উদ্দিন বলেন, আমাদের পুরো টিম ডিফেন্ডিংই ভালো হতে হবে। বিশেষ করে ডিফেন্ডিংটা ভালো থাকতে হবে। সেইসাথে প্রতি বিভাগেই দাপট দেখাতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement