২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কিরগিজস্তানকে হারিয়ে ফাইনালের পথে বাংলাদেশ

কিরগিজস্তানকে হারিয়ে ফাইনালের পথে বাংলাদেশ - ছবি : নয়া দিগন্ত

কিরগিজস্তানের বিপক্ষে আগের চার ম্যাচের প্রত্যেকটিতেই হার বাংলাদেশের। মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া নেপালের তিন জাতি ফুটবলে আসা কিরগজ দলটি অনূর্ধ্ব-২০/২১ বছর বয়সীদের আড়ালে গড়া অনূর্ধ্ব-২৩ দল। মধ্য এশিয়ান এই দলটিকে হারাতে কাল বাংলাদেশ দলে অভিষেক হাবিবুর রহমান সোহাগ. রিমন হোসেন এবয় মেহেদী হাসান রয়েলের।

জামাল ভূঁইয়া না নামায় খেলায় নেতৃত্ব সোহেল রানার। এরপরও আনকোড়া কিরগিজ অলিম্পিক দলের বিপক্ষে লিড নিতে ৩০ মিনিট লেগেছে লাল সবুজদের। তাও এই গোল আত্মঘাতীতে। ম্যাচ শেষে এই ১-০ স্কোর লাইন বহাল থাকায় জয় দিয়ে আসর শুরু করা হলো বাংলাদেশের। তবে ফিফা র‌্যাংকিংয়ে ৯৬ তে থাকা দলটির বিপক্ষে ১৮৬ তে থাকা দলের এই জয়ের পরও র‌্যাংকিং বাড়বে না লাল সবুজদের। কারন প্রতিপক্ষরা অনূর্ধ্ব -২৩ দল। এটি ফিফা টায়ার ২ ম্যাচ হিসেবে চিহ্নিত।

বাংলাদেশের পরের ম্যাচ ২৭ মার্চ নেপালের বিপক্ষে। তবে ২৫ মার্চ নেপালের কাছে কিরগিজরা ড্র করলে বা হারলে ফাইনাল নিশ্চিত হবে জেমি ডেদের। নেপালের কাছে কিরগিজদের জয়ের সম্ভাবনা কম। ফলে বলা যায় ফাইনালের পথে এক পা দিয়ে রেখেছে বাংলাদেশ।

মাত্র একদিনের প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নামা কিরগিজদের। বয়সও অল্প। খেলায় অনভিজ্ঞতার ছাপ। এরপরও তাদের বিপক্ষে শুরু থেকে একছত্র দাপট নিয়ে খেরতে পারেনি জেমি ডে বাহিনী। বিপলুর ভুল পাসে নস্ট হয় কয়েকটি আক্রমন। এরমধ্যে ২০ মিনিটে সোহাগের ফ্রি-কিকে বিশ্বনাথ পা ছোঁয়াতে না পারায় গোল আসেনি।
মূলত : লাল সবুজদের সতর্ক অবস্থানই প্রথমার্ধে একটির বেশী গোল পেতে দেয়নি ঢাকা থেকে আসা দলটিকে। ৩০ মিনিটের গোলটি আবার ভাগ্য সহায়তা করায়। সাদউদ্দিনের ক্রস ক্লিয়ার করতে গিয়ে বল নিজেদের জালে ঢুকিয়ে দেন কিরগিজ ডিফেন্ডার কুমারবাজ উলু বাইয়ামান। অবশ্য পরের মিনিটেই কিরগিজদের সমতার সুযোগ নষ্ট হয় তাপায়েত তিমিরবোলোতের শট বাংলাদেশ কিপার জিকো রুখে দিলে।

বিরতির পরই বাংলাদেশ দলে পরিবর্তন। তুলে নেয়া তিন অভিষিক্তের দুই জনকে। নামানো হয় জামাল, রাফি, রাকিব, মানিক এবং ইয়াসিন আরাফাতকে। ৬৫ মিনিটে মতিন মিয়ার পাসে মানিক হোসেন মোল্লা বলের নিয়ন্ত্র নিতে ব্যর্থ হওয়ায় বাড়েনি ব্যবধান। মতিন নিজে চেষ্টা করলেই পারতেন। এর দুই মিনিট আগে রাকিবের ক্রসে বিশ্বনাথ ঠিকমতো পা লাগাতে না পরায় তখনও গোলের দ্বিতীয় উৎসব হয়নি।

৭০ মিনিটে বাংলাদেশেরর পাঁচ বদলী কোটা শেষ হলেও আক্রমণে গতি বাড়েনি জামাল-সোহেলদের। উল্টো খেলোয়াড় বদল করে কিরগিজস্তান টুটি চেপে ধরে লাল সবুজদের। ৬ মিনিট ইনজুরি টাইমের শেষ সেকেন্ডে কর্নার থেকে কিরগিজ ডিফেন্ডার তাসিয়েভ কমলিদিনের ছোট বক্সের উপর থেকে নেয়া হেড অবিশ্বাস্য ভাবে উপর দিয়ে গেলে ড্রয়ের হাত থেকে রক্ষা পেয়ে জয় নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের।

বাংলাদেশ দল : জিকো, বাদশা, সোহাগ ( রাফি ৭০ মি.), বিশ্বনাথ ( ইয়ানিস ৭০ মি,), রিমন, সোহেল রানা, মেহেদী রয়েল ( মানিক ৫৫ মি,), বিপলু ( রাকিব ৫৫ মি.), সাদ উদ্দিন, মতিন, জনি ( জামাল ৫৫ মি.)।


আরো সংবাদ



premium cement