বাংলাদেশের অলিম্পিক গোলদাতারা
- রফিকুল হায়দার ফরহাদ
- ০২ মার্চ ২০২১, ২১:৫৯
অলিম্পিক গোল। কর্নার কিক থেকে সরাসরি বল জালে গেলে সেটাই অলিম্পিক গোল। বাংলাদেশের ফুটবলে ১ মার্চ এই অলিম্পিক গোলের নজীরবিহীন রেকর্ড গড়লেন ব্রাদার্স ইউনিয়নের ফয়সাল মাহমুদ। অন্যরা এক ম্যাচে একবারই কর্নার থেকে গোল পেলেও ফয়সাল এক ম্যাচে করেছেন দুই গোল। এই মিডফিল্ডার প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে আরামবাগের বিপক্ষে কর্নার থেকে দুই অর্ধে দু’বার বল জালে পাঠান। যা দলের প্রথম জয়ও নিশ্চিত করেছে এবারের লিগে। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের ফুটবলে এই অলিম্পিক গোল আরো আছে। তা ঘরোয়া এবং আন্তর্জাতিক ফুটবলে।
এই দৌড়ে এগিয়ে মামুনুল ইসলাম মামুন। ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক আসর মিলে তার অলিম্পিক গোলের সংখ্যা পাঁচটি। কর্নার থেকে তার দুটি গোল আছে আন্তর্জাতিক ম্যাচে। একটি ২০০৮ সালের কলম্বো-মালে সাফে আফগানিস্তানে বিপক্ষে। অপরটি ২০১৫ সালের এএফসি কাপের প্লে-অফ কোয়ালিফাইং রাউন্ডে। ম্যাকাও বেনফিকা ক্লাবের বিপক্ষে তার এই গোল। আর ঘরোয়া ফুটবলে করেছেন তিনবার কর্নার নামের স্পটকিক থেকে গোল। ২০১২ সালে শেখ রাসেলের হয়ে ঢাকা আবাহনীর বিপক্ষে সুপার কাপে, ২০১৬ সালের লিগে চট্টগ্রাম আবাহনীর জার্সী গায়ে মুক্তিযোদ্ধার বিপক্ষে এবং ২০১৮-১৯-এর লিগে ঢাকা আবাহনীর হয়ে সাইফ স্পোর্টিংয়ের বিপক্ষে লিগের দ্বিতীয় পর্বে।
বাংলাদেশের মহিলা ফুটবলেও আছে অলিম্পিক গোল করার কৃতিত্ব। তিনি মনিকা চাকমা। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে তার অলিম্পিক গোল মিয়ানমারের বিপক্ষে তাদের মাটিতে। মনিকার কর্নার থেকে সরাসরি করা সেই গোলেই ১-০ তে জয় বাংলাদেশের। সাথে নিশ্চিত এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবলের চূড়ান্ত পর্বও।
বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলে আরো আছে অলিম্পিক গোল। প্রতাপ শংকর হাজরার এ রকম অলিম্পিক গোল আছে পাঁচ থেকে ছয়টি। ১৯৬৪ সালের আগা খান গোল্ডকাপের ফাইনালে মোহামেডানের হয়ে তার গোল পাকিস্তানের করাচী পোর্ট দলের বিপক্ষে। এ ছাড়া ঢাকা লিগে গোল করেছেন ওয়ারী, ভিক্টোরিয়াসহ অন্য ক্লাবের বিপক্ষে। সব ক্লাবের নাম মনে করতে পারলেন না তিনি। এমন গোলদাতা আরো আছেন। যাদের নাম জানা সম্ভব হয়নি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা