১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ফিরে আসুক বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের স্মৃতি

ফিরে আসুক বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের স্মৃতি - সংগৃহীত

কাতারের সাথে বাংলাদেশ সিনিয়র জাতীয় দলের লড়াই এ পর্যন্ত চার বার। এর দুটি বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে। একটি চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে। অপরটি কাতারে। লক্ষ্যনীয় বিষয়, মধ্য প্রচ্যের এই দেশটির বিপক্ষে যে দুটি ম্যাচে লাল-সবুজরা লড়াই করেছিল, টুটি চেপে ধরেছিল কাতারীদের। সে দুটি ম্যাচেরই ভেন্যু ছিল এখনকার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম এবং আগের ঢাকা স্টেডিয়ামে। ১৯৭৯ সালের এশিয়ান কাপ কোয়ালিফাইং রাউন্ডের ম্যাচটি ছিল তখনকার ঢাকা স্টেডিয়ামে।

গোলশূন্যতে শেষ হয় খেলাটি। এরপর গতবছর বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচ বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে। ১০ অক্টোবরের সে ম্যাচ জামাল ভূঁইয়াদের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকতো যদি ৭/৮টি গোলের সুযোগ হাতছাড়া না হতো। এরপর অবশ্য ০-২ গোলে হার। বৃহস্পতিবার কাতারের রাজধানী দোহার খলিফা স্টেডিয়ামে ফিরে আসুক বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের সেই লড়াই।

১৯৭৯ সালেল কাতার দল আর বর্তমানের সাথে বিস্তর ফারাক। গত বছর অক্টোবরে লাল-সুবজদের ভালো খেলার নেপথ্য বৃস্টি ভেজা কর্দমাক্ত মাঠের সুবিধা। আজ বাংলাদেশ সময় রাত দশটায় এবং কাতার সময় সন্ধ্যা সাতটার ম্যাচে মাঠের উল্টো সুবিধা পাবে কাতারই। এই মাঠেই হবে ২০২২ বিশ্বকাপের ম্যাচ। এমন দ্রুত গতির মাঠে খেলতে অভ্যস্ত নন বাংলাদেশের ফুটবলাররা। যেমনটি ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার পার্থের এনআইবি স্টেডিয়ামের মাঠে পিছলে পড়ছিলেন খেলোয়াড়রা। তাই ফাস্ট এই মাঠে সমস্যায় পড়তে পারে জেমি ডে বাহিনী। অবশ্য দুই সপ্তাহ ধরে কাতারের অন্য উন্নত মাঠে অনুশীলন করেছে জামাল-সাদরা। গতকাল তাদের প্র্যাকটিসও সেশন ছিল খলিফা স্টেডিয়ামে।

তবে আবেগী অবস্থান ছেড়ে বাস্তবতায় এলে বাংলাদেশের উপর আজ মরু ঝড় বইয়ে দেয়ার কথা কাতারীদের। করোনার মধ্যে সবার আগে অনুশীলন শুরু করা দেশটির। গত মাসে তারা ফিফা প্রীতি ম্যাচ খেলে এসেছে অস্ট্রিয়ায়। সেখানে কোস্টারিকার সাথে ১-১ গোলে ড্র করার পর দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে ১-২ গোলে হার। এশিয়ার সেরা এবং শক্তিশালী এই দেশটির বিপক্ষে আজ বাংলাদেশের লক্ষ্যই থাকবে যত কম গোল হজম করা যায়। সাথে যদি বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের স্মৃতি এবং ২০১৮ এর এশিয়ান গেমস এবং ২০১৭ এর এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবলের সুখ স্মৃতি ভর করে তাহলে অন্য ইতিহাস রচিত হবে। এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশ ১-০ গোলে হারিয়েছিল কাতারকে। আর অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবলে এই কাতারের মাঠেই ২-০ গোলে জয় ফয়সাল আহমেদ ফাহিমদের।

ফিফা র‌্যাংকিংয়ে ৫৯ এ আছে কাতার। সেখানে বাংলাদেশের অবস্থান ১৮৪ তে। ১২৫ ধাপ পেছনে থাকা একটি দলের অবস্থা কি হবে তা সহজেই অনুমেয়। এরপরও বাংলাদেশ দলের অনুপ্রেরণা বিগত ম্যাচ গুলো এবং কাতার-ভারত ম্যাচের ফলাফল। এবারের বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে কাতারের মাঠে গোল্যশূন্য ড্র করেছিল ভারত। আর ভারতের বিপক্ষে তাদের মাঠে ১-১ এ ড্র করা লাল সবুজদের। গতকালও করোনা টেস্ট দিতে আসা বাংলাদেশ ডিফেন্ডার তপু বর্মন উল্লেখ করলেন ভারত-বাংলাদেশ এবং কাতার ম্যাচের কথা।

উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে বাংলাদেশ চট্টগ্রামে ৪-১ গোলে এবং কাতারে ০-৩ গোলে হেরেছিল কাতারের কাছে।


আরো সংবাদ



premium cement