ম্যারাডোনাকে চিকিৎসা না দিয়ে ১২ ঘণ্টা ফেলে রাখা হয়েছিল
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৬ নভেম্বর ২০২০, ২১:৫২
ফুটবলের জাদুকর ডিয়েগো ম্যারাডোনাকে মৃত্যুর আগে চিকিৎসা না দিয়ে ফেলে রাখা হয়েছিল এবং তিনি যখন গুরুতর অসুস্থ তখন অ্যাম্বুলেন্স আসতে দেরি করে- এমন দাবি করেছেন কিংবদন্তির আইনজীবী ও বন্ধু।
ডেইলি মেইল ম্যারাডোনার আইনজীবী বন্ধুর বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার এই খবর প্রকাশ করেছে।
খবরে বলা হয়েছে, কিংবদন্তির আইনজীবী ও বন্ধু ম্যাটিস মোরলা অভিযোগ তুলেছেন, ম্যারাডোনার মৃত্যুর দিন (বুধবার) তাকে ১২ ঘণ্টা কোনো চিকিৎসা সহায়তা দেয়া হয়নি এবং তিনি যখন অসুস্থ তখন তাকে নিতে আসা অ্যাম্বুলেন্স প্রায় ৩০ মিনিট দেরি করে। এর মাত্র দুই সপ্তাহ আগে তার ব্রেইনে সার্জারি করা হয়েছিল।
ম্যাটিস মোরলা এ ঘটনাকে ম্যারাডোনার ‘বোকামিমূলক অপরাধ’ হিসেবে উল্লেখ করে এর তদন্ত দাবি করেছেন।
আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি ফুটবলার ডিয়েগো ম্যারাডোনা বুধবার মারা যান। তার মৃত্যুর নানা আনুষ্ঠানিকতা চলছে। ইতোমধ্যে লাশের ময়নাতদন্তও সম্পন্ন হয়েছে। স্থানীয় সময় ২৫ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত ১০টার মধ্যে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে। শেষকৃত্যের জন্য এখন প্রস্তুত করা হচ্ছে।
ম্যারাডোনার মৃত্যু নিয়ে বুধবার যা জানানো হয়েছিল ময়নাতদন্তে সেটাই নিশ্চিত হওয়া গেছে। জানা গেছে, তার হৃদ্রোগেই মৃত্যু হয়েছে এবং ঘুমের মধ্যেই তিনি মারা যান।
২০০০ সাল থেকেই নাকি হৃদ্রোগে ভুগছিলেন ম্যারাডোনা, আর গুরুতর রূপ নেয়া এই শারীরিক সমস্যাই তার অন্তিম যাত্রার কারণ হলো।
ম্যারাডোনাকে সর্বশেষ জীবিত অবস্থায় দেখেছেন তার এক আত্মীয়। ২৪ তারিখ রাত ১১টায় ম্যারাডোনাকে ঘুমাতে যাওয়ার সময় দেখেছিলেন তিনি। এরপর ম্যারাডোনার সাথে আর দেখা হয়নি কারো।