২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

নেপাল ম্যাচই বাফুফের বড় চ্যালেঞ্জ

নেপাল ম্যাচই বাফুফের বড় চ্যালেঞ্জ - সংগৃহীত

অনলাইনে ছাড়া অন্য কোনো ফেডারেশনের পক্ষে এখনও মাঠে বা ম্যাটে আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। সেখানে ব্যতিক্রম বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। তারা বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে খেলতে যাচ্ছে নেপালের সাথে দু’টি ফিফা প্রীতি ম্যাচ। সব ঠিক থাকলে ১৩ ও ১৭ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচ দুটি।

এখন এই ম্যাচ দুটি আয়োজনই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের জন্য। করোনার ঝুঁকিপূর্ন পরিস্থিতিতে ম্যাচ বলেই নানা সমীকরন। এদিকে এই ম্যাচকে ঘিরে ২৩ অক্টোবর থেকে বাড্ডার বেরাইদে শুরু হতে যাচ্ছে জাতীয় দলের ক্যাম্প। বাংলাদেশ দলকে ট্রেনিং করানোর জন্য ২৮ অক্টোবর ঢাকায় আসছেন কোচ জেমি ডে এবং স্টুয়ার্ট ওয়াটকিস। বাফুফে সেক্রেটারী আবু নাঈম সোহাগ জানান এই তথ্য।

এর আগে বিশ্বকাপ বাছাই উপলক্ষে জাতীয় দলের ক্যাম্প আয়োজনটা বাফুফের জন্য সুখকর ছিল না। ১৮ ফুটবলারের করোনা ধরা পড়াটাই ছিল সে সময়ের আলোচিত। পরে অবশ্য সবাই সুস্থ হয়ে যায় বাফুফের যথাযথ ব্যবস্থায়। এবারও ক্যাম্পের আগে করোনা টেষ্ট হবে। সে সাথে নেপাল দলকে বাংলাদেশে আসার আগে করোনা টেস্ট করিয়েই বিমানে উঠতে হবে। এরপরও ঢাকায় আসার পর কোয়ারিন্টিনে থাকাটা বাধ্যতামূলক। তাই ১৩ নভেম্বর প্রথম ম্যাচের আট দিন আগে আসবে নেপাল দল। বাংলাদেশের দুই কোচ জেমি এবং স্টুয়ার্টও ২৮ অক্টোবর এসে চলে যাবেন কোয়ান্টিনে। এরপর করোনা নেগেটিভ হলেই অনুশীলন করানোর সুযোগ।

যেহেতু ফিফা প্রীতি ম্যাচ তাই সবই হবে ফিফা-এএফসির করোনা প্রটোকল অনুযায়ী। তাদের গাইড লাইনের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগই নেই। বাফুফের মেডিক্যাল কমিটি এই নির্দেশনা মেনেই ম্যাচ আয়োজন করবে। এর বিচ্যুতি হলেই বিপদ। করোনার কারনে একেবারে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ এবং নেপাল এমন নয়। কয়েক হাজার দর্শকের মাঠে প্রবেশের অনুমিত মিলতে পারে এমন ইংগিত দিলেন বাফুফে সেক্রেটারী।

তবে সব কিছুই এখন নির্ভর করছে নেপালের চ’ড়ান্ত সম্মতির পর। যদিও এখন পর্যন্ত সব কিছু ইতিবাচক পথেই হাঁটছে। অল নেপাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (আনফা) সবুজ সংকেত মিললেই বাকী আনুষ্ঠানিকতা সারবে বাফ’ফে। মানে ম্যাচ কখণ হবে, কোন টেলিভিশন খেলা সরাসরি সম্প্রচার কবরে ইত্যাদি।

করোনা ঝুঁকি এড়াতে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামকে পুরোপুরি সেনিটাইজ করতে হবে। যেহেতু আন্তর্জাতিক ম্যাচ তাই এটিতে ঘিরে অনুষ্ঠিত হবে আন্ত: মন্ত্রনালয় মিটিং। বাফুফের নব নির্বাচিত কমিটির অধীনে প্রথম আয়োজন এই দুই ফিফা প্রীতি ম্যাচ। যদিও এর আগে মাঠে গড়ানোর কথা স্থগিত হয়ে যাওয়া মহিলা লিগ। শুরু হতে পারে জেএফএ কাপ মহিলা ফুটবলও। অবশ্য নতুন কমিটির দায়িত্ব নেয়ার আরো আগে এবং নির্বাচনের পূর্বেই প্রীতি ম্যাচ আয়োজনের চেষ্টা চালায় বাফুফে। নির্বাচনের পরপরই ৫ অক্টোবর তাদের ফের যোগাযোগ শুরু নেপাল, মালদ্বীপ, ভুটান এবং শ্রীলংকার সাথে। তিন দেশ রাজী না হলেও শেষ পর্যন্ত নেপালই সম্মত হয় ঢাকায় এসে ম্যাচ খেলতে। এই ম্যাচ দুই দেশের র‌্যাংকিং বৃদ্ধিতেও বড় ভ’মিকা রাখবে।


আরো সংবাদ



premium cement