২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

জনপ্রিয় বলেই আমাকে নিয়ে আলোচনা : সালাউদ্দিন

জনপ্রিয় বলেই আমাকে নিয়ে আলোচনা : সালাউদ্দিন - ছবি: সংগৃহীত

৩ অক্টোবরে বাফুফের নির্বাচনকে ঘিরে চলছে প্রার্থীদের ভোট চাওয়ার পর্ব। সাথে চলছে পরস্পরের সমালোচনা এবং কুৎসা রটনা। তা প্রতি নির্বাচনের সময়ই হয়। এবারের নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন তিন জন। যা আগের নির্বাচনগুলোতে ছিল না। ২০০৮ ও ২০১৬ সালের দুই জন ছিলেন এই পদে পরস্পরের প্রতিপক্ষ। এবার কাজী সালাউদ্দিনের প্রতিপক্ষ শফিকুল ইসলাম মানিক ও বাদল রায়। তবে যত সমালোচনা সালাউদ্দিনকে নিয়েই। তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুকে)। গত পরশু মানববন্ধনও হয়েছে সালাউদ্দিনকে হঠানোর জন্য।

এই সমালোচনার জবাবে গতকাল বাফুফে সভাপতি বলেন, ‘আমাকে নিয়ে আলাপ হয়। এর মানে দাঁড়ায় আমি জনপ্রিয়।’ এরপর যোগ করেন, দেখুন একটি মজার ব্যাপার। ধরুন সেখানে এক হাজার ডিসলাইক আসলো। আমার নাম এল কাজী সালাউদ্দিন আহমদে। আপনারা সবাই আমার নাম জানেন। এক হাজার লোকতো আমার নাম ভুল করতে পারে না। দু’চার জন করতে পারেন। তার মানে আমি বুঝছি একটি প্ল্যাটফর্ম এই প্রচারনার জন্য তৈরী করা হয়েছে।’

এই অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া সম্পর্কে সালাউদ্দিনের জবাব, ‘এতো বছরতো অ্যাকশন নেইনি। আমি এখানে এসেছি কাজ করতে।’ ভোটের সময় বা সারা বছর। সালাউদ্দিনের সমালোচনায় মুখর থাকে একটি পক্ষ। এর মধ্যে রয়েছেন কয়েকজন সাবেক ফুটবলার। এদের বিষয়ে জাতীয় দলের অধিনায়ক এবং বাংলাদেশ দলের প্রাক্তন এই কোচ বললেন, ‘এরা ২০ বছর আগে ফুটবল থেকে অবসর নিয়েছে। গত ১০ বছর মাঠে আসে না খেলা দেখতে। ভোটে দাঁড়ালে পায় ১২ ভোট, ২০ ভোট ৩০ ভোট। এই ৪/৫ জনই প্রতিটি টিভিতে ঘুরে ঘুরে কথা বলে। এদের যদি এতাই যোগ্যতা থাকতো তাহলে এখানে আসতো।’ এরা পদত্যাগ করতে বলেছেন সালাউদ্দিনকে। সাফ সভাপতি বলেন, এখানে পদত্যাগ করার কোনো সুযোগ নেই। ১৫ দিন পর নির্বাচন। আপনারা নির্বাচনে জিতে আসেন। আপনি যদি দেশের প্রেসিডেন্টকে পদত্যাগ করতে বলেন তাহলে তা কি যুক্তিযুক্ত।’ যোগ করেন, ‘হ্যাঁ আপনারা আমার পদত্যাগ দাবী করতে পারতেন। যদি আমি নির্বাচন না দিয়ে বসে থাকতাম। নির্বাচনের সময়ও পার হয়ে গেছে।’ জানান, আমি নির্বাচন দেয়ার জন্য পাগল হয়ে গেছি। আর আমাকে প্রতিপক্ষ বলে নির্বাচন পিছিয়ে দিতে।

২০০৮ ও ২০১৬ সালের নির্বাচনের সাথে তুলনা করলে এবারের নির্বাচন কতোটা প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ হবে। এই উত্তরে সালাউদ্দিনের জবাব, ‘আমার কাছে সব নির্বাচনই সমান প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ। খেলোয়াড়ী জীবনেও আমার কাছে ছোট দল বা বড় দলের কোনো পার্থক্য ছিল না প্রতিপক্ষ হিসেবে।’ তিনি আরো উল্লেখ করেন, আমরা ২০ সেপ্টেম্বর আমাদের প্যানেলের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করবো। সেখানে আমাদের যাবতীয় পরিকল্পনা কথা জানাবো।


আরো সংবাদ



premium cement