সরে দাড়াঁলেন বাদল রায় নির্বাচন হচ্ছে সব পদেই
- ক্রীড়া প্রতিবেদক
- ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২০:১৭
মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের নির্দিষ্ট সময় বিকেল পাঁচটা শেষ। ততোক্ষণ পর্যন্ত নিশ্চিত বাফুফের সভাপতি পদে তিন প্রতিদ্ব›দ্বী। কাজী সালাউদ্দিনের প্রতিপক্ষ দুই সাবেক ফুটবলার বাদল রায় এবং শফিকুল ইসলাম মানিক।
বাফুফে সেক্রেটারী সংবাদ সম্মেলন করেই জানান, ‘দুই জন সদস্য প্রার্থী তাদের মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করেছেন।’ এরপর সবাই যখন বাফুফে ভবন ত্যাগ করতে যাচ্ছিলেন তখনই খবর এল, মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করতে যাচ্ছেন বাদল রায়। এই খবর অবশ্য গতকাল সারাদিনই হাওয়ায় ভাসছিল। শেষ পর্যন্ত সন্ধ্যা ছয়টায় বাফুফে ভবনে এলেন বাদল রায়ের স্ত্রী মাধুরী রায়।
তিনি বাদল রায়ের পক্ষে হাতে লেখা চিঠিতে বাদল রায়ের সভাপতি পদে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের আবেদন পত্র জমা দেন বাফুফের নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে। তাতে বাদল রায় নির্বাচন কমিশন বরাবর আবদেন করেন, আমার শাররীক অসুস্থতার কারনেই বাফুফের নির্বাচন থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখাটা সর্বোত্তম মনে করি। এই ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।’
বাদল রায়ের এই সরে দাঁড়ানোর ফলে বাফুফের নির্বাচনে এখন সভাপতি পদে প্রার্থী হিসেবে আছেন বর্তমান সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন এবং শফিকুল ইসলাম মানিক। অন্যপদ গুলোতে নির্দিষ্ট সংখ্যার চেয়ে বেশী প্রার্থী থাকায় নির্বাচন হচ্ছেই।
বাদল রায় এবং আরো দুই সদস্য প্রার্থী জাকির হোসেন বাবুল ও সাইদুর রহমান মানিক মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করেন। সরে পড়া এই দুই সদস্য প্রার্থীর প্রথমজন উত্তর বারিধারার। অপর জন আজমপুর ফুটবল ক্লাব উত্তরার। শোনা যাচ্ছিল বেশ চাপে পড়েই মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করেছেন বাফুফের বর্তমান সহসভাপতি বাদল রায়। নানা স্থান থেকে ফোন আসছিল তার সরে যাওয়ার বিষয়ে। এই ধরনের কোনো ফোন এসেছে কি না এই জবাবে মাধুরী বলেন, ‘আমার তা জানা নেই। বাদল রায় আমাকে এমন কোনো তথ্য দেয়নি।’ এরপর উল্লেখ করেন. ‘বাদল রায়ের শাররীক অবস্থা খারাপ। এই সময়ে তার পক্ষে বারবার ফোনে কথা বলা বেশ কস্ট কর। এক কথা দুই বার বলতে চায় না। তাই আমরা পারিবারিক ভাবে এবং অন্য শুভাকাংখিরা মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি তার নির্বাচন না করার ব্যাপারে।’ সে সাথে তার অনুরোধ, যেহেতু বাদল রায় নির্বাচন থেকে সরে গেছেন তাই কেউ যেন তাকে ভোট না দেন।
নির্দিষ্ট সময় শেষ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করলে তা কি গ্রহণ যোগ্য হবে? ব্যালট পেপারে কি নাম থাকবে বাদল রায়ের? বাফুফে সেক্রেটারী তা ছেড়ে দিলেন নির্বাচন কমিশনের উপর। তবে গতকাল তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশনের কেউ উপস্থিত ছিলেন না। রোববার এই কমিশনের সভা। তখন প্রার্থীদের ব্যালট পেপারের নাম্বার দেয়া হবে।
এদিকে অপর সভাপতি প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মানিকের সেল ফোন গতকাল বন্ধই ছিল। শেখ মোহাম্মদ আসলাম সিনিয়র সহসভাপতির পদ থেকে সরে যাননি। একটি পদে তার প্রতিপক্ষ আবদুস সালাম মুর্শেদী। সহসভাপতিতে চার পদের বিপরীতে প্রার্থী আট জন। দুই সদস্য প্রার্থী সরে যাওয়াও পরও প্রার্থী আছেন ৩৪ জন। সদস্যতে মোট পদ ১৫টি। ফলে সব পদেই ভোটাভুটি হচ্ছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা