২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আত্মবিশ্বাসী তাবিথ আউয়াল

তাবিথ আউয়াল
তাবিথ আউয়াল - ছবি : সংগৃহীত

২০১২ সালে প্রথমবারের মতো বাফুফের সহ-সভাপতি পদে নির্বাচনে দাঁড়ান তাবিথ আউয়াল। তখন তাকে অনেকেই পরামর্শ দিয়েছিলেন এই পদে নির্বাচন না করে সদস্য পদে দাঁড়াতে। কিন্তু তাবিথ সহ-সভাপতি পদে নির্বাচন করেই পাস করেন। ছিলেন কাজী সালাউদ্দিনে বিরোধী প্যানেলে। ২০১৬ সালে তাবিথকে রাখেনি কোনো প্যানেল। ফলে তার একাকী সংগ্রাম। দুই প্যানেলের বাঘা বাঘা প্রার্থীকে টপকে পাশ করা। নানা যড়যন্ত্রও ঠেকাতে পারেনি তাকে।

এবারো তাবিথ আউয়াল কোনো প্যানেলে নেই। নির্বাচন করছেন স্বতন্ত্র হিসেবে। এবারো তিনি পাশ করবেন, এমন আত্মবিশ্বাসের কথা জোর দিয়েই উল্লেখ করেন তিনি। তিনি জানান, আমার পুরো আত্মবিশ্বাস আছে নির্বাচনে জেতার।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালে ৭০ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় সহ-সভাপতি হন তিনি। পরের বার ৬৬ ভোট পেয়ে হন চার সভাপতির মধ্যে চতুর্থ।

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের দুই গুরুত্বপূর্ণ পদে তিনি। ন্যাশনাল টিমস ম্যানেজমেন্ট কমিটির ডেপুটি চেয়ারম্যান তিনি। একই সাথে টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান। বাফুফেকে আর্থিকভাবে সহায়তা করেছেন। জাতীয় দলের খেলা দেশে বা বিদেশে যেখানেই থাকুক না কেনো উপস্থিতি থাকেই তাবিথ আউয়ালের। গত বছর বিশ্বকাপ প্রাক বাছাইয়ে বাংলাদেশের অ্যাওয়ে ম্যাচ ছিল লাওসে। সবাই যখন রমজানের ঈদের ছুটিতে ব্যস্ত সাবেক ফুটবলার তাবিথ তখন ছোট দুই ছেলেসহ পুরো পরিবার নিয়ে চলে যান লাওসে। সেখানেই ঈদ করেছেন। এরপর মাঠে থেকে উৎসাহ দিয়েছেন বাংলাদেশ দলকে। ফল স্বরূপ লাল সবুজদের লাওস জয় করে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে খেলার ছাড়পত্র অর্জন।

বাফুফের অন্য কর্মকর্তাদের এভাবে জাতীয় দলের সাথে নিজ খরচে বিদেশে গিয়ে তাদের পাশে থাকতে কমই দেখা যায়। ব্যতিক্রম শুধু তাবিথই।

তাবিথ একদিকে ঢাকার মাঠের ফুটবলার। অন্য দিকে তার ক্লাব বর্তমান ক্লাব নোফেল স্পোর্টিং বৃহত্তর নোয়াখালীর তিন জেলা নোয়াখালী, ফেনী এবং লক্ষীপুরকে নিয়ে। আগে তিনি ছিলেন সকার ক্লাব ফেনীর সাথে। খেলেছেন আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ, ইয়ংমেন্স ক্লাব ফকিরের পুল এবং সকার ক্লাব ফেনীতে। ফলে একদিকে তার সুসম্পর্ক ঢাকার ক্লাবগুলোর সাথে। সে সাথে জেলা এবং বিভাগের সাথেও তার হৃদ্যতা।


আরো সংবাদ



premium cement