২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শেষ পর্যন্ত করোনা পজিটিভ ৭ ফুটবলারের

শেষ পর্যন্ত করোনা পজিটিভ ৭ ফুটবলারের - প্রতীকী


১৮ থেকে নেমে এল ৭ এ। আর তিন ফুটবলারের দুই ধরনের রিপোর্ট। এক হাসপাতাল দিয়েছে করোনা পজিটিভ রেজাল্ট। অন্য হাসপাতালের টেস্টে তাদের রিপোর্ট নেগেটিভ। এই তিন ঝুলে থাকা ফুটবলার হলেন ডিফেন্ডার রিয়াদুল হাসান রাফি, রায়হান হাসান এবং রাকিব হোসেন। এই তিন ফুটবলারকে গভীর পর্যবেক্ষনে রাখা হবে। আর আইসিডিডিআরবি এবং প্রভা হেলথ হাসপাতালের করোনা টেস্টে দুই প্রতিষ্ঠান থেকেই সাত ফুটবলারের পজিটিভ রিপোর্ট আসা মানে আসলেই তারা করোনা আক্রান্ত।

ফুটবলাররা হলেন বিশ্বনাথ ঘোষ, টুটুল হোসেন বাদশা, এম এস বাবলু, রবিউল হাসান, ফয়সাল আহমেদ ফাহিম, শহীদুল আলম সোহেল এবং আনিসুর রহমান জিকো। জাতীয় দল সূত্রে জানা গেছে, আইসিডিডিআরবি হাসপাতালে এই ১০ ফুটবলারেরই টেস্টের রেজাল্ট পজিটিভ আসে। আর প্রভা হাসপাতালে একমাত্র রবিউল ছাড়া বাকী নয় ফুটবলারের রিপোর্টই আসে নেগেটিভ।

অথচ বাফুফের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে করা করোনা টেস্টে পজিটিভ রেজাল্ট আসে ১৭ ফুটবলার এবং সহকারী কোচ মাসুদ পারভেজ কায়সারের। ১৭ ফুটবলার হলেন, এম এস বাবলু, সুমন রেজা, নাজমুল ইসলাম রাসেল, ফয়সাল আহমেদ ফাহিম, মানিক হোসেন মোল্লা, মনজুরুর রহমান মানিক, মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, ইয়াসিন আরাফাত, বিপলু আহমেদ, মাহাবুবুর রহমান সুফিল, আনিসুর রহমান জিকো, সোহেল রানা, শহীদুল আলম সোহেল, রবিউল হাসান, সুশান্ত ত্রিপুরা, মোহাম্মদ ইব্রাহিম ও টুটুল হোসেন বাদশা। বিশ্বনাথ ঘোষ অ্যাপালো হাসপাতালে কারোনা টেস্ট করিয়ে পজিটিভ প্রমানিত হওয়ার পর আনোয়ান খান মর্ডান হাসপাতালে তার রিপোর্ট আসে নেগেটিভ। বাদশা, রবিউল সহ পাঁচ ফুটবলার নিজ উদ্যোগে করোনা টেস্ট করাতে পারেননি হাসপাতালে সিডিউল না পাওয়ায়। বাকীদের নিজ উদ্যোগে করা টেস্টের রেজাল্ট আসে নেগেটিভ। এমনকি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল রাফি, রায়হান এবং রাকিবের। আর এখন ভিন্ন চিত্র।
তাই বাফুফে পুরোপুরি নিশ্চিত হতেই ক্যাম্পের সব ফুটবলার সহ কোচিং স্টাফদের একই দিন ভিন্ন ভিন্ন হাসপাতালে করোনা টেষ্ট করায়। সেই রেজাল্টের আলোকে এখন ১৮ ফুটলারের মধ্যে ১১ ফুটবলার এখন করোনা মুক্ত। সাত ফুটবলার আসলেই করোনা রোগী। আর দুই ধরনের রিপোর্টে দ্বিধা দ্বন্দ্বে রাফি, রায়হান এবং রাকিব। এতে আসলেই রিপোর্টের নির্ভর যোগ্যতা নিয়ে সন্দেহ জাগছে।


আরো সংবাদ



premium cement