২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

দেশী ফুটবলারদের নিয়ে লিগের প্রস্তাব

দেশী ফুটবলারদের নিয়ে লিগের প্রস্তাব - সংগৃহীত

শিক্ষাটা ভালোই হয়েছে অতি উৎসাহী ক্লাব কর্মকর্তাদের। এবারের লিগে পাঁচ বিদেশী রেজিস্ট্রেশন এবং বিদেশীর বদলে বিদেশীকে নামানোর আইন পাশ করিয়ে পাঁচ জনকেই খেলিয়েছে। আর এখন এই বিদেশীরা করোনার কারণে আটকা পড়ে ক্লাব গুলোর খরচ বাড়িয়েছে। বসিয়ে বসিয়ে তাদের বেতন এবং থাকা খাওয়ার খরচ বহন করতে হচ্ছে।

এমনিতেই করোনা মহামারীতে পুরো বিশ্ব বিপর্যস্ত। অন্য দেশের মতো বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও বিরূপ প্রভাব পড়েছে। ক্লাব গুলোতেই এর বাজে প্রভাব। তাদের পক্ষে এবার আর লিগে খেলা সম্ভব নয়। সাথে আগামী মওসুমের লিগ নিয়েও ভাবতে হচ্ছে। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই আগামী ফুটবল মওসুমে বিদেশীদের বাদ দিয়ে শুধু দেশী ফুটবলারদের দিয়ে লিগ আয়োজনের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। তা ক্লাব গুলোর কোটি কোটি টাকা সাশ্রয়ের জন্য। ২০২০-২১ মওসুমের লিগ শুধু দেশী ফুটবলারদের নিয়ে আয়োজনের প্রস্তাব দিয়ে বাফুফে লিখিত আবেদনও করেছে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। এর আগে ঢাকা আবাহনী এবারের লিগের বাকী অংশ শুধু স্থানীয়দের নিয়ে সম্পন্ন করার প্রস্তাব দিয়েছিল। তা অবশ্য মেনে নেয়নি বসুন্ধরা কিংস সহ অন্যরা।

সাইফ স্পোর্টিং এর এম ডি ইঞ্জিনিয়ার নাসির উদ্দিন চৌধুরী জানান, করোনার কারনে অর্থনীতিতে বাজে প্রভাব পড়েছে। ক্লাব গুলোর পক্ষেও দল চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই আমাদের প্রস্তাব অন্তত: আগামীবছর যাতে শুধু দেশী ফুটবলার নিয়ে ঘরোয়া ফুটবল আয়োজন করা হয়।’ তার যুক্তি, এতে সব ক্লাবেরই বিদেশী ফুটবলার খাতে কোটি কোটি টাকা খরচ কমবে। সে সাথে দেশী খেলোয়াড়দের ব্যাপক হারে খেলার সুযোগ হবে লিগে। যার ইতিবাচক প্রভাব পড়বে জাতীয় দলে।

এই সংগঠক আরো জানান, এতে কোনো ক্লাবেরই সমস্যা হওয়ার কথা নয়। সবারই মানসম্পন্ন দেশী ফুটবলার রয়েছে। বসুন্ধরা কিংস, ঢাকা আবাহনী, শেখ রাসেল সব ক্লাবেরই ভালো দেশী ফুটবলার আছে। আর আমাদেরতো অ্যাকাডেমীর ফুটবলাররা মূল দলে খেলছেই। নাসির অবশ্য ফুটবলারদের স্বার্থে বিদেশী কোচের পক্ষে।

অবশ্য সাইফ স্পোর্টিং এর এই প্রস্তাবের সাথে একমত হতে পারলেন না বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি ইমরুল হাসান। ত্রা মতে, এখন আর সেই দিন নেই শুধু দেশী ফুটবলার দিয়ে খেলার। বিদেশী না থাকলে স্থানীয়দের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকবে না। বিদেশীদের কাছে শেখারও আছে। তাছাড়া এখন বাংলাদেশের দুই ক্লাব এখন এএফসি কাপে খেলছে। সেখানে চার বিদেশী খেলানোর নিয়ম। আমরা যদি বিদেশী না নিয়ে এএফসি কাপে খেলে হালি হালি গোল খাই তাহলে তাতে দেশের ফুটবলের মান সম্মান যাবে। ইমরুল অবশ্য বললেন, প্রয়োজনে বিদেশী কোটা এক দুই জন কমানো যেতে পারে।

বিদেশী ছাড়া খেলার পক্ষে নন ব্রার্দাস ইউনিয়ন ম্যানেজার আমের খানও। তার মতে, অবশ্যই বিদেশী ফুটবলার খেলাতে হবে তা দেশের ফুটবলের স্বার্থে। অবশ্য উত্তর বারিধারার সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বিদেশী ছাড়া খেলার পক্ষে। তার যুক্তি, এতে বিদেশী বাবত বিপুল অর্থ ব্যয় করতে হবে না। তাছাড়া বিদেশী বিহীন লিগে দেশীদের পারফরম্যান্সের সুযোগ মিলবে।


আরো সংবাদ



premium cement