২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বাফুফের নির্বাচন স্থগিত

বাফুফের নির্বাচন স্থগিত - ছবি : সংগৃহিত

শেষ পর্যন্ত স্থগিতই হয়ে গেল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের ( বাফুফে)  নির্বাচন। ২০ এপ্রিল হওয়ার কথা ছিল এই নির্বাচন। কিন্তু কারোনাভাইরাসের মহামারীর কারণে বাংলাদেশ সরকার ২৬ মার্চ থেকে  ৪ এপ্রিল পর্যন্ত লক ডাউন ঘোষণা করেছে সারাদেশে।

এই সময়ে কোনোধরণের জনসমাগম করা যাবে না। এরফলে স্থগিত হয়ে গেল বাফুফের ২০ এপ্রিলের নির্বাচন।

উল্লেখ্য, নির্বাচন মানে বাফুফের কাউন্সিলরদের সমাগম। সব মিলিয়ে দেড় দুই শত মানুষের জমায়েত। যা করোনা ছড়ানোর মোক্ষম মাধ্যম।

শুক্রবার টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো বাফুফের নির্বাহী কমিটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। করোনার জন্য এক রুমে বসে সভা করা বন্ধ। ফলে বাফুফে ভবনে আসেননি কেউ। তাই টেলিকনফারেন্সে সম্পন্ন এই সভা।

এই সভাতেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয় অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত বাফুফের নির্বাচন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত হচ্ছে না নির্বাচন। গতকালের সভা শেষেই বাফুফে তাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে ফিফার কাছে। এখন তাদের মতামতের অপেক্ষায়। বাফুফে সভাপতি জানান, আগামী দুই এক দিনের মধ্যেই আমরা ফিফার মতামত পেয়ে যাবো।

বাফুফের নির্বাচন স্থগিতের আবদেন আরো আগেই করেছিলেন দুই সহসভাপতি মহিউদ্দিন মহি এবং বাদল রায়। বাফুফেও সারাবিশ্বের সাথে বাংলাদেশে এই করোনার ভয়াবহতা নিয়ে উদ্বিগ্ন। এরপরও তাদের পক্ষে নিয়ম বর্হিভূতভাবে নির্বাচন স্থগিত করা সম্ভব ছিল না।

তাই এদিন সভা করে এবং জটিল পরিস্থিতিতে সামনে এনে নির্বাচন স্থগিত করেছে। অবশ্য পরিস্থিতির ভয়াবহতার আগে যদি বাফুফে  নিজ থেকেই আগেভাগে নির্বাচন স্থগিত করতো তাহলে নিত্য তীর্যক বাক্য ছোঁড়ায় ব্যস্ত সমালোচকরা পেয়ে যেত আরেক দফা সমালোচনার অস্ত্র। তাই বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন সব কিছু বিবেচনায় আনে এবং নিয়ম মেনেই স্থগিত করেছে নির্বাচন। বাফুফের গঠনতন্ত্রের ৮৪ নং ধারাতেও আছে  অনির্বায কারনে নির্বাচন স্থগিত করা যেতে পারে।

২০ এপ্রিলের নির্বাচন উপলক্ষে ৩০ মার্চ ছিল বাফুফের কাউন্সিলরদের নাম জমা দেয়ার শেষ দিন। এরই মধ্যে ৮০ ভাগ কাগজপত্র এসে গেছে বলে জানা গেছে। বাকীরা আর পাঠাতে পারছিল না সব কিছু লক ডাউন হয়ে যাওয়ায়। তাই বাফুফেরও উপায় ছিল না।

অবশ্য নির্বাচন স্থগিত হয়ে যাওয়ার ফলে যেসব জেলায় এখনো ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন গঠিত হয়নি, ঝামেলা চলছে দীর্ঘদিন ধরে, এই সব জেলায় এখন ডিএফর গঠনের সময় পাবে বাফুফে।

নির্বাচন কতো দিনের জন্য স্থগিতের অনুমতি দেয় ফিফা তা এখন দেখার বিষয়। স্থগিত হয়ে যাওয়া নির্বাচন ৩০ এপ্রিলের পরে হলে বাফুফের বর্তমান কমিটির মেয়াদ বাড়বে আরো। ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগেও এভাবে বৃদ্ধি করা হয়েছিল তখনকার নির্বাচিত কমিটির মেয়াদ।


আরো সংবাদ



premium cement